শিক্ষক ইবনে খালদুন
মুহাম্মদ শাহীদুল ইসলাম
প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ইব্ন খাল্দুন উত্তরাধিকারসূত্রে অনেক গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন। মুসলিম চিন্তানায়কদের মধ্যে দর্শন এবং ইতিহাস সম্পর্কিত চিন্ত-ভাবনার ক্ষেত্রে তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। শত শত বছর পার হয়ে যাবার পরও তাঁর রেখে যাওয়া কাজের মূল্য শেষ হয়ে যায়নি। তাঁর সৃষ্ট-কর্মের মূল্য, ক্ষমতা এবং আধুনিকতা বিশ্বের চিন্তার জগতে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। য়ুরোপীয়রা কয়েকশত বছর পূর্ব থেকেই তাঁর মূল্যায়ন করছেন। পশ্চিমা লেখকদের কাছে ইব্ন খাল্দুনের মত ব্যক্তিত্ব যেন পুরোপুরি অবহেলিত। তাঁর মূল্য আমরা বুঝতে না পেরে তাঁকে আজ বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে ফেলতে বসেছি। মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণে তাঁর যে বিশাল ভূমিকা রয়েছে তার কতটা খোঁজ আমরা নিতে পেরেছি অথচ মুসলমান হিসেবে য়ুরোপীয়দের চাইতে এ দায়িত্ব আমাদের অনেক বেশি। এ প্রসঙ্গে সঙ্গত কারনে উপস্থাপন করছি যে, ইব্ন খাল্দুন নিছক ‘একজন ঐতিহাসিকই নন তিনি একজন প্রতিথযশা শিক্ষক ও ছিলেন যা কিনা তার লেখনি ও বিভিন্ন বক্তৃতায় ফুটে উঠেছে। নি¤েœ তার একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা করার প্রয়াস পাচ্ছি।
ইব্ন খাল্দূন মিশরে পৌঁছলেন। কায়রোর বিবরণ। খাল্দুন আল্ আজহার শিক্ষাঙ্গনে বক্তৃতা দিলেন। রাজদরবার তাঁর পরিচয় পর্ব। ‘কামবিয়াহ’ স্কুরে তাঁর নিয়োগ লাভ। তাঁর প্রথম বক্তৃতা। মালিকী বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ। তাঁর চারপাশে গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতি। ন্যায়বিচার সম্বন্ধে তাঁর মন্তব্য। খাল্দূন সস্পর্কে মিশরীয় লেখকগণ কর্তৃক সমালোচনা। পরিবার-পরিজনকে চিরদিনের মত হারানো। বিচারকের পদ থেকে অব্যাহতি’ কিন্তু শিক্ষক হিসেবে নিয়োগলাভ অব্যাহত। পবিত্র ভূমিতে যাত্রা। ‘সারঘাতমাস’ স্কুলে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগলাভ। ইয়ালবুগা আল নাসিরী কর্তৃক বিদ্রোহ এবং সুলতান বারকুকের সিংহাসনচ্যুতি। ইয়ালবুগার পতন এবং সিংহাসনে সুলতান বারকুকের পুনর্বহাল। মিশরীয় রাজ্যগুলোর প্রতি ইব্ন খাল্দুনের মনোভাব। পড়াশুনা ও গবেষণায় নিয়োজিত থাকা।
৭৮৪ হিজরীর সাবান মাসের মাঝামাঝি সময়ে (অক্টোবর, ১৩৮২ খৃ.) ইব্ন খাল্দুন এক কষ্টকর সমুদ্র যাত্রার পর আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে এসে পৌঁছান। এ সময় ঈদুল আজহার আনন্দ উৎসব চলছিল। ইব্ন খাল্দুন বলেন যে, তাঁর মিশরে আসার উদ্দেশ্যে ছিল হজ্জ্বপালনেচ্ছু মরু হজ্জ্বযাত্রীদের সাথে মিলিত হয়ে মক্কা যাবার প্রস্তুতি নেয়া। যেহেতু তিউনিস থেকে তাঁর পক্ষে সে ইচ্ছা পূরণ হওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, তাই তিনি কায়রো এসছেন। কিন্তু আসলে এই হজ্বপালন করার ইচ্ছা তিউনিস ছাড়ার এক অজুহাত ছিল মাত্র। তাই তাঁর মিশরে উপস্থিতি নিজেকে ভাগ্য বিড়ম্বনার আশঙ্কা থেকে মুক্ত করে এক ধরনের পলায়নমাত্র। এতে সন্দেহ নেই যে, তিনি