শা’বান মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
মুহাম্মদ তুহিনুর রহমান শাহজাহান
বরকতময় সময়গুলোর মধ্যে শা’বান মাস উল্লেখযোগ্য।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসেই সর্বাধিক রোযা রাখতেন। এই মর্মে হাদীসের ভাষ্য নিম্নরুপঃ-
🕋 হাদীস নং ১
আম্মাজান হযরত আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রামাদ্বান ছাড়া অন্য সময় পূর্ণমাস রোযা রাখতে দেখিনি এবং শা’বান মাসের মত অধিক পরিমাণ নফল রোযা অন্য কোন মাসে রাখতেও দেখিনি। (বুখারীঃ১৯৬৯, মুসলিমঃ১১৫৭, নাসায়ীঃ২৩৫১-২৩৫৪)
🕋 হাদীস নং ২
হযরত উসামা বিন যায়েদ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, একদা আমি প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমিতো আপনাকে শা’বান মাসের মত অন্য কোন মাসে এত অধিক রোযা রাখতে দেখিনি? উত্তরে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ মাসটির ব্যপারে মানুষ বড়ই উদাসীন। অথচ এ মাসেই মানুষের আমল সমূহ আল্লাহর দরবারে উপস্থিত করা হয়। আমি চাই আমলগুলো (আল্লাহর দরবারে) এমন অবস্থায় পেশ করা হোক যখন আমি রোযাদার।
(নাসায়ীঃ২৩৫৭, বায়হাক্বী শু’আবুল ঈমানঃ৩৮২০)
বুখারী ও মুসলিমসহ হাদীসের প্রসিদ্ধ গ্রন্হ সমূহে এ বিষয়ে আরো অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, যেগুলো এ মাসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকেই ফুটিয়ে তুলে। এ ছাড়া শবে বরাতও এ মাসেই অবস্হিত, যা অত্যান্ত বরকতময় ও অধিক তাৎপর্যপূর্ণ এবং তা শা’বানের ১৫ তম রাত্রি। অর্থাৎ চতুর্থদশ তারিখের সূর্যাস্ত থেকে আরম্ভ হয়ে সুবহে সাদিক পর্যন্ত।
আল্লাহ যেন আমাদেরকে নেক আমল করার তাওফিক দান করেন। আমিন