রোজা মাকরুহ হওয়ার কারণ
১. ক) মিথ্যা কথা বলা। (খ) কারো প্রতি মিথ্যা সাক্ষি দেওয়া। (গ) কারো গিবত করা বা দোষচর্চায় লিপ্ত থাকা। (ঘ) কারো জন্য মিথ্যা কছম করা। (ঙ) করো সাথে অশ্লীল কথা বলা বা অশ্লীল কাজ করা। (চ) কারো প্রতি জুলুম করা। (ছ) কারো সঙ্গে শত্রুতা রাখা। (জ) পরনারীর প্রতি দৃষ্টি করা, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করা। (ঝ) সিনেমা দেখা—সবই নাজায়েজ। উপরোক্ত কাজ ছাড়া সব গোনাহর কাজ থেকে বিরত থাকা একান্ত জরুরি। তবে এসব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না, মাকরুহ হয়। কিন্তু অবশ্য সওয়াব কম হয়। (জাওয়াহিরুল ফাতাওয়া : খ. ১, পৃ. ২২; জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ৩৭৯; বুখারি হাদিস নম্বর ১৯০৩)
২. কোনোরূপ অপারগতা ছাড়াই কোনো বস্তু আস্বাদন করা বা চর্বণ করা। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৩৯৫)
৩. অনন্যোপায় ছাড়াই কোনো কিছু চর্বণ করে শিশুর মুখে দেওয়া। (ফাতহুল কাদির : খ. ২, পৃ. ৩৪৯)
৪. কোনো প্রয়োজন ছাড়া কেনাবেচার সময় মধু কিংবা তেলের স্বাদ আস্বাদন করা। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১৯৯)
৫. স্ত্রী সঙ্গম বা বীর্যপাতের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও স্ত্রীকে চুমু দেওয়া। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ২০০)
৬. মুখে ভিতর অধিক পরিমাণ থুতু একত্র করে গিলে ফেলা। (বিনায়াহ : খ. ৪, পৃ. ২৯৪)
৭. ক্ষুধা বা পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করা। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৪০০)
৮. মাজন, কয়লা, গুল, টুথপেস্ট ব্যবহার করা। (জাওয়াহিরুল ফিকহ : খ. ১, পৃ. ৩৭৯)
৯. সুরমা লাগানো বা গোঁফে তেল লাগানো। (আলমগিরি)
১০. টয়লেট এত বেশি পানি দিয়ে ধোয়া যে ভিতরে পানি পড়ার আশঙ্কা থাকে। (আলমগিরি : খ. ১, পৃ. ১১৯)
১১. ক্ষতির আশংকা থাকলে শ্রমিক নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়া রোজা রাখতে পারেন।
১২. প্রয়োজন ছাড়া ডাক্তারের মাধ্যমে দাঁত তোলা মাকরুহ। তাতে যদি রক্ত বা দাঁতে লাগানো ওষুধ পেটে চলে যায়, যা থুতুর সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে। (আহসানুল ফাতাওয়া : খ. ৪, পৃ. ৪২৬)
১৩. শরীরকে দুর্বলতার দিকে নিয়ে যায় এমন কোনো কাজ করা মাকরূহ। (শামি : খ. ৩, পৃ. ৪০০)
১৪. রোজাদারের জন্য অজু ছাড়া কুলি করা মাকরুহ। (আল-ওয়াল ওয়ালিযিয়্যাহ : খ. ১, পৃ. ২২৭)