চেয়েছিলেন বাকী জীবনটা নীরবে এবং গোলযোগমুক্ত পরিবেশে কাটিয়ে দেবেন অর্থাৎ শিক্ষকতায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন। দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তর আফ্রিকায় তিনি যে সংগ্রামী এবং ঝুঁকিপূর্ণ জীবন অতিবাহিত করেছেন তা কখনো তাঁকে স্থিতিপূর্ণ জীবন যাপন করতে দিতে পারেনি। এ সময় তিনি বায়ান্ন বৎসর বয়সে পদার্পণ করেন। তখনও তাঁর স্বাস্থ্য খুব ভাল ছিল। তখনও তিনি খুব কর্মঠ ও প্রাণ-শক্তিতে ভরপুর ছিলেন। সে সময়ও তিনি প্রভাব প্রতিপত্তি ও সম্মান পাবার আকাঙ্খা করতেন। এ সময় কায়রো ছিল মুসলমানদের এক জ্ঞানকেন্দ্র। পূর্ব ও পশ্চিমের মুসলমানরা এখানে এসে জমায়েত হতেন। ফলে সুপরিচিত এই জ্ঞানকেন্দ্র তখন সাহিত্য ও জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি লাভ করেছিল। মিশরের রাজদরবার এসব জ্ঞানী ও প-িতদের কদর করতেন। এজন্যে ইব্ন খাল্দূনও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা লাভের আশা করেছিলেন। খাল্দূন ৭৮৪ হিজরীর জিলক্বদ মাসে (নভেম্বর, ১৩৮২ খৃ.) কায়রো পৌঁছেন। তিনি কায়রোর বিশালতা, নগরীর ঝলমলে আলো এবং এর জাঁকজমকতা দেখে মুগ্ধ হন। ইতোপূর্বে দীর্ঘ দিন যাবৎ ইব্ন বতুতাসহ অনেক পর্যটক মনীষী এ নগরীর সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়েছিলেন। অবশ্য ইব্ন খাল্দূনের জন্যে ব্যাপরটা খুব স্বাভাবিক ছিল। স্পেনে কিছুদিন অবস্থানকালেও তিনি কায়রোর মত বিশাল নগরী দেখতে পাননি। কায়রো পৌঁছে তিনি এর সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করেন। এ নগরীর দৃশ্য দেখে তিনি গভীর আবেগ এবং আনন্দে উদ্বেলিত হন। তাঁর আনন্দের প্রকাশ কয়েকটি লাইনে ফুটে উঠে। তা নিচে দেয়া হলো –
“এটি যেন বিশ্বের বাগান। কায়রো যেন সমস্ত রাষ্ট্রসমূহের এক নাট্যশালা। এখানে অনেক ধরনের মানুষের দেখা পাওয়া যায়। মনে হয় এটি যেন ইসলাম ও সমস্ত মুসলমানদের রাজধানী! এর প্রাসাদগুলো যেন আকাশে গিয়ে ঠেকেছে। আর এখানকার জ্ঞানী গুণীগণ যেন আকাশের তাঁরার মত উজ্জ্বল হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন। এ নগরীর রাস্তাগুলো লোকে লোকারণ্য এবং এর বাজার ও দোকানগুলো এমনভাবে সাজানো থাকে যে, দেখে মনে হয়, সব সম্পদ যেন এখানে উপচে পড়ছে।”
ইব্ন খাল্দুন মিশরে অপরিচিত ছিলেন না। কায়রোর শিক্ষিত সমাজ ও বুদ্ধিজীবী মহলে তিনি নামে পরিচিত ছিলেন। কারণ তাঁর ইতিহাস গ্রন্থের প্রখ্যাত ভূমিকা বা ‘প্রলেগোমেনা’ সম্বন্ধে এরা অবগত ছিলেন। তাঁর এ গ্রন্থ প্রকাশিত হবার পর যখন কায়রো এসে পৌঁছায় তখন সে গ্রন্থ সুধীমহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছিল। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়ে তুলেছিল। ফলে তিনি কায়রো পৌঁছামাত্র সুধীমহলে আলোড়ন পড়ে যায়। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে দেখার জন্য ভীড় করে। পরবর্তীকালে তাঁর লেখায় তিনি বিনয়ের সাথে বলেন, “ছাত্ররা এসে আমার কাছে ভীড় জমায়। তাঁরা আমার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে চায়। যদিও জ্ঞানদান করার মত জ্ঞানী আমি নই। আমার জ্ঞানের স্বল্পতার কথা তাদের কাছে যতই বলি, তাঁরা তা মানতে রাজী নয়।”
যেসব মিশরীয় লেখক ইব্ন খাল্দূনের জীবনী লিখেছেন তারাও পরোক্ষভাবে এ বিষয়ে উল্লেখ করেছেন। আবুল মাহাসন ইব্ন তাঘ্রি বিরদি ইব্ন খাল্দূন সম্পর্কে বলেন, “তিনি (ইব্ন খাল্দূন) মিশরে স্থায়ীভাবে বাস করতে শুরু করেন। কিছুদিন তিনি আল্ আজহার মসজিদে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন, নিজে পড়াশুনা করেন এবং অন্যদেরও পড়ান।” আল্ সাখাউই বলেন, “কায়রোর অধিবাসীরা তাকে সাদরে গ্রহণ করেন এবং যথাযথ সম্মান দান করেন। তারা সবসময় তাঁর চারপাশে অবস্থান করতেন। আমাদেন মনে হয় তিনি হাদীস এবং মালিকী মতবাদের উপর বক্তৃতা দিতেন। এসব বক্তৃতায় তিনি তত্ত্বজ্ঞান এবং সমাজ, সমাজের প্রাণশক্তি (আল্ আসাবিয়াহ) ইত্যাদির উপর তাঁর নিজস্ব মতবাদ এবং ধারণা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দান করতেন। তাঁর লেখা ‘আল্ উমরান’ বা ভূমিকাতে যে সব বিষয় লেখা হয়েছে তাঁর মূল ভিত্তি হল একটি রাষ্ট্রের উত্থান ও তাঁর সার্বভৌম ক্ষমতা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে তিনি যে সব আলোচনা করতেন সেসব। তাঁর এসব বক্তৃতার মাঝে আমরা দেখতে পাই ইব্ন খাল্দূন গভীর জ্ঞান, নিরলস গবেষণা এবং প-িত্যে পরিপূর্ণ একজন মানুষ ছিলেন। খাল্দূন ছিলেন একজন বাগ্মী, মনোমুগ্ধকর ব্যাখ্যাকার এবং প-িত ব্যক্তি। খাল্দূন তাঁর যুক্তি এবং সুন্দর উপস্থাপনা দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করতে পারতেন। আমরা এসব মন্তব্য এবং তথ্য বেশ কয়েকজন মিশরীয় লেখক এবং প-িতের লেখা থেকে জানতে পারি। তাঁর এসব বক্তৃতা যে সব ছাত্র শুনেছেন তাদের মধ্যে ছিলেন প্রখ্যাত ঐতিহাসিক তকি আল্দীন আল্ মাকরিজী। এমন আরেকজন আছেন যার নাম আল হাফিজ ইব্ন হাজর। এঁরা খাল্দূনের জ্ঞান ও পা-িত্য দ্বারা উপকৃত হয়েছিলেন। ইবনে হাজর তাঁর লেখার এক জায়গায় খাল্দূন সম্পর্কে বলেন, “তিনি একজন খুব ভাল বাগ্মী ছিলেন। তাছাড়া একজন উঁচু মানের প্রবন্ধ লেখক ছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে যে সব প্রবন্ধ লেখা হয়েছিল। এসব বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও পা-িত্য ছিল তখনকার যুগে প্রশ্নতীত”। আল সাখাউই আল্ বিস্বিসি এবং আল্ রিক্রাকী বলেন, “তিনি একাধারে অনেকক্ষণ যাবৎ সুন্দর বক্তৃতা দিতে পারতেন”। ইবনে খাল্দূন দেখতে সুদর্শন ছিলেন। তিনি একজন শিক্ষক হিসেবে আদর্শ স্থানীয় ছিলেন। এসব নানা কারণে ইব্ন খাল্দূন কায়রো পৌঁছামাত্র কায়রোবাসীদের সহানুভূতি, প্রশংসা ও সম্মান পেয়ে গেলেন। তবে তাঁর চারিদিকের এই পরিবেশ বেশিদিন বজায় রইল না। ইতোমধ্যে খাল্দূন আলা আল্ দীন আল্ তিনবুঘা আল জাওয়ানী নামক এক আমীরের সাাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। রাজদরবারের এই আমীর বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ খাল্দূনকে সুলতানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সে সময় মিশরের সুলতান ছিলেন আল জহির বারকুক। খাল্দুনে মিশর আগমনের মাত্র কিছুদিন আগে তিনি সিংহাসনে বসেছেন। তিনি ঐতিহাসিক খাল্দূনকে সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং তাঁর প্রতি বেশ আগ্রহ দেখান। ইব্ন খালদূন বলেন, “তিনি আমাকে বিদেশী হিসেবে না দেখে আপন করে নেন। একজন মিশরবাসী ওলামাকে যে ধরনের পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় আমাকেও তেমনিভাবে ভাল পারিতোষিক দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আমার সবরকম সুযোগ সুবিধার দিকে খেয়াল রাখা হয়। এভাবে খাল্দূনের আকাঙ্খা বাস্তবে রূপায়িত হয়। সময়টা ছিল ৭৮৪ হিজরীর রমজান মাসের শেষ দিকে।
ইব্ন খাল্দূন চেয়েছিলেন মিশরে এসে স্থায়ীভাবে বাস করবেন এবং একটা নীরব ও শান্ত পরিবেশে জীবন অতিবাহিত করবেন। আমরা দেখি মিশরে আসার পর পরই ঐতিহাসিকের সে বাসনা পূরণ হয়। একজন শাসকের পৃষ্ঠপোষকতা ও অনুগ্রহ লাভ করে তাঁর ছায়াতলে থেকে তিনি ভালভাবেই জীবন কাটাতে থাকলেন। কিছুদিনের মধ্যে সুলতান তাকে ‘কামবিয়াহ’ স্কুলের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদান করেন। এই স্কুলটি ছিল আমরের মসজিদের নিকট এবং এই মসজিদটি ছিল মালিকী মযহাবের এক প্রতিষ্ঠানের অধীন। ঐতিহাসিক ইব্ন খাল্দূন উল্লেখ করেন যে, যেদিন তিনি প্রথম সে স্কুলে বক্তৃতা দেন সেদিন কায়রোর অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সুলতান এঁদেরকে পাঠিয়েছিলেন। এঁরা সবাই খাল্দূনের চারপাশ ঘিরে তাঁর বক্তৃতা শুনছিলেন। সেদিনই তিনি কায়রোর সুধীমহলে একজন চমৎকার বাগ্মী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর গ্রন্থে সেই বক্তৃতা হুবহু লিপিবদ্ধ করেছে। ওই বক্তৃতায় ওলামা সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তা, দেশ ও সরকারের কাছে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। এক একটি দেশের উত্থান-পতন এবং সেই সাথে মিশরীয় সুলতানদের বংশানুক্রমিকভাবে ইসলামের খেদমত করার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এভাবে এই সুলতানগণ ইসলামের শক্তিবৃদ্ধি করেছেন। এই সুলতানগণ দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদ ও শিক্ষালয় স্থাপন করে দেশের মানুষদের আলোর সন্ধান দিতে সাহায্য করেছেন। এছাড়া গবেষণাকর্ম ও বিজ্ঞানের উন্নতি বিধান, ওলামা সম্প্রদায় ও বিচারকবৃন্দের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা প্রদর্শন করে এঁরা গুণীজনের কদর করেছেন। এখানে তিনি প্রধান বিচারপতি আল্ মালিক আল জহিরের ন্যায়বিচারের প্রশংসা করেন তাঁর বিচক্ষণ আর বিজ্ঞজনোচিত বিচারের জন্য খাল্দূন আল্লাহর রহমত কামনা করেন। তিনি পরোক্ষভাবে নিজের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন যে, তাঁকে যে চাকরী দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে, সে জন্যে তিনি সুলতানের কাছে কৃতজ্ঞ। এরপর কাব্যিক ভাষায় তাঁর পশ্চিম দেশ থেকে পূর্ব দেশে আগমনের কথা বর্ণনা করেন। সেই সাথে ইসলামের প্রসারতা, ক্ষমতা এবং তা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি আরো বলেন যে, ইসলামে বিজ্ঞান ও তার চর্চা যেহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা দেখে মনে হয় দিনে দিনে ইসলামের শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে। মিশরে আসার পর তাঁকে যে সম্মান দেয়া হয়েছে, সে জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।