১০. সমস্ত নবি ওফাতের পর তাঁদের নিজ নিজ সমাধিতে জীবিত এবং সেখানে তাঁরা নামাজ পড়েন।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ-
-‘‘হযরত আনাস বিন মালিক (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : নিশ্চয় আম্বিয়ায়ে কিরাম (রাঃ) তাঁদের নিজ নিজ কবরে জীবিত এবং তারা সেখানে নামায আদায় করেন।’’
➤ ইমাম আবু ই‘য়ালা : আল মুসনাদ : ৬/১৪৭ পৃ: হাদিসঃ ৩৪২৫, ইমাম বায়হাকী : হায়াতুল আম্বিয়া : ৬৯-৭০ পৃষ্ঠা,ইমাম হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়াইদ : ৮/২১১ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৩৮১২, ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানী : তবকাতে ইস্পাহানী : ২/৪৪ পৃ:, ইমাম আদী : আল কামিল : ২/৭৩৯ পৃ:,ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী: আল-জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯, ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী: শরহুস সুদূর: পৃষ্ঠা, ২৩৭, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী: সিলসিলাতুস সহীহা: হাদিস : ৬২২, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী : সাহীহুল জামে : হাদিস নং- ২৭৯০, দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ১/১১৯ পৃষ্ঠা, হাদিস ৪০৩।
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) বলেন, হাদিসটি ‘হাসান’। ➤ সূয়ুতি, আল-জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯ এবং শরহুস সুদূর: পৃষ্ঠা, ২৩৭
আলবানী তার দুটি গ্রন্থে হাদিসটি সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন। ➤আলবানী, সিলসিলাতুস সহীহা: হাদিস/৬২২ এবং সহীহুল জামে : হাদিস/২৭৯০
অপরদিকে আল্লামা নুরুদ্দীন ইবনে হাজার হাইসামী (رحمة الله) বলেন-
رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى وَالْبَزَّارُ، وَرِجَالُ أَبِي يَعْلَى ثِقَاتٌ.
-‘‘এ হাদিসের সকল রাবি সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’
➤ মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৮/২১১ পৃষ্ঠা, হা/১৩৮১২, এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মাচন’’ এর ১ম খন্ডের ৪০৭-৪১১ পৃষ্ঠা, দেখুন। ইনশাআল্লাহ আপনাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে আসবে।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:وَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، فَإِذَا مُوسَى قَائِمٌ يُصَلِّي، فَإِذَا رَجُلٌ ضَرْبٌ، جَعْدٌ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَإِذَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ يُصَلِّي، أَقْرَبُ النَّاسِ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، وَإِذَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ يُصَلِّي، أَشْبَهُ النَّاسِ بِهِ صَاحِبُكُمْ – يَعْنِي نَفْسَهُ – فَحَانَتِ الصَّلَاةُ فَأَمَمْتُهُمْ-
-‘‘রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন, মি‘রাজের রাত্রে আম্বিয়া (عليه السلام) এর এক বিরাট জামাতকে দেখেছি, মুসা (عليه السلام)কে তার কবরে নামায পড়তে দেখেছি। তাকে দেখতে মধ্য আকৃতির চুল কোকরানো সানওয়া দেশের লোকের মত। আমি ঈসা (عليه السلام) কে দন্ডায়মান অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি, তিনি দেখতে ওরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফীর মত ……….. তার পরে নামাযের সময় আসলো আমি সকল নবী (عليه السلام)এর ইমামতি করলাম।’’
➤ ইমাম মুসলিম : সহীহ : ফাদ্বায়েলে মূসা (عليه السلام) : ১/১৫৭ : হাদিস : ১৭৩, খতিব তিবরিজী : মিশকাতুল মাসাবীহ : ৩/২৮৭ : হাদিস : ৫৮৬৬,ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ২/৩৮৭ পৃ:, ইমাম তকি উদ্দিন সুবকী :শিফাউস-সিকাম : ১৩৫-১৩৮ পৃষ্ঠা, ইমাম সূয়ূতী : আল-হাভীলিল ফাতওয়া : ২/২৬৫পৃ:, ইমাম সাখাভী : কওলুল বদী : ১৬৮ পৃষ্ঠা, ইমাম মুকরিজী : ইমতাঈল – আসমা: ৮/২৪৯ পৃ:
বুঝা গেল যে সমস্ত নবীরাই তাদের কবরে জীবিত থাকার কারণে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপস্থিত হয়েছিলেন।