জিজ্ঞাসা–৫৭১: যদি এমন কাউকে নিয়ে স্বপ্নদোষ হয় যে অনেক আপনজন, তাহলে কি গুনাহ হবে? এক্ষেত্রে কী করণীয়?– সাদমান।
জবাব: যেমনিভাবে মানুষ স্বপ্নের মধ্যে কোনো নেক আমল করলে তার সাওয়াব পায় না, তেমনিভাবে মানুষ ঘুমে যা দেখে তার ব্যাপারে সে দোষী নয় এবং এর জন্য তার গুনাহ হয় না। হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺবলেছেন,
قَالَ رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ عَنْ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ وَعَنْ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبَرَ وَعَنْ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ أَوْ يُفِيقَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَدِيثِهِ وَعَنْ الْمُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ
তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছে- ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। অধস্তন রাবী আবূ বাকর রহ.-এর বর্ণনায় আছে, বেহুঁশ ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়। (ইবন মাজাহ ২০৪১)
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, সুতরাং এ নিয়ে পেরেশান হওয়ার কোনো কিছু নেই। তবে পেরেশান হতে হবে, আমরা জাগ্রত অবস্থায় যা করি তা নিয়ে। কেননা, অনেক সময় মানুষ জাগ্রত অবস্থায় যা কল্পনা করে তা স্বপ্ন দেখে। আবার অনেক সময় শয়তান মানুষকে নির্দিষ্ট কোনো গুনাহর প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য স্বপ্নের মাধ্যমে কুমন্ত্রণা দেয়। যদি ব্যাপারটা এমনই হয় তাহলে ওই ব্যক্তিকে তাওবা করতে হবে। গোপন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। যাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, প্রয়োজনে যথাসম্ভব তার সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে।
উল্লেখ্য, ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা এজাতীয় স্বপ্ন থেকে বান্দাকে হেফাজত করেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী