হযরত সালমান ফারসী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন :
فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مَائة سَنَة – وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ لَثَلَاثٍ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللَّهُ مُحَمَّدًا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
রজব মাসে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে সে দিনে রোযা রাখলে এবং সে রাতে নামায পড়লে একশত বছর রোযা ও একশত বছর নামাযের সাওয়াব পাবে। আর সে দিনটি হল ২৭শে রজবের পূণ্যময় রাত । আর এ রাতেই আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লামার নবুয়ত প্রকাশ করেছেন । ৮৯০
হযরত আনাস (রা.) নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন-তিনি বলেন-
في رجب لَيْلَةً يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ وَذَلِكَ لَثَلَاثَ بَقِينَ مِنْ رَجَبٍ فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثنتي عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةِ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لله وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، مِائَةَ مَرَّة، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةَ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا، فَإِنَّ اللَّهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُوَ فِي مَعْصِبَة রজব মাসে এমন একটি রাত রয়েছে, সে রাতে ইবাদতকারী একশত বছর ইবাদত করার সমান নেকী অর্জন করবে। আর সে রাতটি হল ২৭শে রজব। যে ব্যক্তি সে রাতে ১২ রাকাত নামায পড়বে, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য যে কোন একটি সূরা পাঠ করবে। অতঃপর একশত বার “সুবাহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবর” পড়বে এবং একশত বার ইস্তেগফার পড়বে ও নবী করিম এর উপর একশত বার দুরূদ শরীফ পড়বে এবং সে নিজের জন্য দুনিয়া-আখিরাতের যা ইচ্ছে দোয়া করবে আর পরের দিন রোযা রাখবে আল্লাহ তায়ালা তার গুনাহের দোয়া ব্যতীত সব দোয়া কবুল করবেন। ৮৯১
হযরত আবু কিলাবা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন- في الجنة قصر لصُوَّام রজব মাসে রোযা পালনকারীর জন্য জান্নাতে একটি মহল রয়েছে। ৮৯২
৮৯০.প্রাগুক্ত, পৃ-৯৬, হাদিস নং-১১
.৮৯১. প্রাগুক্ত, পৃ-৯৭, হাদিস নং-১২
৮৯২.ইমাম বায়হাকী (র.)। (৪৫৮ হি), শুআবুল ঈমান, ৩/৩৬৮, সূত্র: লাতায়েফুল মাআরিফ, খণ্ড-১ পৃ-১৯৫