একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘তোমরা রাস্তার ওপর বসো না। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি প্রয়োজন হয় তবে?
নবীজি বললেন— যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, তবে রাস্তার হক্ব আদায় করবে। তাঁরা পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তার হক্ব কি? নবীজী বললেন— দৃষ্টি অবনত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেয়া, সালাম আদান-প্রদান করা এবং সৎ কাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা।’
আমরা যদি আমাদের রাস্তায় চলাচলের পদ্ধতিতে একটু খুঁজে দেখি যে, আমাদের মধ্যে এই সুন্নাহ পদ্ধতিগুলো আছে কি না— তবে খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে, যারা রাস্তার হক্ব আদায় করে। আমরা সকলে এটাও জানি যে রাস্তা থেকে কষ্ট দায়ক বস্তু সারিয়ে ফেলাটাও প্রিয় নবীজীর সুন্নাহ। এক কথায় বলতে গেলে— নবীজী আমাদেরকে এটা শিখিয়েছেন, আমার চলা-ফেরা যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়।
আজকাল একটা কমন বিষয় সচারাচর সব জায়গাতেই দেখা যায়। অনেকেই রাস্তায় পাব্লিক প্লেসে দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মনের সুখে সিগারেট খান। তিনি এটা হয়তো বুঝতে পারেন না, যারা সিগারেট অপছন্দ করে তাদের জন্য এই ধোঁয়াটা কতটা বিরক্তিকর। তিনি সিগারেট খেয়ে নিজেকে ধ্বংস করার সাথে-সাথে, আশেপাশের মানুষগুলোরও ক্ষতি করছেন। তাদেরকে কষ্ট দিচ্ছেন। মুসলমান হিসেবে এটা করা কতটুকু যৌক্তিক নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার!
আবার কিছু লোককে রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। যা অনেক পথিকের চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। তাদেরকে কষ্ট দেয়। উল্লেখিত দুটি বৈশিষ্ট্য মানুষের ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে। আর এই বদ-অভ্যাসগুলো একজন মুসলিমের সাথে মানায় না। তাই সবক্ষেত্রেই আমার নবীজীর তালিমগুলো আমাদের স্মরণ রাখা উচিত এবং সেগুলো মেনে চলা আবশ্যক।
তাহলে সমাজের দৃষ্টিতেও আমরা উত্তম মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারব।