“জিনার ধারে কাছেও যেও না” – এটা কেন বললেন রব? তিনি তো এটা এভাবেও বলতে পারতেন, “জিনা করো না!” নাহ! রব তায়ালা যেহেতু একটু অন্যভাবে বলেছেন মানে এর পিছনে কোনো হিকমত রয়েছে।
মানুষ কিভাবে শয়তানের ফাঁদে পরে? প্রথমেই সে জিনার মতো গর্হিত কাজ করে ফেলে না। প্রথমে তার চোখ প্ররোচিত হয়। এমনটাই আলা হযরত রহ. বলেছেন, “যে প্রথমে চোখ প্ররোচিত হয়। তারপর অন্তর এবং পরিশেষে তার যৌনাঙ্গ।”
তার মাথায় অশ্লীল কোনো চিন্তা নেই। কিন্তু হঠাৎ সে কোনো বেপর্দা নারীকে দেখল বা অশ্লীল কোনো ছবি দেখল, তখনই তার ব্রেইন ট্রিগার করা শুরু করবে। আস্তে আস্তে সে জিনা সংঘটিত করে ফেলবে। তাই আমার রাসূলে ﷺ পাক বলেন,”চোখের জিনা হলো দেখা।”
তাছাড়া সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা পুরুষকে দৃষ্টি নিচু রাখার আদেশ দিয়েছেন। সম্ভবত এটা এই কারণেই। তিনি এটাও বলেছেন এতে খুবই পবিত্রতা আছে। নারীর ন্যায় পুরুষের জন্য এটাও পর্দা।
ওহ নারীদের পর্দা! এটা নিয়ে অনেকেই বলেন শুনেছি বে-পর্দা চলাফেরাই যদি ধর্ষণ এর কারন হতো তাহলে ছোট বাচ্চারা কেন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে? আহ! এটা কতটা মূর্খতাপূর্ন একটা কথা।
ছোট শিশুরা ধর্ষণ হওয়ার পিছনেও আপনার বেপর্দা চলাফেরার হাত আছে! অবাক হলেন? না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। একটা পুরুষ যখন কোনো নারীকে বেপর্দা অবস্থায় দেখে তখন স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতি আকর্ষণ জাগে। এটা প্রাকৃতিক। যদি এটা না হতো তাহলে তো পর্নোগ্রাফি ইন্ডাস্ট্রিগুলো বন্ধ হয়ে যেত!
যখন ওই পুরুষের আকর্ষণ চরম পর্যায়ে পৌছে যায় তখন সে বেপরোয়া হয়ে যায়। কোনো কিছুর তোয়াক্কা করে না। সে তার কাছে যেটা পায় বা যেটা তার জন্য সহজ হয় সেটা দিয়েই তার চাহিদা মিটায়। আর এটাই কারণ শিশু ধর্ষণের। তাই ইসলাম নারীর শরীরের পর্দা ও পুরুষের চোখের পর্দার বিধান আরোপ করেছে। নিজেকে বেশি পন্ডিত বা জ্ঞানী ভাবলে ভুল করবেন ইসলামের বিপরীতে গিয়ে।
তাই হস্তমৈথুন বলেন বা যিনা এগুলো থেকে বাঁচার প্রধান হাতিয়ার চোখের হেফাজত। আর যদি চোখে পড়েও যায় অশ্লীল কিছু তাহলে চিন্তাগুলোকে সেখানেই স্টপ করে দিন। এটাকে ইগনোর করে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।
এর রিওয়ার্ড ও আছে। আমার রাসূলে পাক ﷺ বলেন, যে চোখের হিফাজত করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ঈমানের নূর অনুভব করিয়ে দিবেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হিফাজত করুন।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
স্বাধীন আহমেদ