হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম (ﷺ) ইরশাদ করেন-
وَإِنَّمَا بُعِثْتُ مُعَلِّمًا
-‘‘আমি পৃথিবীতে শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’’
➤খতিব তিবরিযীঃ মিশকাতুল মাসাবিহঃ কিতাবুল ইলমঃ ১/৮৫ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ২৫৭, দারেমী, আস্-সুনান, ১/৩৬৫ পৃষ্ঠা, হাদিস ৩৬১, সুয়ূতী, জামেউস, সগীর, হাদিসঃ ৪২৪২, আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক, আয্-যহুদ, ১/৪৮৮ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ১৩৮৮, আবু দাউদ তায়লসী, আল-মুসনাদ,৪/১১ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ২৩৬৫, ইবনে ওয়াহ্হাব, আল-মুসনাদ, আলবানী, সিলসিলাতুল আহাদিসুদ্-দ্বঈফাহ, ১/৬৭ পৃষ্ঠা, হাদিসঃ ১১, ইবনে মাজাহ, আস্-সুনান, ১/৮৩ পৃষ্ঠা, হাদিস ২২৯,হারিস, আল-মুসনাদ, ১/১৮৫ পৃষ্ঠা, হাদিস ৪০, বায্যার, ৬/৪২৮ পৃষ্ঠা, হাদিস ২৪৫৮, তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ১৩/৫১ পৃষ্ঠা, হাদিস ১২৫, ও ১৪/৯৪ পৃষ্ঠা, হাদিস ১৪৭০৯, বায়হাকী, আল-মাদখাল, ১/৩০৬ পৃষ্ঠা, হাদিস ৪৬২, বাগাভী, শরহে সুন্নাহ, ১/২৭৫ পৃষ্ঠা, হাদিস ১২৮,
যিনি নিজেই কিছু জানেন না তাহলে তিনি কিভাবে শিক্ষক হবেন? বুঝা গেল যে, তিনি পৃথিবীতে শিখতে আসেননি বরং তিনি পৃথিবীবাসীকে শিখাতে এসেছেন।
ইমাম শরফুদ্দীন বুছুরী (رحمة الله) বলেন-
فَاِنَّ مِنْ جَوْدِكَ الدُّنْيَا وَضَرَّتَهَا – وَمِنْ عُلُوْمِكَ عِلْمُ اللَّوْحِ وَالْقَلَمِ.
-‘‘হে রাসূল (ﷺ) আপনার বদান্যতায় দুনিয়া ও আখিরাতের অস্তিত্ব। লওহে মাহফুজ ও ‘কলমের’ জ্ঞান আপনার জ্ঞান ভান্ডারের কিয়দাংশ মাত্র।’’
➤মোল্লা আলী ক্বারীঃ শরহে কাসীদায়ে বুরাদাঃ ১১০ পৃষ্ঠা।
আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (رحمة الله) তার ‘তাফসীরে রূহুল বয়ানে’ ولا تخط بيمينك আয়াতটির
➤সূরাঃ আনকাবুতঃ আয়াতঃ ৪৮, পারাঃ ২১।
ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেন,
كَانَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ يَعْلَمُ الْخَطُوْطَ وَيُخْبِرُ عَنْهَا.-‘‘হুযুর আলাইহিস সালাম লিখতে জানতেন এবং সে বিষয়ে অপরকেও জ্ঞাত করতেন।’’
➤আল্লামা ইসমাঈল হাক্কীঃ তাফসীরে রূহুল বায়ানঃ ৬/৬১০ পৃষ্ঠা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ ১ম খন্ডের ২১৯-২২৫ পৃষ্ঠায় দেখুন।