সত্য নিয়ে ইসলামিক উক্তি ৫৫+ সত্য ও মিথ্যা নিয়ে ইসলামিক উক্ত / বাণী

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সত্য কথা বলা ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এটি শ্রেষ্ঠ নৈতিক গুণাবলীর একটি। সর্বাবস্থায় সত্য কথা বলা মানে সত্যের নীতি অবলম্বন করা। সর্বদা সত্য কথা বলার জন্য কোরআন ও হাদিসে অসংখ্য বাণী রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জ্ঞানী মনীষীগন সত্য কথার উপর অনেক উক্তি /বাণী প্রকাশ করে গিয়েছে আমাদের মাঝে, সেগুলি থেকে বাছাই করে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা প্রকাশ করেছি সত্য নিয়ে কিছু উক্তি / বাণী।

সত্য ও মিথ্যা নিয়ে ইসলামিক উক্ত গুলো 

• তোমরা সর্বদা সত্য গ্রহণ করো, কারণ সত্য নেকির সঙ্গে রয়েছে, আর উভয়টি জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকো, মিথ্যা পাপের সাথে রয়েছে, উভয়ই জাহান্নামে যাবে। – আল হাদিস

• নিশ্চয়ই সত্য একটি পুণ্যময় কাজ। আর পুণ্য জান্নাতের পথ দেখায়। যে ব্যক্তি সর্বদা সত্যের উপর দৃঢ় থাকে, তাকে আল্লাহর খাতায় সত্যনিষ্ঠ বলে লিখে নেয়া হয়। পক্ষান্তরে মিথ্যা হচ্ছে পাপকাজ। পাপাচার জাহান্নামের পথ দেখায়। যে ব্যক্তি সদা মিথ্যা কথা বলে এবং মিথ্যায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তাকে আল্লাহর খাতায় মিথ্যুক বলে লিখে নেয়া হয়। – আল হাদিস

• হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন – সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে, যে মিথ্যা পরিহার করে মযাক করে হলেও এবং আরও একটি ঘর জান্নাতের সর্বোচ্চে নিয়ে দেয়ার জন্য যিম্মাদার, যে তার চরিত্রকে সুন্দর করবে। – আল হাদিস 

• হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন – যখন তোমাদের মধ্যে চারটি জিনিস থাকবে, তখন দুনিয়ার সবকিছু হারিয়ে গেলেও তোমাদের কোন সমস্যা নেই। ১- আমানত রক্ষা করা, ২- সত্য কথা বলা, ৩- সুন্দর চরিত্র, ৪- বৈধ রুজি। – আল হাদিস

• তুমি সন্দেহযুক্ত কথা ও মর্ম ছেড়ে, যাতে সন্দেহ নেই সেদিকে ফিরে যাও, নিশ্চয়ই সত্য প্রশান্তির নাম, এবং মিথ্যা ও সন্দেহ অশান্তির নাম। – আল হাদিস

• সবচেয়ে সুন্দর ও ভাল চরিত্রের মানুষ সে, যে প্রকৃত হিংসা বিদ্বেষ মুক্ত অন্তরের অধিকার এবং সত্য কথার অধিকারী – আল হাদিস 

• তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকো, নিশ্চয়ই মিথ্যা ঈমানের ক্ষতিগ্রস্ত করে। – আল হাদিস

• কোন মা,তার সন্তানকে বলল আসো ও নাও, তৎপর তাকে কিছু দিল না, সে একজন মিথ্যুক মহিলা। – আল হাদিস

• সে ব্যক্তির ধ্বংস নিশ্চিত, যে ব্যক্তি মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা বলে। – আল হাদিস

• আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তিন শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলবেন না। তাদের পবিত্র করবেন না। তাদের দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকাবেন না। তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি। (১) বৃদ্ধ ব্যভিচারকারী (২) মিথ্যুক শাসক (৩) অহংকারী গরীব। – আল হাদিস

• যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মিথ্যা কথা বলবে, কেয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির দুটি আগুনের জিব্বা হবে।- আল হাদিস

• চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকবে, সে পাক্কা মুনাফিক এবং যার মধ্যে এর একটা থাকবে, তার মধ্যে মুনাফিকীর একটা স্বভাব থাকবে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করবে। (১) যখন তার নিকট কিছু আমানত রাখা হয়, তাতে সে খিয়ানত করে, (২) সে যখন কথা বলে, মিথ্যা বলে, (৩) যখন ওয়াদা করে, ভঙ্গ করে এবং (৪) যখন কারো সাথে ঝগড়া করে, তখন সে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। – অল হাদিস 

• তোমরা কখনো কারো কাছে মিথ্যার আশ্রয় নিও না মিথ্যা বলো না কারণ মিথ্যা বলো না কবিরা গুনাহ। – আল হাদিস

• মিথ্যা তো তারাই বানাই, যারা আল্লাহর আদেশ সমূহের উপর ঈমান রাখে না। 

• সত্যবাদীরা সুকর্মের পথ দেখায়, আর সুকর্ম বেহেস্তের পথ দেখায়, তাই জীবনে চলতেই হলে সত্যবাদীতার সাথেই চলুন!

• সর্বদা সত্য কথা বলুন, কারণ সত্য মানুষকে আলোর পথের নিয়ে যায়, আর মিথ্যা নিয়ে যায় অন্ধকারে।

• একটি সত্য কথা বলার মাধ্যমে একজন মানুষ পরিবর্তন করা যায়, কিন্তু একটি মিথ্যা কথা কখনো, একটি মানুষকে পরিবর্তন করতে পারে না।

• যে ব্যক্তি সত্য কথা বলে সে সব সময় শান্তিতে থাকে, আর যে ব্যক্তি সব সময় মিথ্যা কথা বলে সে দুনিয়াতে অশান্তিতে থাকে, এবং পরকালেও জাহান্নামের আগুনে ডুবে। তাই মুখ থেকে আশ্রয় না দিয়ে সর্বদা সত্য কথা বলুন।

• খারাপ উদ্দেশ্য বলা সত্য সকল মিথ্যা কেউ হার মানায়, তাই যেটা সত্য সেটাই বলুন, যদিও কখনো বিপদে পড়ো নিজেকে বাঁচানোর জন্য, যেটা সত্য সেটা না বলে মিথ্যা বলে নিজেকে বাঁচিয়ে নেন, তাহলে তাতে কোন ধরনের লাভ নেই, কারণ একটি মিথ্যায় যথেষ্ট সারা জীবনের সত্যকে ডুবিয়ে দিতে। তাই একটু মিথ্যা বলে নিজেকে বাঁচানো চেয়ে, সত্য বলে শহীদ হওয়াই সত্যিকারের মুসলিম হিসেবে পরিচয়।

• শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো সেই, যার অন্তর পরিচ্ছিন্ন ও মূখ সত্যবাদী, তাই মিথ্যাকে বর্জন করে সব সময় সত্য বলার চেষ্টা করুন, কারণ একদিন এই সত্যই, আপনাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি করে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবে।

• সত্যই সময়ে একমাত্র কন্যা , সত্য সবসময় সত্য বোঝাপড়া ও অবিশ্বাসীন, আর সত্য বর্তমান শুধু মিথ্যাকেই পরিষ্কার করতে হয়।

• সত্য আর মিথ্যার মধ্যে দীর্ঘ লড়াই এর পর, প্রথম জয়লাভ করে মিথ্যা, আর সবশেষে জয়লাভ করে সত্য। তাই কারো সাথে মিথ্যা বলে নিজেকে বড় করার চেষ্টা করবেন না। কারণ বিচারের সালিশে প্রথম প্রথম হয়তো মিথ্যার জয় হবে, কিন্তু শেষে সত্যের জয় নিশ্চিত।

• সত্য কখনো ক্ষয় হয় না, বড় ক্ষয় হয়ে থাকে মিথ্যা, কারণ সত্য হলো আল্লাহর দেওয়া নেয়ামতে একটি অংশ, আর মিথ্যা হল শয়তানের দেওয়া খারাপ কুফলন।

• একমাত্র সত্য কথাই পারে মানুষকে মুক্তি দিতে এবং সঠিক পথে আনতে।

• সত্য মানুষকে সম্মানিত করে আর মিথ্যা মানুষকে অপমানিত করে।

• আমাদের প্রিয় নবী সর্বদা সত্য কথা বলতে বলেছেন। কেননা সত্য আমাদের মুক্তির পথ দেখাবে।

সত্য মিথ্যা নিয়ে মহিষীদের বলা উক্তি

• সুন্দর মাত্রই সত্য, কিন্তু সত্য মাত্রই সুন্দর না-ও হতে পারে। সত্য এবং সুন্দরের মাঝে মূল তফাতটা হচ্ছে, সুন্দর ব্যাপারটা আপেক্ষিক, কিন্তু সত্য সর্বদাই পরম।

• যে ব্যক্তির ছোট ছোট বিষয়ের সত্যের প্রতি সতর্ক হয় না, থাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বাস করা যায় না।”

• সারা দিন শেষে, সারাবছর শেষে সবাই মিলে একটা সত্যকে মিথ্যা বানাতে চাইলেও সত্য নিজগুণে তার শুদ্ধতার সমস্ত প্রমাণ দিয়ে সবার সামনে বেরিয়ে আসে।

• মিথ্যা কথা বলে জিতে যাওয়ার চেয়েও, সত্য বলে হেরে যাওয়া অধিক উত্তম।

• সুখী হবার সহজ রাস্তা হলো, হাতেগোনা দু-একটা জায়গা বাদে সব জায়গায় সত্যটাই বলে দেওয়া।

• মিথ্যা হয়তো আপনার মনে কিছুক্ষণের জন্য প্রশান্তি এনে দিবে, কিন্তু সত্য আপনাকে সর্বদা সুখে রাখবে।

• আপনাকে সত্য গ্রহণ করতেই হবে, দেরিতে হলেও করতে হবে। যে যত জলদি সত্য গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে পারবে, দুনিয়াটা কেবলই সেই মানুষটার জন্য অপেক্ষা করে আছে।

• পৃথিবীর সত্যের শক্তি দ্বারা সমর্থিত, এটি সত্যের শক্তি যা সূর্যকে উজ্জ্বল করে এবং বাতাসকে উড়িয়ে দেয়; নিশ্চয়ই সমস্ত কিছু সত্যের উপর ভরসা করে।”

• মানুষ শুরুর দিকে সত্যবাদী প্রেমিক বা প্রেমিকাকে পছন্দ করলেও বেশিরভাগ মানুষই, পরবর্তীতে ওই ব্যাপারটাকে আর পছন্দ করতে চায় না। সেজন্য হয় তারা পার্টনার চেইঞ্জ করে, নয়তো পার্টনারকে মিথ্যে বলতে বাধ্য করে। পার্টনার মিথ্যে বলেছে জেনেও তখন সে একধরনের আরোপিত সুখ লাভ করে। কারও কারও নাকি বিরক্তও লাগে সারাক্ষণ সত্য শুনতে। আরও একটা ব্যাপার আছে। সত্যবাদী প্রেমিক বা প্রেমিকা নিয়ে অনেকেই সাধারণত ভয়ে থাকে। সত্যবাদীর শক্তিটা এখানেই!

• একজন মহান ব্যক্তি সাধুবাদ বা স্থান অনুসন্ধান করে না, তিনি সত্যের সন্ধান করেন। তিনি সুখের পথে খোঁজেন এবং যা নির্ধারণ করেন তিনি অন্যকে দেন।

• একটা সত্যকে ঢাকতে যেমন দশটা মিথ্যে বলতে হয়, তেমনি শ- দেড়শ মিথ্যেকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে মাত্র একটা সত্যকথার একমিনিটের চেয়েও কম সময় লাগে।

• দু-চারটে মিথ্যের মধ্যে একটা সত্যকে মিলিয়ে দিলে ছোটোখাটো একটা ঝামেলা হয়তো বাধে, কিন্তু কয়েকটি সত্যের সাথে দু-একটা মিথ্যে মিলিয়ে দেওয়াটা রীতিমতো বিরাট একটা অপরাধ!

• একই মিথ্যে বারবার বলতে বলতে তা একসময় সত্যের মতনই শোনায়।

• চাকরি করে হোক, ব্যবসা করে হোক, অর্থাৎ সৎভাবে পয়সা কামানোর চেয়ে বড়ো সত্য মধ্যবিত্ত আর আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন কোনও মানুষের জীবনে নেই। ঠিক তেমনি জীবনে ভালোবাসার মতন একইসাথে সত্য ও সুন্দর জিনিস পৃথিবীতে আর একটিও নেই।

• সত্য বলে কেউ যদি সারাজীবন ধরে এক বা একাধিক মানুষকে সুখী করতে না-ও পারে, সেই মানুষটার মৃত্যুর পরে বাকিরা ঠিকই বুঝতে পারবে সেই সত্যবাদিতার মর্মটা। ঠিক একইভাবে, মিথ্যেবাদী কেউ মারা গেলে তার কাছের মানুষজন বুঝতে পারে, এতদিন কী যে একটা ভুল হয়ে আসছিল!

• ওষুধ যেমন তেতো, সত্যকথাও ঠিক একই রকমেরই তেতো। যদি ওষুধ=তেতো=সত্য হয়, তাহলে, সত্য ওষুধ; হ্যাঁ, এটাই প্রমাণিত। হিসেবটা ঠিক আছে তো?

• সত্যে সত্যে কখনও বিবাদ হয় না, সব বিবাদই হয় মিথ্যের সাথে মিথ্যের যোগফলে কিংবা গুণফলে।

• কথা কাটাকাটি হয় মিথ্যুকে মিথ্যুকে, আর ওদিকে, সত্যবাদী যারা, ওদের তো বাড়তি কথা বলারই প্রয়োজন পড়ে না।

• আজকের সত্যবাদী কাল মিথ্যুক হলেও হতে পারে, তবে আজকের মিথ্যেবাদীর আগামীকাল হুট করে সত্যবাদী হয়ে যাওয়াটা বিরাট এক অসম্ভব ব্যাপার।

• পুরুষ মানুষ ভয় পায় সত্য বলতে, আর নারীর ভয় হচ্ছে সত্য গ্রহণ করাতে।

• আমরা মিথ্যা গ্রহণ করতেই বেশি ভালোবাসি বলে আমাদের সামনে মশলা আর রং মাখিয়ে মিথ্যাকেই উপস্থাপন করা হয়। আমরা আয়োজন করে সিনেমাহলে সিনেমা দেখতে যাই এটা জেনেও যে, একটা বানানো গল্পকেই আরোপিত রূপ দিয়ে সিনেমা বানানো হয় । অথচ সত্যিকারের সিনেমা হচ্ছে আমাদের যার যার জীবন। আমরা জীবনকে উপলব্ধি করতে চাই না বলেই জীবন নামক সত্যকে দূরে সরিয়ে রেখে পর্দার মিথ্যেতেই সত্যকে অনুমান করে নিই।

• আমরা অন্ধভাবে বিশ্বাস করি এমন কিছু মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানকে যাদের মূলমন্ত্রই হচ্ছে: যাহা বলিব মিথ্যা বলিব, মিথ্যা বই এক বর্ণও সত্য বলিব না!

• সত্য বলা যেমনি কঠিন, তেমনি সত্য লুকিয়ে রাখা আরও বেশি কঠিন।

• একজন মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বড়োজোর মিথ্যে নিয়ে নানান রকম স্বপ্ন দেখতে পারে, যেগুলো সারাজীবনেও কখনও পূরণ হবে না। আর ওরকম মিথ্যে স্বপ্ন দেখতে দেখতেই হয়তো সে একদিন মারা যাবে। সেই মানুষকে ঘুম থেকে তোলার কিংবা মৃত্যুপথ থেকে ফেরানোর একটাই রাস্তা—শত কষ্ট হলেও, বাস্তব সত্যটা তাকে জানানো।

• যা দেখা যায়, তা সত্য না-ও হতে পারে। তবে যা সত্য, তা একদিন-না-একদিন দেখা যাবেই যাবে৷

• যে মানুষ সারাক্ষণই মিথ্যে বলে, সে একসময় নিজেই আর নিজেকে বিশ্বাস করতে পারে না। তাই সে তখন তার নিজের হৃদয়ের সাথে কথা বলা ছেড়ে দেয়। তবে যে সত্য কথা বলে, সে বিশ্বাস করার জন্য কাউকে না পেলেও নিজেকে বিশ্বাস করে নিজেই নিজের সাথে কথা বলে যায়।

• কিছু কিছু সময়, কিছু কিছু জায়গায় সত্য গোপন করাটাই শ্রেয়। কেউ কেউ সত্য গ্রহণ করতে পারে না, আর কেউ কেউ সত্য গ্রহণ করতে চায় না।

• একজন সত্যবাদী যদি ভুলেও মুখ দিয়ে কোনও কথা বের করে ফেলে, আর সবাই তা বলতেই থাকে, তবে সেই কথাই একসময় সত্যে পরিণত হয়।

• মিথ্যা একটা চারিত্রিক ব্যাধি, যার মধ্যে মানুষ রুচিবোধ কিংবা সুস্থ প্রকৃতি বিদ্যমান, সে কোনক্রমে এর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করতে পারে না।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment