জিহ্বাকে হিফাজত না করার ক্ষতি!
হযরত সায়্যিদুনা আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম ﷺসাহাবায়ে কেরাম কে একদিন রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন, আর ইরশাদ করলেন: “যতক্ষণ আমি তোমাদেরকে অনুমতি না দেই, ততক্ষণ পর্যন্ত ইফতার করবে না।” সাহাবায়ে কেরাম রোজা রাখলেন যখন সন্ধ্যা হলো, তখন সমস্ত সম্মানিত সাহাবী একেকজন করে মহান বরকতময় দরবারে হাযির হয়ে আরয করতে থাকেন:”ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ! আমি রোযা রেখেছি। এখন আমাকে ইফতার করার অনুমতি করার অনুমতি দিন!”হুজুর ﷺতাকে অনুমতি দিতেন।একজন সাহাবী (রাঃ) হাযির হয়ে আরয করলেনঃ “ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ!আমার পরিবারে দু’জন যুবতী কন্যাও রয়েছে,যারা রোজা রেখেছে এবং আপনার মহান দরবারে আসতে লজ্জাবোধ করছে।তাদেরকে ইফতার করার অনুমতি দিন,যাতে তারাও ইফতার করতে পারে।রসুলে কারীম ﷺতার দিক থেকে নুরানী চেহারা ফিরিয়ে নিলেন।সাহাবী দ্বিতীয়বার আরয করলেন।হুজুর পুনরায় চেহারায় আনওয়ার ফিরিয়ে নিলেন।অতঃপর সাহাবী তৃতীয়বার যখন কথাটার পুনারাবৃত্তি করলেন,তখন অদৃশ্যের সংবাদ দাতা রাসুল ﷺ ইরশাদ করলেন: ” #ওই_কন্যাদ্বয়_রোযা_রাখেনি! তারা কেমন রোজাদার? তারা সারা দিন মানুষের মাংস খেয়েছে।যাও! তাদের দু’জনকেই নির্দেশ দাও, তারা যদি রোজা রাখে তবে যেনো বমি করে দেয়।” ওই সাহাবী তাদের নিকটে গেলেন এবং তাদেরকে রসুলে কারীম ﷺএর বাণী শুনালেন।তারা উভয়ে বমি করলো।বমি থেকে থেকে রক্ত ও মাংসের টুকরা বের হলো।ওই সাহাবী হুজুর ﷺএর বরকতময় দরবারে ফিরে আসলেন এবং সে অবস্থা আরয করলেন। রাসুলে কারীম ﷺ ইরশাদ করলেন:”ওই সত্তার শপথ! যার কুদরতের হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ, যদি এতটুকু পেটের মধ্যে থেকে যেতো, তাহলে তারা উভয়কে আগুন গ্রাস করতো।(কেননা তারা গীবত করেছিলো)
👉আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, ৩য় খন্ড,৩২৮ পৃঃ,হাদিস নং- ১৫।