শিয়া ফিতনা চেনা ও তাদের জবাব

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

রাফেজী শিয়া চিনার উপায় ও বাঁচার উপায়।

(ইংরেজি হতে অনূদিত)

যদি কখনো শুনেন, কেউ সাইয়্যিদুনা হযরত উমর রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে অপমান করে, তাকে জিজ্ঞেস করবেন, ‘তুমি কোন উমরের কথা বলছো?

তিনি কি উমর ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব?

তিনি কি উমর ইবনে হাসান ইবনে আলী?

তিনি কি উমর ইবনে হোসাইন ইবনে আলী?

তিনি কি উমর ইবনে আলী জয়নাল আবেদীন ইবনে হোসাইন?

না কি, তিনি উমর ইবনে মুসা আল-কাজিম?

দয়া করে, তুমি স্পষ্ট করে বলো কোন উমরের কথা বলছো।

যদি কখনো শুনেন, কেউ বলছে, ‘আয়েশা আগুনে নিক্ষিপ্ত হোক। আয়েশা জাহান্নামি।’ তাকে প্রশ্ন করবেন, ‘তুমি কোন আয়েশার কথা বলছো?

তিনি কি আয়েশা বিনতে জাফর আল সাদিক?

তিনি কি আয়েশা বিনতে মুসা আল কাজিম?

তিনি কি আয়েশা বিনতে আলী আল রিদ্বা?

না কি, তিনি আয়েশা বিনতে আলী আল মাহদী?

কোন আয়েশার কথা তুমি বলছো, স্পষ্ট করো।

যদি কখনো শুনেন, কেউ সাইয়্যিদুনা হযরত আবু বাকার রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুকে অপমান করছে, তাকে জিগ্যেস করবেন, কোন আবু বাকারকে নিয়ে তুমি অপবাদ দিচ্ছো?

তিনি কি আবু বাকার ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব?

তিনি কি আবু বাকার ইবনে হাসান ইবনে আলী?

তিনি কি আবু বাকার ইবনে হোসাইন ইবনে আলী?

তিনি কি আবু বাকার ইবনে মুসা আল কাজিম?

দয়া করে, নির্দিষ্ট করে বলো, কোন আবু বাকার এর কথা তুমি বলছো?

তারপর তাকে প্রশ্ন করবেন, ‘কেন তাঁরা এসব নামে তাঁদের সন্তানদের নাম রেখেছেন? এটা এই সব নাম ও নামের অধিকারী ব্যক্তির প্রতি তাঁদের সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কারণে নয় কি? এটা তাঁদের সাথে সুখকর ও আন্তরিকতাপূর্ণ বসবাসের স্মৃতিকে মনে রাখার কারণে নয় কি? পিতা, এমন কারো নামেই নিজ সন্তানের নাম রাখে, যাঁকে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।’

রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহুম আজমাঈন।

– উমর হাসান সারি।

– আল হাবীব আলী আল জিফরী

(আল্লাহ পাক উনাদের ছায়াকে আমাদের মাথার উপর দীর্ঘ করুক। আমীন।)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment