43 – بَابُ مَا جَاءَ فِيْ مَنْ شَهِدَ الْفَجْرَ وَالْعِشَاءَ فِيْ جَمَاعَةٍ
133 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ : «مَنْ شَهِدَ الْفَجْرَ وَالْعِشَاءَ فِيْ جَمَاعَةٍ، كَانَتْ لَهُ بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ».
বাব নং ৫৮. ৪৩. যে ব্যক্তি ফজর ও এশার জামা‘আতে অংশগ্রহণ করে
১৩৩. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতা থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ফজর ও এশার জামাতে উপস্থিত হয়, তার জন্য দু’টি মুক্তি রয়েছে। একটি হলো নিফাক থেকে অপরটি হলো শিরক থেকে।
ব্যাখ্যা: নিফাক ও শিরক থেকে মুক্তির জন্য এ দু’নামাযকে নির্দিষ্ট করার কারণ হলো এ দু’নামাযের সময় মানুষের উপর নিদ্রা ও অলসতা প্রবল থাকে। সুতরাং যার ঈমান শক্তিশালী এবং যিনি নিফাক ও শিরক থেকে মুক্ত, তারাই অধিকাংশ এ দু’জামাতে অংশগ্রহণ করে থাকে। আর যারা এ দু’জামাতে অংশগ্রহণ করবে তারা অন্যান্য জামাতে অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে নিঃসন্দেহে। তাই এদু’টাকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
134 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، عَنْ رَسُوْلِ اللهِ ، قَالَ: «مَنْ دَاوَمَ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا عَلَىٰ صَلَاةِ الْغَدْوَةِ وَالْعِشَاءِ فِيْ جَمَاعَةٍ، كُتِبَ لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاقِ، وَبَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ».
১৩৪. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা আতা থেকে, তিনি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি চলিশ দিন যাবৎ ফজর ও এশা জামাতের সাথে আদায় করবে, তার জন্য নিফাক ও শিরক থেকে মুক্তি লিখা হবে।
ব্যাখ্যা: চলিশ সংখ্যার বিশেষ বরকত রয়েছে। চলিশ দিন একাধারে কোন কাজ করলে মানুষ তাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই হাদিসে চলিশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
135 – أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهيمَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ : أَنَّ النَّبِيَّ رَخَّصَ فِي الْـخُرُوْجِ لِصَلَاةِ الْغُدْوَةِ وَالْعِشَاءِ لِلنِّسَاءِ. فَقَالَ رَجُلٌ: إِذًا يَتَّخِذُوْنَهُ دَغَلًا، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: أُخْبِرُكَ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ وَتَقُوْلُ هَذَا!
১৩৫. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা হাম্মাদ থেকে, তিনি ইব্রাহীম থেকে, তিনি শা’বী থেকে, তিনি ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, নবী করিম (ﷺ) মহিলাদেরকে ফজর ও এশার জামাতে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন। এক ব্যক্তি (এটা শুনে) বললেন, (অন্য রেওয়ায়েতে জানা যায় যে, এই ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه)’র পুত্র হযরত বিলাল ছিলেন) লোকজন এই সুযোগকে এখন প্রতারণার কাজে লাগাবে। তখন ইবনে ওমর (رضي الله عنه) রাগান্বিত হয়ে বললেন, আমি তোমার নিকট রাসূল (ﷺ) ’র হাদিস বর্ণনা করছি, আর তুমি এরূপ বলছ!
ব্যাখ্যা: নবী করিম (ﷺ) মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে যে নিষেধ করেন তা নাহীয়ে তানযীহী তথা শিথিল নিষেধাজ্ঞা। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) বলেন, যুবতী মহিলারা সাধারণত কোন নামাযেই মসজিদে যাবেনা তবে বৃদ্ধারা মাগরীব, এশা ও ফজর নামাযে যেতে পারবে। কিন্তু কোন প্রকারের সাজ-গোছ করা নিষেধ। তার দলীল হল রাসূল (ﷺ) সুগন্ধি লাগিয়ে মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম) অনুরূপ মুসনদে বাযযার-এ হযরত আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে, মহিলারা রাসূল (ﷺ) ’র খেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করল- হে আল্লাহর রাসূল! পুরুষরা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে অংশগ্রহণ করে নেকী অর্জনে আমাদের অগ্রগামী হয়ে যাচ্ছে। আমরা এই সওয়াব কিভাবে পেতে পারি? উত্তরে তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থাকবে তারা মুজাহিদগণের সাওয়াব লাভ করবে।
➥ গোলাম রাসূল সাঈদী, শরহে সহীহ মুসলিম, উর্দু, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ ১২৩৭