সংক্ষেপে_আহলে_সুন্নাত_ওয়াল_জামাআতের_কতিপয়_আকায়েদ_ও_আমল

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ইমামে আহলে সুন্নাত হুযুর অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেয মুহাম্মদ আব্দুল জলীল (রাঃ)

০১। আল্লাহ্ তায়ালার পবিত্র স্বত্ত্বা নূর-যা সৃষ্ট নূর হতে ভিন্ন প্রকৃতির।

০২। আল্লাহ তায়ালা আকৃতিহীন বা নিরাকার।

০৩। তিনি আরশে বা অন্য কোন স্থানে উপবিষ্ট নন-বরং সর্বত্র বিরাজমান।

০৪। তিনি মিথ্যা বলা বা যে কোন দোষত্রুটি হতে মূক্ত ও পবিত্র।

০৫। তাঁর যাবতীয় ইলম ও জ্ঞান যাতী বা মৌলিক এবং অনন্ত ও অসীম। নবীগণের যাবতীয় ইলম ও জ্ঞান আতায়ী বা দানকৃত এবং সসীম।

০৬ । নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর যাতী নূরের জ্যোতি হতে পয়দা। দূতজ্ঞানী ও দিপাতা

০৭। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপাদমস্তক নূর বা নূরে মুজাচ্ছম। আল হাদীস।

০৮। তিনি দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান যাবতীয় নূরের মূল। তাফসীরে সানী।

০৯। স্বয়ং আল্লাহ্ তায়ালাই তাঁকে ইলমে গায়েব শিক্ষা দিয়েছেন। আল কুরআন।

১০। তিনি হায়াতুন্নবী বা স্বশরীরে রওযা মোবারকে জীবিত।

১১। তিনি উম্মতের যাবতীয় ভালমন্দ আমল প্রত্যক্ষ করছেন।

১২। তিনি মহব্বতের সালাত ও সালাম নিজ কানে শুনে থাকেন। (মিশকাত, তাবরানী।

১৩। তাঁর সুপারিশে সত্তর হাজার এবং প্রত্যেকের সাথে সত্তর হাজার করে সর্বমোট চারশ নব্বই কোটি লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।

১৪। তাঁর সুপারিশে জান্নাতীদের প্রমোশন হবে এবং সুন্নী দোযখবাসীরা নাজাত পাবে।

১৫। তাঁর সুপারিশ হবে গুণাহগারদের জন্য-বদ আক্বিদাধারীদের জন্য নয়। [আল হাদীস)

১৬। আল্লাহর পরেই তিনি সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী। তিনি সৃষ্টির মধ্যে তুলনাহীন ও বে-মিছাল।

১৭। সাহাবায়ে কেরাম সর্বপ্রকার সমালোচনার উর্দ্ধে। সকল সাহাবীকে মহব্বত করা ফরয।

১৮। সাহাবাগণের মধ্যে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) সর্বশ্রেষ্ঠ ও খালিফাতুর রাসুল।

১৯। আউলিয়ায়ে কেরাম বা হাক্কানী ওলামাগণ আল্লাহর বন্ধু। তাঁদের প্রার্থনা অবশ্যই আল্লাহ্ কবুল করেন।

২০। আউলিয়ায়ে কেরামের কারামত কুরআন সুন্নাহ্ দ্বারা প্রমাণিত। ৩৫৬ জন আউলিয়া হযরত আদম, হযরত মুছা, হযরত ইবরাহীম, হযরত জিবরাঈল, হযরত মিকাঈল ও হযরত ইসরাফীল আলাইহিমুস সালামগণের সিফাত প্রাপ্ত। হযরত বড়পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিফাত প্রাপ্ত।

২১। আউলিয়ায়ে কেরামের পদবীসমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ পদবী হলো গাউসুল আ’যম। বড়পীর সাহেব এই পদবীর অধিকারী।

২২। মাযহাব মানা ওয়াজিব। লা-মাযহাবীরা গোমরাহ।

২৩। উম্মতে মোহাম্মদী ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত। ৭২ ফেকাহ জাহান্নামী। মূল দলটি হবে জান্নাতী। উক্ত নাজাত প্রাপ্ত দলের নাম “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত (মিরকাত।। বর্তমানের নজদীপন্থী ওহাবী, মউদ্‌দী, আহলে হাদীস ও তাবলীগীরা ৭২ গোমরাহ ফের্কার অন্তর্ভূক্ত। কাদিয়ানীরা বিনা বিতর্কে সর্বসম্মতভাবে কাফের।

২৪। শবে বরাত, শবে মেরাজ, শবে কদর কুরআন সুন্নাহর দ্বারা প্রমাণিত। ঐ রাত্রিসমূহের ইবাদত বন্দেগী কুরআন সুন্নাহ, ইজমা কেয়াছের দ্বারা এবং বুযুর্গানে দ্বীনের আমল দ্বারা প্রমাণিত।

২৫। মাযারসমূহের যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করা এবং যিয়ারত করা উভয়ই সুন্নাত। নবীজীর রওযা মোবারক যিয়ারতের নিয়তে সফর করা হাদীসের দ্বারা সুন্নাত ও ওয়াজিব প্রমাণিত।

২৬। দলীয় মতবাদ প্রচারের উদ্দেশ্যে মসজিদে মসজিদে সফর করা ও রাত্রি যাপন করা নাজায়েয। তিন মসজিদ ব্যতিত ইবাদতের নিয়তে অন্য কোন মসজিদে সফর করা জায়েয নয়। [হাদীস।

২৭। মিলাদ কিয়াম করা মোস্তাহাব। উক্ত মোস্তাহাব অস্বীকার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। পরিশিষ্ট-২ দেখুন।

২৮। ঈদের নামাযে অতিরিক্ত তাকবীর ৬টি, ১২টি নয়। তারাবীহ নামায ২০ রাকআত প্রত্যেক নর-নারীর জন্য সুন্নাতে মোয়াক্কাদাহ্-৮ রাকআত নয়। আযানের পূর্বে দরূদ ও সালাম পাঠ করা মোস্তাহাব। জানাযা নামাযের পর লাইন ভঙ্গ করে খাস দোয়া করা রাসুল ও সাহাবীগণের সুন্নাত। আযানের দোয়ায় হাত উঠানো সুন্নাত। কুলখানী, ফাতেহা, চেহলাম, ওরছ ইত্যাদি নিঃসন্দেহে জায়েয ও উত্তম। দেখুন আহকামুল মাযার ফতোয়ায়ে ছালাছী ও ফতোয়া ছালাছা।

২৯। আউলিয়ায়ে কেরামের সম্মানার্থে মাযার পাকা করা, গিলাফ চড়ানো, মোমবাতি জ্বালানো জায়েয।

৩০। খতমে বোখারী, খতমে খাজেগান, খতমে গাউছিয়া ও গেয়ারবি শরীফ পাঠ করা নিঃসন্দেহে জায়েয ও উত্তম কাজ।

৩১। বিপদে আপদে রূহানী সাহায্যার্থে ইয়া রাসুলাল্লাহ্, ইয়া আলী, ইয়া শেখ আবদুল কাদের জ্বিলানী বলে ডাকা শরিয়ত সম্মত উত্তম কাজ। বাহজাতুল আছরার, ফতোয়া জামাল মক্কী ও শাহ ওয়ালিউল্লাহের অল ইন্তিবাহ।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment