ভূমিকা: ইসলামী পরিভাষায়, অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি শব্দ হল শহীদ। এটি ইসলামের নিজস্ব পরিভাষা। আল্লাহ তা’য়ালার নিরানব্বইটি গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি নাম আশ শাহীদ।
আভিধানিক বিশ্লেষণ:
======≠========
শব্দটি বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হলেও মূলে আরবী, শাহাদাহ ধাতু মূল হতে একবচনে বিশেষ্য পদ। কখনো বিশেষণ পদ হিসেবেও ব্যবহৃত। অর্থ- উপস্থিত, প্রত্যক্ষ করা, সাক্ষ্য দেয়া । বহুবচনে আশহুদ, শুহুদ এবং শুহাদা।
পারিভাষিক পরিচয়:
======≠========
الشهيد في الاصطلاح الشرعي: من مات من المسلمين في سبيل الله دون غرض من الدنيا.
অর্থাৎ – শরীয়তের পরিভাষায় শহীদ হলো, যেই মুসলমান ব্যাক্তি পার্থিব উদ্দেশ্য ছাড়াই আল্লাহর পথে নিহত হন।
অন্যত্র বলা হয়েছে-
هو من قتله أهل الحرب مباشرة أو تسببا بأي سبب كان أو من قتله أهل البغي أو قطاع الطرق أو اللصوص في منزله أو وجد في المعركة مع الكفار وبه أثر جرح أو كسر أو حرق أو خروج دم من أذن أو عين لا من الفم والأنف ( لأن الدم يخرج من هذه المخارج من غير ضرب ) أو قتله مسلم ظلما عمدا لا خطأ بمحدد ( 1 ) لا بمثقل ( 2 ) وسمي شهيدا لأنه مشهود له بالجنة (فقه العباداة، كتاب الصلاة، الباب العاشر ( الجنائز )-1/123)
শহীদ বলা হয় ঐ ব্যক্তিকে, যাকে কাফেররা সরাসরি হত্যা করে অথবা আঘাতের কারণে পরে নিহত হয়। এমনকি যেকোন কারণেই হোক। জুলুমকারী অন্যায়ভাবে হত্যা করে, ছিনতাই বা ডাকাত কর্তৃক, নিজ ঘরে চোর কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে। অথবা যাকে যুদ্ধ ময়দানে পাওয়া যাবে এবং তার শরীরে যদি কাটার দাগ, বা ক্ষত কিংবা পোড়ার চিহ্ন, কিংবা চোখ বা কান থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে মুখ বা কান থেকে রক্তক্ষরণ হলে ধর্তব্য নয়। {কেননা কান বা মুখ থেকে আঘাত ছাড়াও রক্ত বের হতে পারে} অথবা যাকে হত্যা করেছে কোন মুসলমান ইচ্ছেকৃত জুলুম করে, ভুল করে হত্যা অন্তর্ভূক্ত নয়। অথবা হত্যা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ভারী কিছু দিয়ে করলে অন্তর্ভূক্ত নয়। উপরোক্ত ব্যক্তিগন শহীদ। তাকে শহীদ এজন্য বলা হয় যে, সে জান্নাতে উপস্থিত হয়ে যায়। {ফিক্বহুল ইবাদাত, কিতাবুস সালাত, ১০ম অধ্যায়, জানাযা-১/১২৩}
সংক্ষেপে ইসলাম ধর্মের জন্য শরীয়তের নির্দেশিত পন্থায় নিহত হওয়াকে শহীদ বলে।
কুরআনের ভাষায় শহীদ:-
==================
وَلَا تَقُولُوا لِمَنْ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِنْ لَا تَشْعُرُونَ [٢:١٥٤]
আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়,তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত,কিন্তু তোমরা তা বুঝ না। {সূরা বাকারা-১৫৩}
﴿ وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُوْلَئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاء عِندَ رَبِّهِمْ لَهُمْ أَجْرُهُمْ وَنُورُهُمْ وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُوْلَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ ﴾
এবং যারা আল্লাহ এবং তার রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে তাহারা হচ্ছে সিদ্দিকী এবং শহীদ। তাদের প্রতিপালকের নিকট তাদের প্রতিদান এবং তাদের জ্যোতি রয়েছে ।
এবং যারা আমার আয়াত সমূহ অস্বীকার এবং মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে তারা জাহান্নামের অধিবাসী। (সূরা: আল হাদীদ-১৯)
فَلْيُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ الَّذِينَ يَشْرُونَ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا بِالْآخِرَةِ ۚ وَمَنْ يُقَاتِلْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤:٧٤]
কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব। {সূরা নিসা-৭৪}
উপরোক্ত আয়াতে কারীমাগুলো লক্ষ্য করুন! আল্লার রাস্তায় যুদ্ধ রত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী সহ আল কোরআনের ভাষায় আরো এক শ্রেণীর শহীদদের পরিচয় বিবৃত হয়েছে। তারা হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা এবং তার রসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপনকারী তথা মুমিনগন।
হাদীসের ভাষায় শহীদ:-
================
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
(১) যে মুসলমান তার দ্বীনের জন্য নিহত হ’ল, সে শহীদ।
(২) যে তার জীবন রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ ।
(৩) যে ব্যক্তি তার সম্পদ রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ ।
(৪) যে ব্যক্তি তার পরিবার রক্ষার্থে নিহত হয়, সে শহীদ।
[তিরমিযী হা/১৪২১, আবু দাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩৫২৯ ‘ক্বিছাছ’ অধ্যায়।
(৫) যে ব্যক্তি মহামারীতে মারা যায়, সে শহীদ,
(৬) যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় (কলেরা, ডায়রিয়া) মারা যায়, সে শহীদ,
(৭) যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায়, সে শহীদ’।
[মুসলিম, মিশকাত হা/৩৮১১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৯।
(৮) যে ব্যক্তি মযলূম অবস্থায় নিহত হয়, সে শহীদ’।
[আহমাদ হা/২৭৮০, ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৪৭]
(৯) যে ব্যক্তি তার ন্যায্য অধিকার রক্ষায় নিহত হয়, সে শহীদ’।
[মুসনাদে আবু ইয়া‘লা হা/৬৭৭৫; সনদ হাসান]
.
রাসূল (ﷺ) অন্যত্র বলেন, আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তি ছাড়াও আরও সাত জন ‘শহীদ’ রয়েছে। তারা হ’ল :
(১) মহামারীতে মৃত (মুমিন) ব্যক্তি ।
(২) পানিতে ডুবে মৃত ব্যক্তি ।
(৩) ‘যাতুল জাম্ব’ নামক কঠিন রোগে মৃত ব্যক্তি।
(৪) (কলেরা বা অনুরূপ) পেটের পীড়ায় মৃত ব্যক্তি
(৫) আগুনে পুড়ে মৃত ব্যক্তি
(৬) ধ্বসে চাপা পড়ে মৃত ব্যক্তি ও
(৭) গর্ভাবস্থায় মৃত মহিলা’।
[আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/১৫৬১, সনদ ছহীহ]
وعن أبي موسى قال : جاء رجل إلى النبي صلى الله عليه وسلم فقال : الرجل يقاتل للمغنم والرجل يقاتل للذكر والرجل يقاتل ليرى مكانه فمن في سبيل الله ؟ قال : ” من قاتل لتكون كلمة الله هي العليا فهو في سبيل الله “
হযরত আবু মুসা রাঃ থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করল-এক ব্যক্তি গনীমতের মাল অর্জনের জন্য জিহাদ করল, একজন নিজের বীরত্বের সুনামের জন্য জিহাদ করল, একজন তার বীরত্ব দেখানোর জন্য জিহাদ করল, এদের মাঝে কে আল্লাহর পথে প্রকৃত জিহাদ করল? রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করার জন্য জিহাদ করল, সে প্রকৃত মুজাহিদ। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৬৫৫, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫০২৯}
عن سعيد بن زيد عن النبى -صلى الله عليه وسلم- قال : « من قتل دون ماله فهو شهيد ومن قتل دون أهله أو دون دمه أو دون دينه فهو شهيد
হযরত সাঈদ বিন যায়েদ থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-”যে ব্যক্তি নিজ সম্পত্তি রক্ষায় নিহত হয় সে শহীদ। যে ব্যক্তি নিজ পরিবার রক্ষায় নিহত হয় সেও শহীদ। অথবা প্রাণ রক্ষায় কিংবা দ্বীন রক্ষায় নিহত হয় সেও শহীদ। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৪৭৭৪, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬৫২)
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদরত অবস্থায় যারা শহীদ হন তাদের বলা হয় শহীদ। এটা হল সত্যিকার শহীদ। রাসূল সাঃ কতিপয় ব্যক্তিকে হুকুমের দিক থেকে শহীদ বলেছেন। প্রকৃত শহীদ নয় বরং শহীদের কাছাকাছি মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। যেমন হাদীসে রয়েছে –
أن جابر بن عتيك أخبره :أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال الشهداء سبعة سوى القتل في سبيل الله المطعون شهيد والغرق شهيد وصاحب ذات الجنب شهيد والمبطون شهيد والحرق شهيد والذي يموت تحت الهدم شهيد والمرأة تموت بجمع شهيد
হযরত জাবের বিন আতীক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করা ছাড়াও সাত প্রকার শহীদ রয়েছে। ১-মহামারীতে মৃত্যুবরণকারী শহীদ।
২-পানিতে নিমজ্জিত শহীদ।
৩-শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত শহীদ।
৪-পেটের রোগ মৃত্যুবরণকারী শহীদ।
৫-আগ্নিদগ্ধ ব্যক্তি শহীদ।
৬-যে ব্যক্তি ধ্বংসাবশেষের নিচে পড়ে মারা যায় সেও শহীদ।
৭-সন্তান প্রসব করতে মারা যাওয়া নারীও শহীদ। {মুয়াত্তা মালিক, হাদিস নং-৫৫৪, ৮০২, আল মু’জামুল কাবীর, হাদিস নং-১৭৮০, সহীহ কুনুযুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যাহ, হাদিস নং-২৩}
রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক প্রচলিত অর্থে শহীদ:-
=============================
উপরের আলোচনার মাধ্যমে একথা সুস্পষ্ট যে, অন্যায় ভাবে কাউকে নিহত করলে তিনি ইসলাম ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ হতে শহীদের মর্যাদা পাবেন। বাংগালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কিংবা মেজর জিয়া কেউ শহীদের ব্যতিক্রম নন।
রাষ্ট্রীয় পরিভাষায় শহীদ শব্দের ব্যবহার লক্ষ্যনীয়। ৫২ সালের ভাষা সংগ্রামে নিহত কিংবা ৭১ এ স্বাধীনতা সংগ্রামে নিহত কাউকে রাষ্ট্র শহীদের খেতাব প্রদান করলে সেক্ষেত্রে উক্ত পরিভাষার সাথে ইসলামী পরিভাষায় ব্যবহৃত শহীদ শব্দের সাথে কোন কনফ্লিক্ট বা পারষ্পরিক দ্বন্দ্ব নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত দু’টি বিষয়ের শর্ত বিরোধী হয়।
১) মুসলিম হওয়া
২) সামাজিক পরিভাষাটি জন সাধারনের জ্ঞাতার্থে ধর্মীয় অর্থে ব্যবহার না করা।
উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, একজন বিধর্মী ব্যক্তি দেশ রক্ষার জন্য শত্রু কর্তৃক নিহত হলে সামাজিক পরিভাষা হিসেবে রাষ্ট্র তাকে শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করলে অবশ্যই সেটি সামাজিক পরিভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন ভাবেই যেনো শব্দটি জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে ধর্মীয় অর্থে ব্যবহার করা না হয় ।
বর্তমান বাংলাদেশে শহীদ শব্দটি পুরোপুরি সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিভাষা নয়। বরং ইসলামী পরিভাষা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। তাই এর যত্রতত্র ব্যবহার কিছুতেই কাম্য নয়। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, নাস্তিক-মুরতাদ সকলের জন্যই এ শব্দ ব্যবহার করা একটি ধৃষ্টতা বৈ কিছু নয়। বিশেষ করে যারা নাস্তিক, ধর্মদ্রোহী কিংবা রাজনৈতিক হীন লালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে মারা গেছে তাদের শহীদ বলাটা ইসলামের এ মর্যাদাপূর্ণ শব্দকে নিয়ে তামাশা করা ছাড়া আর কিছু নয়।
সম্প্রতি শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড বড় দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেলো। বেশ কিছু উৎসুক এ হামলা গুলোতে সাধারণ ভাবেই নিহতদের শহীদ বলার পক্ষে বিপক্ষে তর্কে বিতর্কে লিপ্ত হয়েছেন। উপরের হাদীস গুলোর আলোকে মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ, বোমা হামলা, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে নিহতরা উপরের শর্তানুযায়ী মুসলিম হলে শহীদ এবং অমুসলিম হলে নিহত শব্দ ব্যবহার করুন।
তবে অবশ্যই নিহতদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি, মানবিক সহযোগিতা, সমবেদনা জ্ঞাপন, সহমর্মিতা জানানো কোনো ভাবেই ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিপন্থী নয়। বরং ইসলাম এসব কাছে উৎসাহিত করে।
রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে, মানুষের উপকার করে। মুসলিম, মুমিন, আত্মীয় না বলে নবীজী সাঃ মানুষ শব্দ উল্লেখ করেছেন।
শহীদদের শহীদ বলা হয় কেনো?
=======≠====================
১. কেননা কেয়ামতে স্বয়ং তাদের থেকেও সাক্ষ্য চাওয়া হবে।
৩. তারা কুরআনের স্পষ্ট বর্নণানুযায়ী যেহেতু মৃত নন, তাই উপস্থিত বা সাক্ষী দাতা।
৪. আল্লাহ তায়ালার ব্যাপারে সত্যের সাক্ষী বাস্তবায়ন করতেই মৃত্যু বরণ করেছেন।
৫. তারা যেহেতু আল্লাহ পাকের অাশ্চর্য সৃষ্টি সমূহ দেখতে পান, যা অন্যরা কিয়ামত পর্যন্তও দেখতে পারবে না।
গ্রন্থসূত্র: মাজমাউল বাহরাইন।
শহীদের প্রকার এবং হুকুম:-
====================
উল্লেখ্য যে, শরীয়াতের পরিভাষায় শহীদ শব্দটি বিশেষ এবং ব্যপক অর্থে, দুটি অর্থেই প্রচলিত।
অনেকে একই বিষয়টি শব্দের প্রকৃত এবং রূপকার্থে ব্যবহারের ভাগে বিভক্ত করেছেন। কেউ কেউ দুনিয়া আখিরাতে শহীদের প্রকৃত অবস্থান বিবেচনায় তিন ভাগে করেছেন।
ব্যপকার্থে ব্যবহৃত শহীদ শব্দের উল্লেখিত সকল মুমিন ব্যক্তি আখেরাতে শহীদের নেকী পাবেন। কিন্তুু দুনিয়াতে তাদের গোসল ও জানাযা করা হবে।
পক্ষান্তরে, প্রকৃতার্থে ব্যবহৃত শহীদদের গোসল নেই। তার পরিধেয় বস্ত্র সহ তাকে জানাজা ও দাফন করা হবে। তিনি ঐ অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উঠবেন।
[বুখারী হা/৪০৭৯; মিশকাত হা/১৬৬৫; মির‘আত হা/১৬৭৯, ৫/৪০০ পৃঃ]
সমাপনী:-
=======
প্রতিটি শব্দের যথাযথভাবে ব্যবহারই এবং প্রায়োগিক নৈপুন্য ভাষাকে সুন্দর ও শব্দকে সাফল্য মন্ডিত করে। এক্ষেত্রে শব্দের সংকীর্ণ ব্যবহার এড়িয়ে ভাষাকে সমৃদ্ধশালী করাই জ্ঞানবানদের জন্য সময়োচিত পদক্ষেপ বলে মনে করি। পরিশেষে পবিত্র কোরআনের একটি বাণী দিয়ে শেষ করছি।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তাঁর নিদর্শনাবলীর অন্যতম হল- আসমান জমিন সৃষ্টি, তোমাদের বিভিন্ন রং, ধরণ এবং ভাষার বিভিন্নতা’। (সূরা রূম: ২২)