*শবে বরাত*

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম, আম্মা বা’দ। বর্তমান সমাজ এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যার ফলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছি। ভেবে পাইনা কার কথা শুনবো! কার কথাকে প্রাধান্য দেবো! মানুষ এমন এক ঘোলাটে পরিস্থিতিতে পড়ে ধর্মবিমুখ হয়ে পড়ছেন।

ইসলামে এটা নাই, ওটা নাই , এটা করলে বিদায়াত, ওটা করলে শির্ক – এমন একের পর এক ফতোয়ার দরুন সরলমনা মানুষ পথহারা পথিকের মত ধর্মীয় রীতিনীতিতে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ছেন। আজ আমার এই লেখা তাদেরই জন্য, যারা সরল মনে নেগেটিভ চিন্তাভাবনার বাইরে এসে স্বজ্ঞানে জানতে বা জানানোর জন্য পড়বেন। আশাকরি প্রত্যেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। বিতর্ক নয়, সম্মানের সাথে ক্ষুদ্র জ্ঞানে লেখার যোগ্যতা না থাকলেও সাহস করে একটু করে লেখতে চেষ্টা করলাম।

এবার আসুন, শব এবং বরাত (شب برات ) শব্দদ্বয় পবিত্র কুরআন এবং হাদীস শরীফে নেই কেন? কারণ এগুলো ফার্সি শব্দ। যেমন নামায, রোযা, খোদা, ফেরেশতা, ইত্যাদি ব্যবহৃত শব্দ। ফার্সী শব অর্থ রাত্রি এবং বরাত অর্থ ভাগ্য বা মুক্তি। সুতরাং শবে বরাত মানে হল ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত। আর হাদীছ শরীফ এ শবে বরাতকে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা অর্ধ শা’বান মাসের (১৪ তারিখের দিবাগত) রাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সিহাহ সিত্তাহ বা বিশুদ্ধ ছয়খানা হাদিস গ্রন্থের কোনো কোনো হাদিস গ্রন্থে এই রাতের বিশেষত্ব নির্দেশক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

এছাড়াও অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও এই রাতের বিশেষত্বের উল্লেখ পাওয়া যায়। সিহাহ সিত্তারই দুটি কিতাব – তিরমিযী শরীফ ও সুনানে ইবনে মাজাহ’তে শুধু যে শবে বরাত’এর ফজীলত সম্পর্কিত হাদীস বর্ণিত আছে তা নয়, বরং ইমাম তিরমিযী (রহ:) তাঁর তিরমিযী শরীফে এবং ইমাম নাসাঈ (রহ:) তাঁর সুনানে পনের শাবানের ফজীলত নিয়ে আলাদা বাব বা অধ্যায়-ই রচনা করেছেন। শাবান মাসটি রমজানের পূর্ববর্তী মাস হওয়ার কারণে বরকত ও পুণ্যময় একটি মাস, এ জন্য রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্দেশ্যে রাসুল সল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এ মাসে অধিক হারে রোজা রাখতেন। মূলতঃ শা’বান একটা প্রজ্ঞাপূর্ণ বরকতময় মাস।

🔰 হাদীস শরীফে উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত:

مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ

অর্থ: আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম’কে রমজান মাসের পর শাবান ছাড়া অন্য কোনো মাসে এতো রোজা রাখতে দেখিনি।

রেফারেন্স:

১.কিতাবুস সওম-১৯৬৯/১৮৬৮ সহিহ বুখারী।

২.কিতাবুস সিয়াম-১১৫৭ সহিহ মুসলিম।

এছাড়াও অর্ধ বা মধ্য শাবান মাসের রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে:

فقدت النبي صلى الله عليه وسلم فخرجت فإذا هو بالبقيع رافع رأسه إلى السماء, فقال: أكنت تخافين أن يحيف الله عليك و رسوله؟ فقلت : يا رسول الله, ظننت أنك أتيت بعض نسائك. فقال إن الله تبارك و تعالى ينزل ليلة النصف من شعبان إلى سماء الدنيا فيغفر لأكثر من عدد شعر غنم كلب)

উম্মুল মুমীনিন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: এক রাতে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাঁকে বাকী গোরস্তানে (জান্নাতুল বাক্বী) পেলাম। তখন রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে করো আল্লাহ ও তাঁর রসূল তোমার প্রতি জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর সান্নিধ্যে চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা মধ্য শা‘বানের (মানে ১৪ দিবাগত) রাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব্ গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশি লোকদের ক্ষমা করেন।

রেফারেন্স:

১.হাদীস শরীফটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮),

২.ইমাম তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২)

ইমাম তিরমিযী উল্লেখ করেন,”হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু-ও এরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন বলে জানা যায়।

৩. অনুরূপভাবে, হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তাঁর সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেন।

❖ হযরত আবু মূসা আল আশ’আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘আল্লাহ তা‘আলা মধ্য শাবানের রাত্রিতে আগমন করেন; মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ছাড়া তিনি তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন।

রেফারেন্স:

১.হাদীস শরীফটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০) বর্ণনা করেছেন।

, عن معاذ بن جبل, عن النبى (, قال : يطلع الله الى خلقه فى ليلة النصف من شعبان, فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ]رواه ابن حبان وغيره, ورجاله ثقات, وإسناده متصل غلى مذهب مسلم الذى هو مذهب الحمهورفى المعنعن, ولم يحزم الذهبى بأن مكحولالم يلق مالك بن يخامر كما زعم, وإنما قاله على سبيل الحسان, راجع ,سبر أعلام النبلاء

অর্থ: হযরত মুআয ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শা’বানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।

রেফারেন্স:

১.সহিহ ইবনে হিব্বান(৫৬৬৫ নং হাদিস)।

২.ইমাম বাইহাকী (রহঃ) শুআবুল ঈমান এ (৩/৩৮২, হাদিস ৩৮৩৩)।

এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হচ্ছে যে, এ রাতে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রহমত ও মাগফেরাতের দ্বারা ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত হয়।

নাসিরুদ্দিন আলবানী সিলসিলাতুল আহাদসিস্ সাহিহা ৩/১৩৫-১৩৯ পুস্তকে এই হাদিসটি সমর্থন করার পর লেখেন,

وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلاريب. والصحة تثبت بأقل منها عددا، مادامت سالمة من الضعف الشديد، كماهو الشأن فى هذاالحديث .

অর্থ: এ সব রেওয়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগত ভাবে এই হাদিসটি নিঃসন্দেহে সহিহ প্রমাণিত হয়।

❖ হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন: রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন মধ্য শা‘বানের রাত্রি আসবে, তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সূর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে, যাকে আমি ক্ষমা করবো? রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে, যাকে আমি রিযিক দেবো? সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে, যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করবো? এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন।”

রেফারেন্স:

১.হাদীস শরীফটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন।

▶ অনেকে উল্লেখিত কিছু হাদীস শরীফকে দ্বয়ীফ (দুর্বল) বলে থাকেন। হাদীস দুর্বল হয় রাবীর দুর্বলতার (কম গ্রহণযোগ্য) কারণে; রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’এর কোনো কথা-ই দ্বয়ীফ বা দুর্বল নয়। মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, সকলেই একমত যে দুর্বল হাদীস ফজিলত হাসিল করার জন্য আমল করা জায়েজ আছে। (মওজুআতুল কবীর, ১০৮ পৃষ্ঠা)

অর্থাৎ, দুর্বল হাদীসের মূল বক্তব্য কুর’আন শরীফ অন্য কোনো সহীহ হাদীসের পরিপন্থী না হলে বা বিরোধিতা না করলে আমল করা যাবে।

রেফারেন্স:

**ইবনে তাইমিয়া কৃত ইকতিদায়ে ছিরাতে মুস্তাকীমে ২/৬২৬

**নাসিরুদ্দিন আল-আলবানী কৃত ছিলছিলাতুল আহাদীস আস্‌সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯

আরো অনেকে এ রাত্রিকে ফযীলতের রাত বলে মত প্রকাশ করেছেন।

এই রাতকে অন্য সব সাধারণ রাতের মতো মনে করা এবং এই রাতের ফজিলতের ব্যাপারে যতো হাদিস এসেছে, তার সবগুলোকে মওযু বা যয়ীফ মনে করা ভুল, ঠিক যেমনটি এ রাতকে শবে কদরের মতো বা তার চেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ মনে করাটাও একটা ভিত্তিহীন ধারণা।

মোট কথা, এ রাত্রিতে ফযীলত রয়েছে।

❖ এ ছাড়াও সুস্পষ্ট হাদীস শরীফে এসেছে যে,

আবূ হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তা‘আলা প্রতি রাতের শেষাংশে – শেষ তৃতীয়াংশে, নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন ‘এমন কেউ কি আছে, যে আমাকে ডাকবে আর আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? এমন কেউ কি আছে, যে আমার কাছে কিছু চাইবে আর আমি তাকে দেবো? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো?”

রেফারেন্স:

১.সহীহ বুখারী, ১১৪৫।

২.সহীহ মুসলিম ৭৫৮।

❖ অন্যান্য দেশে এর নাম:

ইরান ও আফগানিস্তানে—- নিম শা’বান।

আরবী ভাষাভাষীর বলে— নিসফ্ শা’বান।

মালয় ভাষাভাষীর বলে —-নিসফু শা’বান।

তুর্কি ভাষাভাষীর বলে —–বিরাত কান্দিলি।

ভারতীয় উপমহাদেশে বলা হয় —শবে বরাত।

আরেকটি কথা না বল্লে নয়, তা হচ্ছে সূরা দুখানের ৩ এবং ৪ এর আয়াতের তাফছির নিয়ে বিখ্যাত তাফছিরকারকগণ একেক ধরনের তাফছির করেছেন। তাঁদের অধিকাংশ লাইলাতুল ক্বদরকে উল্লেখ করলেও কিছু কিছু তাফছিরকারকগণ লাইলাতুল মুবারাকা মানে মধ্য শাবানের রজনীকে উল্লেখ করেছেন। তার একটাই কারণ পবিত্র ”কালামুল্লাহ’ ক্বদর রাতে যে নাজিল হয়েছে, তার প্রমাণ সূরা ক্বদরেই বর্ণনা রয়েছে। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন:

إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ – سورةالقدر

অর্থ: আমি এ কোরআনকে ক্বদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা ক্বদর: ১)

এ ছাড়াও আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন সূরা বাকারায়-

شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ- سورة البقرة

অর্থ: রমযান এমন একটি মাস যা’তে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আল বাকারাহ: ১৮৫)

পবিত্র কুরআন নাজিলের জন্য রমজান মাসকে নির্ধারিত করে দিয়েছেন আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন। আমি এর তাফছির নিয়ে মন্তব্য করতে চাইনা, তবে হাদিস শরীফের বর্ণনার ওপর শরীয়তের হুকুম না হলেও মহান আল্লার দরবারে নিজেকে অর্পণ করার জন্য এমন একটি মহতি কাজে নিরুৎসাহিত করার সেই দুঃসাহস আমার নেই। মুসলিম সমাজে সাধারণ মানুষ আজ ধর্মবিমুখ হয়ে পড়ছেন। যে কোনো ভালো কাজে এখন বিদায়াত ফতোয়া দিয়ে ধর্মীয় অনুরাগ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। যে কাজ ইসলামের মূলে পরিবর্তন নিয়ে আসে, মানুষকে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের (দ:) দেখানো পথ থেকে দূরে নিয়ে যায়, মূল ছেড়ে দিয়ে নকল নিয়ে জীবনটা ভিন্ন পথে পরিচালনা করে, তা-ই বিদয়াত; আর তার হুকুমদাতা বিদআত সংঘটনকারী।

কিন্তু শবে বরাত পালন কেন বিদায়াত হবে – এটাতো যারা করে তাদের আরো উৎসাহিত করা দরকার, যাতে অন্ততঃ একটি রাতে হলেও বে-নামাজিরা নামাজি হয়। প্রত্যেক ভালো কাজের বিপরীতে খারাপ করার জন্য শয়তান অপতৎপর। তাই হয়তো কিছু লোক অজ্ঞতার কারণে অনেক অপছন্দনীয় কাজ করে। তাই বলে যারা সারা রাত নির্ঘুম আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে নফল নামাজ পড়েন, আল্লাহর পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন, এসব কিছু কী বিদায়াত হবে?

সুতরাং ভালো কাজে যারা নিরুৎসাহিত করে, তাদের কথায় নিজেকে পরিচালনা না করে নিজের মেধা যা আল্লাহপাক আপনাকে দিয়েছেন তা দিয়ে বিচার করুন। সৎ কাজের আদেশ আর মন্দ কাজে নিষেধ করা-ই যেনো হয় আমাদের কাম্য।

আমি চেষ্টা করেছি মাত্র; আর সেই চেষ্টা সার্থক হবে তখনি, যখন এ লেখাটি আপনাদের বুঝতে সহজ হবে।

*সমাপ্ত*

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment