৯- بَابُ مَا جَاءَ فِيْ عَدْمِ النِّكَاحِ بِغَيْرِ رَضَا الْـمَرْأَةِ.
٢٦٧- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَبْدِ الْعَزِيْزِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، أَنَّ امْرَأَةً تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا، ثُمَّ جَاءَ عَمُّ وَلَدِهَا، فَخَطَبَهَا، فَأَبَى الْأَبُ أَنْ يُزَوِّجَهَا، وَزَوَّجَهَا مِنَ الْآخَرِ، فَأَتَتِ الْـمَرْأَةُ النَّبِيَّ ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ، فَبَعَثَ إِلَىٰ أَبِيْهَا فَحَضَرَ، فَقَالَ: مَا تَقُوْلُ هَذِهِ؟ قَالَ: صَدَقَتْ، وَلَكِنِّيْ زَوَّجْتُهَا مِمَّنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ، فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا، وَزَوَّجَهَا عَمَّ وَلَدِهَا.
وَفِيْ رِوَايَةٍ: عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ : أَنَّ أَسْمَاءَ خَطَبَهَا عَمُّ وَلَدِهَا وَرَجُلٌ آخَرُ إِلَىٰ أَبِيْهَا، فَزَوَّجَهَا مِنَ الرَّجُلِ، فَأَتَتِ النَّبِيَّ ، فَاشْتَكَتْ ذَلِكَ إِلَيْهِ، فَنَزَعَهَا مِنَ الرَّجُلِ، وَزَوَّجَ عَمَّ وَلَدِهَا.
وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّ امْرَأَةً تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا، فَخَطَبَهَا عَمُّ وَلَدِهَا، فَزَوَّجَهَا أَبُوْهَا بِغَيْرِ رِضَاهَا مِنْ رَجُلٍ آخَرَ، فَأَتَتِ النَّبِيَّ ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ، فَدَعَى النَّبِيُّ ، قَالَ: أَزَوَّجْتَهَا بِغَيْرِ رَضَاهَا، قَالَ: زَوَّجْتُهَا مِمَّنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ، فَفَرَّقَ النَّبِيُّ بَيْنَهَا وَبَيْنَ زَوْجِهَا، وَزَوَّجَهَا مِنْ عَمِّ وَلَدٍ لَـهَا. وَفِيْ رِوَايَةٍ: أَنَّ امْرَأَةً تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا، وَلَهَا مِنْهُ وَلَدٌ، فَخَطَبَهَا عَمُّ وَلَدِهَا إِلَىٰ أَبِيْهَا، فَقَالَتْ: زَوِّجْنِيْهِ، فَأَبَىٰ وَزَوَّجَهَا مِنْ غَيْرِهِ بِغَيْرِ رِضًا مِنْهَا، فَأَتَتِ النَّبِيَّ ، فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ، فَسَأَلَهُ عَنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: نَعَمْ، زَوَّجْتُهَا مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْ عَمِّ وَلَدِهَا، فَفَرَّقَ بَيْنَهُمَا، وَزَوَّجَهَا مِنْ عَمِّ وَلَدِهَا.
বাব নং ১২৫. ৯. সম্মতি ব্যতীত নারীর বিবাহ বৈধ নয়
২৬৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আব্দুল আযীয থেকে, তিনি মুজাহিদ থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, জনৈক মহিলার স্বামী মরে গেলে তার দেবর তার জন্য বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মহিলার পিতা এ বিবাহে সম্মতি না হয়ে অপর ব্যক্তির সাথে মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেন। ঐ মহিলা রাসূল (ﷺ) ’র খেদমতে এসে পুরো ঘটনা বর্ণনা করে। তিনি মহিলার পিতাকে ডেকে পাঠান। লোকটি আসলে তিনি বললেন, এ মহিলা কি বলতেছে? পিতা উত্তরে বলল, সে সত্য বলছে। কিন্তু আমি তাকে এমন ব্যক্তির সাথে বিবাহ দিয়েছি, যে তার দেবর থেকে উত্তম। তখন রাসূল (ﷺ) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দেন আর ঐ মহিলাকে তার চাচাতো ভাই (দেবর)এর সাথে বিবাহ দেন।
অন্য এক বর্ণনায় ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, আসমাকে তার চাচত ভাই এবং অপর এক ব্যক্তি তার পিতার কাছে বিবাহের প্রস্তাব পাঠায়। পিতা ঐ ব্যক্তির সাথে বিবাহ দিয়ে দেয়। তখন সে নবী করমি (ﷺ) ’র নিকট এসে এ বিষয়ে অভিযোগ করে। তিনি ঐ ব্যক্তির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করে তাকে তার চাচত ভাইয়ের সাথে বিবাহ দেন।
অপর বর্ণনায় আছে, এক মহিলার স্বামী ইন্তেকাল করলে তার চাচতভাই তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু পিতা মহিলার ইচ্ছার বিরোদ্ধে অন্য এক ব্যক্তির সাথে তার বিবাহ দেয়। অতঃপর মহিলা নবী করমি (ﷺ) এর নিকট এসে পুরো ঘটনা বর্ণনা করলে তিনি পিতাকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করেন; তুমি কি তাকে তার ইচ্ছার বিরোদ্ধে বিবাহ দিয়েছ? সে বলল, আমি তাকে এমন ব্যক্তির সাথে বিবাহ দিয়েছি, যে তার চাচাতো ভাইয়ের চেয়ে উত্তম। তখন তিনি উভয়ের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করে তার চাচত ভাইয়ের সাথে পুনরায় বিবাহ দেন।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, এক মহিলার স্বামী মারা যায়, আর তার কাছে ঐ স্বামীর একটি ছেলে সন্তান ছিল। তার চাচতভাই তাকে বিবাহের জন্য তার পিতার নিকট প্রস্তাব পাঠায়। মহিলা বলল, আপনি আমাকে এর সাথে বিবাহ দেন। কিন্তু পিতা অসম্মতি হয়ে মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপর এক ব্যক্তির সাথে বিবাহ দেয়। তখন ঐ মহিলা রাসূল (ﷺ) ’র নিকট এসে ঐ ঘটনা বর্ণনা করল। তিনি পিতাকে এ সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে পিতা বলল, হ্যাঁ, আমি তাকে তার চাচত ভাইয়ের চেয়ে উত্তম ব্যক্তির সাথে বিবাহ দিয়েছি। অতঃপর তিনি তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ করে দিয়ে তার ইচ্ছে অনুযায়ী চাচতভাইয়ের সাথে বিবাহ করিয়ে দেন।
(সুনানে বায়হাকী কুবরা, ৭/১২০/১৩৪৬৬)
ব্যাখ্যা: ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে প্রাপ্তবয়স্ক ও জ্ঞানী মহিলা অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিবাহ করা জায়েয নয়। পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে জায়েয। তিনি দলীল হিসেবে কুরআনের আয়াত حتى تنكح زوجًا غيره পেশ করেন। এতে বিবাহের সর্ম্পক নারীর দিকে করা হয়েছে। অর্থাৎ বিবাহের ক্ষেত্রে নারী স্বাধীন ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত। তাছাড়া ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস الايم احق نفسها من وليها “বিধবা মহিলা নিজের (বিবাহের) ব্যাপারে স্বীয় অভিভাবকের চেয়ে অধিক অধিকার রাখে।” এটি আহনাফের পক্ষে মজবুত দলীল। এছাড়াও আহনাফের পক্ষে অনেক দলীল রয়েছে। ইমাম শাফেঈ (رحمة الله) তাঁর পক্ষে আয়েশা (رضي الله عنه) বর্ণিত যে হাদিস দলীল হিসেবে পেশ করেন তা দু‘কারণে আমলযোগ্য নয়। এক. ঐ হাদিস হলো খবরে ওয়াহেদ যা কুরআনের বিপরীত হলে আমল বাতিল হয়ে যায়। দুই. স্বয়ং আয়েশা (رضي الله عنه) ঐ হাদিসের বিপরীত আমল করেছেন। তিনি তাঁর ভাই আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (رضي الله عنه)’র মেয়েকে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিবাহ দিয়েছেন। সুতরাং বর্ণনাকারী তাঁর বর্ণিত হাদিসের বিপরীত আমল করলে ঐ হাদিসের আমল বাতিল হয়ে যায়। অতএব আহনাফের মাযহাব অধিক গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিসংগত।