✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) ➡ মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]
❏ মাসয়ালা: (৩৫৩)
শেষ যমানায় মানুষের অবস্থা:
➠মুসানাদে হযরত আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে তখন লোকেরা অধিকহারে কবরে যাবে সেখানে তারা নিজের পেট রাখবে এবং বলবে আমাদের আশা আমরা যদি এ কবরবাসীর স্থানে হতাম, তার থেকে জিজ্ঞেস করা হল তা কেন? নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, তা যুগের কঠোরতা, মসীবত ও ফিতনার কারণে।
➠ইবনে মাজাহতে হযরত আবূ হুরাইরা (رضي الله عنه) সুত্রে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, আল্লাহর কসম যার হাতে আমার জান রয়েছে দুনিয়া ঐ সময় পর্যন্ত শেষ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত একজন লোক কবরের পাশ দিয়ে যাবে তার উপর পড়বে এবং বলবে আমি যদি এ কবর বাসীর স্থানে হতাম। তখন ধর্ম পুরোপুরি পরীক্ষায় ভরে যাবে। এ যুগ থেকে আল্লাহর পানাহ। কেননা; সে সময় মানুষ নিজের মুখ দিয়ে নিজের মৃত্যু তালাশ করবে এবং নিজের মৃত্যুকে নিজের জীবনের উপর প্রাধান্য দিবে। তখন মানুষের সকল বাসনা দুনিয়ার সাথে হবে। তখন তারা মৃত্যুতে তাদের শান্তি দেখবে।
❏ মাসয়ালা: (৩৫৪)
কোরআনের আয়াত ও হাদিস মর্মার্থের দিক দিয়ে চার প্রকার:
১. ইশারাতুন নস
২. দালালাতুন নস।
৩. ইবারাতুন নস।
৪. ইকতিজাউন নস।
তেমনি যে কোন শব্দ অর্থের দিক দিয়ে চার প্রকার:
১. আভিধানিক।
২. শরয়ী
৩. ওরফে আম
৪. ওরফে খাস।
যেহেতু কোরআনের আয়াত ও হাদিসে উলিখিত যে কোন একটির আলোকে অর্থ প্রকাশ করে; তাই বুঝার বিষয় এ চার প্রকারের বাইরে কোন অর্থ গ্রহণযোগ্য নয়।
একই কথা শব্দের ব্যাপারে। যে অর্থ উলিখিত অর্থ থেকে কোন একটির সাথে সম্পর্ক রাখবে না তা গ্রহণযোগ্য নয়।
জেনে রাখা উচিত যে, কোরআনের শব্দের অর্থ ও মর্ম বুঝা অনেক দুরূহ। বানোয়াট অর্থ বর্ণনা নিষেধ।
❏ মাসয়ালা: (৩৫৫)
মানুষের সাথে জীবন যাপন।
ইমাম আযম আবু হানিফা (رحمة الله) নিজ ছাত্র ইমাম আবু ইউছুফ ইবনে কারেদ সিতী বসরীর নিকট অসীয়ত নামা লিখে পাঠান যেখানে লেখা ছিল, এ কারণকে তুমি ভাল করে বুঝ। যখন তুমি মানুষের সাথে জীবনযাপনকে খারাপ বুঝবে তখন তারা তোমাকে দুশমন বুঝবে সে তোমার মাতাপিতা হোকনা কেন এবং যখন তুমি সমাজের সাথে ভাল আচরণ করবে তখন সেই সমাজ তোমাকে ভাল বাসবে এবং তার সকল সদস্য তোমার জন্য মাতাপিতার মত হবে।
➥ [অসীয়ত নামা ইমাম আযম, ২]