শিয়াবাদের বৈশ্বিক উত্থানের গোড়ার সন্ধানে

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

শিয়াবাদের বৈশ্বিক উত্থান:

ইসনে আশআরী(দ্বাদশ ইমামে বিশ্বাসী) শিয়ারা সাফাভী যুগ থেকেই পারস্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ।রেজাশাহকে সরিয়ে খোমেনীর নেতৃত্বে রাষ্ট্র ক্ষমতায় শিয়া মাজরাদের আধিপত্য শুরু হওয়ার পর থেকেই এরা কিছু নীতিমালা ঠিক করে।  এখানে মনে রাখা প্রয়োজন যে,পারস্যের রাষ্ট্রীয় শিয়াবাদীদের সাথে এদেশীয় ইমামবাড়া বানানো শিয়াদের অনেক ক্ষেত্রেই দৃষ্টিভঙ্গীগত ফারাক আছে।

শিয়াবাদের বৈশ্বিক উত্থানের গোড়ার সন্ধানে

রাষ্ট্রীয় শিয়াবাদীদের নীতিমালার অধীনে পারসিক শিয়ারা খুব সুবিধাজনক অবস্থায় না থাকলে কাউকে সরাসরি শিয়াবাদের দাওয়াত দেয় না।  বরং এদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বলয়ে রাজনৈতিকভাবে ও আকীদাগতভাবে মিত্রের সংখ্যা বাড়ানো এবং কৌশলে শিয়া আকীদার বিপরীতে অবস্থানকারীদের ঐক্যে ফাটল ধরানো।  মিত্রের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিয়া আকীদার বিপরীতে অবস্থানকারীদের সাথে শিয়া আকীদার মিলগুলো সামনে নিয়ে আসে।  যাদের মধ্যে নমণীয়তা পায়, হৃদত্যার তৈরীর জন্য তাদেরকে শিয়া মাহফিলসমূহে দাওয়াত দেয় ও কিতাব বিতরণ করে।

এরা প্রথমে পঞ্চম মাযহাব হিসেবে জাফরী মাযহাবের স্বীকৃত আদায় করে, তারপর শ্রেষ্ঠ মাযহাব হিসেবে জাফরী মাযহাবকেই সাব্যস্থ করে। এরা একদিকে আহলে সুন্নাহর স্বীকৃত কিতাবসমূহ হতে শিয়া বিশ্বাসের অনুকূল মতসমূহ পেশ করতে থাকে, আরেক দিকে যেসব উসুলের উপর ভিত্তি করে এসব কিতাব রচিত হয়েছে সেসবকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তদস্থলে শিয়া কিতাবসমূহের গ্রহণযোগ্যতা সাব্যস্ত করে।শিয়া আকীদার বিপরীতে অবস্থানকারীদের যাদের মধ্যে আপোষকামীতা পায়, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পৃষ্ঠপোষকতা এরা করে।

শিয়াবাদের বর্ডার কোথা থেকে শুরু সেটা পরিষ্কার করে জানা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু বর্ডার গার্ডরাই যে অনেক জায়গায় ইতোমধ্যে কম্প্রোমাইজড!

উদাহরণস্বরুপ পশ্চিমবঙ্গের এক প্রথিতযশা দরবারের কথা আজ জানা যাক।  দাবী অনুযায়ী এই দরবারের মাশায়েখে কেরামের নিসবত হুযুর গাউসে পাকের পবিত্র বংশধারার সাথে।  অনেকে তা বিশ্বাসও করেন কারণ তাদের শত বছরের পুরানো কাছীদাসমূহে আহলে আবা-আহলে বাইত- আসহাবে কেরাম এর মুয়াদ্দাত-মুহাব্বাত-তাযীমের ছাপ স্পষ্ট।

এই দরবারের আহলে বাইত, গদীরে খুম, পাক পাঞ্জাতন, কারবালা, সুফিজম নিয়ে নিয়মিত আয়োজন হয়।যেহেতু পারস্য সূফিজমের সবচেয়ে উর্বর ক্ষেত্র ছিলো সেহেতু ইনারা বর্তমান পারস্যের আহলে তাশাইয়্যুদের সাথেও বেশ সুসম্পর্ক রেখেই চলেন।বিগত কয়েক বছর ধরে এই দরবারের দায়িত্বশীলরা আহলে তাশাইয়্যুদের অনুসরণে ও সহযোগিতায় শরীর রক্তাক্ত করে তাযিয়া মিছিলের আয়োজন করে আসছেন (যদিও সম্প্রতি পারসিক আহলে তাশাইয়্যুদের রাহবার শরীর রক্তাক্ত করার বিপরীতে মত দিয়েছেন)।

ইনারা একটি জায়গার নামকরণ করেছেন কারবালারনগর,এরপর সেখানে আহলে তাশাইয়্যু মাজরাদের নিয়ে ইমামবাড়ার ভিত্তি প্রস্তরদানের অনুষ্ঠান বেশ ঘটা করেই করেছেন।

জানা থাকা ভালো যে,আহলে তাশাইয়্যুরা হুযুর গাউসে পাককে আলে রাসুল বলেই স্বীকার করে না।  আর হুযুর গাউসে পাকের পবিত্র বংশধারার এই দাবীদারেরা আহলে তাশাইয়্যুদের সন্তুষ্টির স্বার্থে “গুনানিয়াতুত্ত্বালেবীন”-যে হুযুর গাউসে পাককের কিতাব তা বেমালুম অস্বীকার করছেন!!!এক সময়ের শিয়াবাদীদের বিপরীতে অবস্থানকারী এই বর্ডারগার্ডরা অস্তিত্ব বিকিয়ে দিয়ে এখনো নিজেদের কেবল কাদেরী-ই বলেন না, রীতিমতো স্টেকহোল্ডার বলেও দাবী করেন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment