বিশ্বব্যাপী ‘শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য’ শিরোনামে পরিচালিত হচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতাটি ২০১৪ সালে প্রথম শুরু হয়। সৌদি ধনকুবের শাইখ আবদুল লতিফ ফাউজান এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। তাঁর নামেই এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। তিনি সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় শহর আল খাবার-এর অধিবাসী। মসজিদের শৈল্পিক স্থাপনাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও সুপরিচিত করে তুলতে এ প্রতিযোগিতা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
দ্বিতীয় ধাপে আয়োজিত ‘শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য’ প্রতিযোগিতার সচিব ইবরাহিম আল নাঈমি বলেন, এবার পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের ১২২টি মসজিদ এ প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে। ২০১৭ সালের শুরুর দিকে যার ফলাফল প্রকাশপূর্বক ‘শাইখ আবদুল লতিফ ফাউজান পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই পর্বে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবের ৭১টি মসজিদ, আরব আমিরাতের ১৫টি মসজিদ, বাহরাইনের ১১টি মসজিদ, আম্মানের ১৪টি মসজিদ, কাতারের ৮টি মসজিদ এবং কুয়েতের ৩টি মসজিদকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আল নাঈমি আরো জানান, ইতিহাস গবেষক ও খ্যাতিমান স্থপতিবিদরা এ প্রতিযোগিতাকে সফল করতে ‘শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য’ বাছাইয়ে বিচারক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিচারকরা মসজিদ নির্মাণের ইতিহাস, মসজিদ নির্মাণ পদ্ধতি, ডিজাইন ও স্থাপত্য দর্শনের আলোকে চূড়ান্ত বাছাই করবেন বলেও জানান তিনি।
‘শ্রেষ্ঠ মসজিদ স্থাপত্য’ প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয় লাভকারী মসজিদটিকে ‘শাইখ আবদুল লতিফ ফাউজান পুরস্কার’ ও ২০ লাখ সৌদি রিয়াল প্রদান করা হবে।
চারটি বিভাগকে সামনে নিয়ে বিচারকরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এ বিভাগগুলোতে থাকছে- ঐতিহাসিক মসজিদ, কেন্দ্রীয় মসজিদ, জুমার মসজিদ এবং স্থানীয় মসজিদ।
এ প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাই বৈঠক ইতোমধ্যে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ‘শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য মসজিদ’ নির্বাচনে ইতিহাস ও শিল্প বিষয়কে সামনে রেখে ১২২টি মসজিদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।