মৃত ব্যক্তির ডাক-চিৎকার

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

হযরত রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম এরশাদ করেছেন : প্রত্যক মৃত ব্যক্তি চিৎকার করে, মানুষ ছাড়া সবাই এটা শুনে। মানুষ যদি শুনত, তাহলে বেহুঁস হয়ে যেত। যদি সে মুর্দ্দা নেক হয়, তাহলে নিজেকে যে ফেরেশতা নিয়ে যাচ্ছে তাকে বলে যে, (ভাই) দ্রুত চল, কোথায় নিয়ে যাচ্ছ, যদি তোমরা এটা দেখ, তাহলে তোমরাও অনেক তড়িঘড়ি করবে। আর মৃত ব্যক্তি যদি বদকার হয়, তহলে বলে যে, (ভাই) তাড়াতাড়ি কর না। তোমরা যদি সে জায়গা দেখতে, তাহলে কক্ষনো আমাকে তথায় নিয়ে যাবেনা।

দাফন শেষে দু’জন ফেরেশতা আসে, অতি কালো ও নীলাভ বর্ণের চোখ তাদের। তারা মাথার দিক থেকে আসলে নামাজ বাধা দিয়ে বলে যে, তোমরা এ দিকে এসো না, কেননা এ ব্যক্তি এ কবরের ভয়ে রাত্রে নামাজে নিমজ্জিত থাকত। (অনুরুপ ভাবে) পায়ের দিকে থেকে “মাতা-পিতার ফরমাবরদারী” বাধা দেয়, ডান দিক থেকে সদকা এবং বাঁ দিক থেকে রোজা প্রতি বন্ধক হয়।
নাছিহত: দুনিয়া মাত্র ক’দিনের জীবন, আজকের এ জীবনে ও সুস্থ্যতার মধ্যে কবর ও হাশরের জন্যে বেশ কিছু করার সুযোগ রয়েছে। মরনের পর কবরে বসে মানুষ কিছুই করতে পারবে না। একবার কলেমায়ে শাহাদাত বা কোন তাসবীহ পড়ারও সুযোগ হবে না।

(সুতারাং সে যদি দুনিয়ায় কিছু না করে, তাহলে ক্ষতি গ্রস্থ হবে) দুনিয়ার জীবন অমূল ধন তুল্য, মানুষ দুনিয়ায় মূলধন নিয়ে সব ধরনের ব্যবসা করতে পারে। মূল ধন খতম হয়ে গেলে যেমন ব্যবসা করা যায় না, তদ্রুপ দুনিয়ার যিন্দেগী খতম হয়ে গেলেও কোনরূপ আমল করা যাবে না।
অতএব আজকেই মেহনত করে কামাই করা উচিৎ। সময় চলে গেলে কালকে শত চেষ্টা ও আগ্রহ করলেও কোনরূপ ফায়েদা হবেনা, লাভ হবে না। অতএব বুদ্ধিমানগণ নসীহত গ্রহণ কর।

فاعتبروا يا اولى الابصار

সুত্র: তাম্বীহুল গাফেলীন

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment