রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবিকা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】

৫২    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবিকা

📌পরিচ্ছদঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কখনো পেটভরে খাওয়ার মতো খেজুর থাকত না

২৮৪

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ , يَقُولُ : أَلَسْتُمْ فِي طَعَامٍ وَشَرَابٍ مَا شِئْتُمْ ؟ ” لَقَدْ رَأَيْتُ نَبِيَّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَمَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ , مَا يَمْلأُ بَطْنَهُ ” .

সিমাক ইবনে হারব (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনে বশীর (رضي الله عنه) কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কি তোমাদের চাহিদামতো খাওয়া-দাওয়ায় তৃপ্ত নও? অথচ নবী (ﷺ) কে দেখেছি যে, পেটভরে খাওয়ার মতো খারাপ খেজুরও তাঁর ঘরে থাকত না।[১]

[১] সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৫০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৭১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৪০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩৫৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৭৫; মিশকাত, হা/৪১৯৫।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

📌পরিচ্ছদঃ

কখনো কখনো তাঁর পরিবারের চুলায় ১ মাসের অধিক সময় পর্যন্তও আগুন জ্বালানো হতো না

২৮৫

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدَةُ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : ” إِنْ كُنَّا آلَ مُحَمَّدٍ نَمكُثُ شَهْرًا مَا نَسْتَوْقِدُ بِنَارٍ ، إِنْ هُوَ إِلا التَّمْرُ وَالْمَاءُ ” .

আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

আমাদের নবীর পরিবারে কখনো এমন হতো যে, এক মাসের অধিক সময় পর্যন্ত আগুন জ্বালানো হতো না; শুধু পানি ও খেজুর খেয়ে কাটাতাম।[১]

[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৪৫৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৭৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৬১

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

📌পরিচ্ছদঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও কয়েকজন সাহাবীর ক্ষুধাকালীন এক সময়ের ঘটনা

২৮৬

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي سَاعَةٍ لا يَخْرُجُ فِيهَا , وَلا يَلْقَاهُ فِيهَا أَحَدٌ ، فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ ، فَقَالَ : ” مَا جَاءَ بِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ ؟ ” ، قَالَ : خَرَجْتُ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْظُرُ فِي وَجْهِهِ ، وَالتَّسْلِيمَ عَلَيْهِ ، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ جَاءَ عُمَرُ , فَقَالَ : ” مَا جَاءَ بِكَ يَا عُمَرُ ؟ ” ، قَالَ : الْجُوعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” وَأَنَا قَدْ وَجَدْتُ بَعْضَ ذَلِكَ ” ، فَانْطَلَقُوا إِلَى مَنْزِلِ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيْهَانِ الأَنْصَارِيِّ , وَكَانَ رَجُلا كَثِيرَ النَّخْلِ وَالشَّاءِ ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ خَدَمٌ ، فَلَمْ يَجِدُوهُ ، فَقَالُوا لامْرَأَتِهِ : أَيْنَ صَاحِبُكِ ؟ فَقَالَتِ : انْطَلَقَ يَسْتَعْذِبُ لَنَا الْمَاءَ ، فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ جَاءَ أَبُو الْهَيْثَمِ بِقِرْبَةٍ يَزْعَبُهَا ، فَوَضَعَهَا ثُمَّ جَاءَ يَلْتَزِمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُفَدِّيهِ بِأَبِيهِ وَأُمِّهِ ، ثُمَّ انْطَلَقَ بِهِمْ إِلَى حَدِيقَتِهِ فَبَسَطَ لَهُمْ بِسَاطًا ، ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى نَخْلَةٍ فَجَاءَ بِقِنْوٍ فَوَضَعَهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” أَفَلا تَنَقَّيْتَ لَنَا مِنْ رُطَبِهِ ؟ ” فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ تَخْتَارُوا ، أَوْ تَخَيَّرُوا مِنْ رُطَبِهِ وَبُسْرِهِ ، فَأَكَلُوا وَشَرِبُوا مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ . فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” هَذَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مِنِ النَّعِيمِ الَّذِي تُسْأَلُونَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ! ظِلٌّ بَارِدٌ ، وَرُطَبٌ طَيِّبٌ ، وَمَاءٌ بَارِدٌ ” . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ لِيَصْنَعَ لَهُمْ طَعَامًا . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” لا تَذْبَحَنَّ ذَاتَ دَرٍّ ” ، فَذَبَحَ لَهُمْ عَنَاقًا أَوْ جَدْيًا ، فَأَتَاهُمْ بِهَا فَأَكَلُوا ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” هَلْ لَكَ خَادِمٌ ؟ ” ، قَالَ : لا ، قَالَ : ” فَإِذَا أَتَانَا , سَبْيٌ , فَأْتِنَا ” . فَأُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَأْسَيْنِ لَيْسَ مَعَهُمَا ثَالِثٌ ، فَأَتَاهُ أَبُو الْهَيْثَمِ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” اخْتَرْ مِنْهُمَا ” فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، اخْتَرْ لِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” إِنَّ الْمُسْتَشَارَ مُؤْتَمَنٌ ، خُذْ هَذَا , فَإِنِّي رَأَيْتُهُ يُصَلِّي ، وَاسْتَوْصِ بِهِ مَعْرُوفًا ” . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ إِلَى امْرَأَتِهِ ، فَأَخْبَرَهَا بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ : مَا أَنْتَ بِبَالِغٍ حَقَّ مَا ، قَالَ فِيهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلا بِأَنْ تَعْتِقَهُ ، قَالَ : فَهُوَ عَتِيقٌ ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْ نَبِيًّا وَلا خَلِيفَةً إِلا وَلَهُ بِطَانَتَانِ : بِطَانَةٌ تَأْمُرُهُ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَاهُ عَنِ الْمُنْكَرِ ، وَبِطَانَةٌ لا تَأْلُوهُ خَبَالا ، وَمَنْ يُوقَ بِطَانَةَ السُّوءِ فَقَدْ وُقِيَ ” .

আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, একদিন নবী (ﷺ) এমন সময় ঘর থেকে বের হলেন, যখন সচরাচর তিনি বের হন না। কেউ সাক্ষাৎ করতেও আসে না। এমন সময় আবু বকর (رضي الله عنه) তাঁর কাছে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, কি জন্য এসেছ হে আবু বকর! বললেন, আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে, তাঁর চেহারা দেখতে ও সালাম জানাতে এসেছি। কিছুক্ষণ পর উমার (رضي الله عنه) আসলেন। জিজ্ঞেস করলেন, কি জন্য এসেছ উমার? বললেন, ক্ষুধার তাড়নায় হে আল্লাহর রাসূল! রাসূলুল্লাহ বললেন, আমিও তা-ই অনুভব করছি।

অতঃপর তারা তিনজনই আবুল হায়সাম ইবনে তায়্যিহান আল আনসারীর বাড়ি গেলেন। তাঁর অনেক খেজুর বাগান, ফল বাগান ও ছাগলের পাল। কিন্তু কোন খাদেম ছিল না। তারা তাঁর দেখা পেলেন না। ফলে তারা তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার স্বামী কোথায় গিয়েছেন? বলল, আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরই আবুল হায়ছাম পানির পাত্র নিয়ে ফিরে আসলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁর পিতামাতাকে উৎসর্গ করতে থাকেন।

তারপর তাদেরকে নিয়ে বাগানে গেলেন এবং তাঁদের জন্য বিছানা বিছিয়ে দিলেন। খেজুর বাগান হতে এক ছড়া খেজুর এনে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাদের জন্য তাজা খেজুর বেছে আনলে না কেন? (পূর্ণ একটি ছড়া আনার কি প্রয়োজন ছিল)। আবুল হায়ছাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি চাই আপনি তা হতে কাঁচা ও পাকা খেজুর বেছে নিন। অতঃপর তারা সকলেই খেজুর খেলেন এবং পানি পান করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, এসবও সেসব নিয়ামতের মধ্যে গণ্য, কিয়ামতের দিন যেগুলোর হিসাব নেয়া হবে। তা হলো, শীতল ছায়া, তরতাজা খেজুর ও ঠাণ্ডা পানি।

অতঃপর আবুল হায়সাম তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য চলে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাদের জন্য যেন দুগ্ধবতী ছাগী যবেহ করা না হয়। অতঃপর তাদের জন্য একটি বাচ্চা ছাগল যবেহ করা হলো এবং যথাশ্ৰীঘ্র খাবার হাযির করা হলো এবং তাঁরা আহার করলেন।

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার কোন খাদেম আছে কি? তিনি বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাদের যখন কোন গোলাম আসবে, তখন আমাকে মনে করিয়ে দিও। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ২ জন গোলাম আসল। তাদের সঙ্গে তৃতীয় কেউ ছিল না। এমন সময় আবুল হায়সাম সেখানে উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, এ ২ জনের মধ্য হতে একজনকে বেছে নাও। বললেন, হে আল্লাহর নবী! আপনিই বেছে দিন। নবী (ﷺ) বললেন, পরামর্শদাতা বিশ্বস্ত হয়। অতএব তুমি একে নাও। কারণ, আমি তাকে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আর আমি তোমাকে তাঁর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জন্য অসিয়ত করছি।

অতঃপর আবুল হায়সাম স্ত্রীর কাছে ফিরে গেলেন এবং তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসিয়তের কথা শুনালেন। তাঁর স্ত্রী বললেন, আপনার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে। অতএব আপনি গোলামকে আযাদ করে দিন। তাতে আবুল হায়ছম গোলামটিকে আযাদ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রত্যেক নবী ও খলীফার জন্য ২ জন গোপন পরামর্শদাতা সৃষ্টি করে দেন। একজন সৎপরামর্শ দেয় এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখে। অপরজন ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে ইতস্তত করে না। যে ব্যক্তিকে তাঁর মন্দ স্বভাব থেকে নিরাপদ রাখা হয়েছে, তাকে সকল অন্যায় হতে নিরাপদ রাখা হয়েছে।[১]

[১] সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৩৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭১৭৮ সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৯৬ সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৫৮৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৬১২। শু’আবুল ঈমান, হা/৪২৮২।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

📌পরিচ্ছদঃ

শিয়াবে তালিবের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে গাছের চামড়া ও পাতা খেয়ে জীবনপাত করতে হয়েছিল

২৮৭

حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ , يَقُولُ : ” إِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ هَرَاقَ دَمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ، وَإِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَغْزُو فِي الْعِصَابَةِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ الصَّلاةُ وَالسَّلامِ , مَا نَأْكُلُ إِلا وَرَقَ الشَّجَرِ وَالْحُبْلَةِ , حَتَّى تَقَرَّحَتْ أَشْدَاقُنَا ، وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ وَالْبَعِيرُ ، وَأَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ يَعْزُرُونِّي فِي الدِّينِ , لَقَدْ خِبْتُ وَخَسِرْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي ” .

সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি ইসলামের প্রথম ব্যক্তি, যে কাফিরদের রক্ত প্রবাহিত করেছে। আমি প্রথম ব্যক্তি, যে আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ করেছে। আমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীরা এমন অবস্থায় যুদ্ধ করেছি যে, গাছের বাকল ও পাতা ছাড়া কিছুই খেতে পেতাম না। এসব খাওয়ার ফলে আমাদের মুখে ঘা হয়ে যেত। এমনকি উট ও বকরীর মলের ন্যায় চর্বিযুক্ত মল পড়ত। তা সত্ত্বেও আসাদের লোকেরা দ্বীন সম্পর্কে আমাকে অভিযুক্ত করেছে। দ্বীন সম্পর্কে যদি আমি অজ্ঞই হই, তবে তো আমার সকল আমলই বরবাদ হয়ে গেল।[১]

[১] সহীহ বুখারী, হা/৩৭২৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৯২৩।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

📌পরিচ্ছদঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ৩০ রাত পর্যন্তও সামান্য আহারেই কাটিয়ে ছিলেন

২৮৮

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ أَسْلَمَ أَبُو حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ثَابِتٌ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” لَقَدْ أُخِفْتُ فِي اللَّهِ وَمَا يَخَافُ أَحَدٌ ، وَلَقَدْ أُوذِيتُ فِي اللَّهِ وَمَا يُؤْذَى أَحَدٌ ، وَلَقَدْ أَتَتْ عَلَيَّ ثَلاثُونَ مِنْ بَيْنِ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ , وَمَا لِي وَلِبِلالٍ طَعَامٌ يَأْكُلُهُ ذُو كَبِدٍ , إِلا شَيْءٌ يُوَارِيهِ إِبِطُ بِلالٍ ” .

আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমাকে আল্লাহর পথে এমন ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, যখন আর কাউকে ভয় প্রদর্শন করা হয়নি। আমাকে আল্লাহর পথে এমনভাবে কষ্ট দেয়া হয়েছে, যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। আমাদের ৩০টি রাত এমনভাবে অতিবাহিত হয়েছে, যখন বিলালের বগলের নিচে লুকিয়ে রাখা সামান্য খাদ্য ছাড়া আমার ও বিলালের আহারের মতো কিছুই ছিল না।[১]

[১] ইবনে মাজাহ, হা/১৫১; মুসনাদে আহমদ, হা/১৪০৮৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৮০; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩২০৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হ/৬৫৬০ মুসান্নাফে ইবনে আবিশাইবা, হা/৩৭৭২১।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

📌পরিচ্ছদঃ

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কখনো রুটি ও গোশত একত্রিত হতো না

২৮৯

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا قَتَادَةُ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : ” أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَجْتَمِعْ عِنْدَهُ غَدَاءٌ وَلا عَشَاءٌ مِنْ خُبْزٍ وَلَحْمٍ , إِلا عَلَى ضَفَفٍ ” ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : ، قَالَ بَعْضُهُمْ : هُوَ كَثْرَةُ الأَيْدِي .

আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ

দিনের খাবারই হোক কিংবা রাতের খাবার, কোন সময়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে রুটি-গোশত একত্রিত হতো না। তবে মেহমানদারীর জন্য দস্তরখানায় তা থাকত।[১] আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) বলেন, কোন কোন বর্ণনাকারী বলেছেন, ضَفَفٍ এর অর্থ হলো অনেক হাত একত্রিত হওয়া।

[১] মুসনাদে আহমদ, হা/১৩৮৮৬; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/৩১০৮ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৫৯ শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৮৯।

হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment