হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম যখন বাদশাহ তখনকার ঘটনা। যা আল্লাহ তাআলা কুরআনে তুলে ধরেছেন। হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তাঁর সেনাবাহিনী জিন, মানুষ ও পক্ষীকুলকে নিয়ে পিপীলিকা অধ্যুষিত এলাকায় পৌঁছলে তিনি শুনতে পেলেন, পিপীলিকাদের সরদার সবাইকে ডেকে বলছে, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথা পয়গাম্বর সুলাইমান ও তাঁর সেনাবাহিনীর অজ্ঞাতসারে তোমরা তাদের পদপিষ্ট হয়ে যেতে পার।
হজরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উক্ত কথা শুনে মুচকি হাসলেন এবং আল্লাহর নিয়ামাতের শোকর-গুজার করতে উক্ত বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করেন। আল্লাহ তাআলা কুরআনে তা তুলে ধরেছেন। আল্লাহ বলেন-
উচ্চারণ: রাব্বি আওঝি’নি আন্ আশকুরা নি’মাতাকা-ল্লাতি আন্আ’মতা আ’লাইয়্যা ওয়া আ’লা ওয়া-লিদাইয়্যা ওয়া আন আ’মালা ছা-লিহান্ তারদাহু ওয়া আদখিলনি বিরাহমাতিকা ফি ই’বাদিকাছ ছালিহিন।
অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যে নিয়ামাত তুমি দান করেছ তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার শক্তি দান কর। আর আমি যাতে তোমার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি এবং আমাকে তোমার অনুগ্রহে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত কর।’ (সুরা নামল : আয়াত ১৯)
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর ওপর কোনো নিয়ামাত আসলে আল্লাহ তাআলার শিখানো এ ভাষায় শুকরিয়া আদায় করা দরকার। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।