এক-এক জনের দুনিয়া ত্যাগ করে পরকালের যাত্রা শুরু করা আমাদের জন্য নিদর্শন বৈ কিছু না!
রয়ে যাবে আপনার দামি পোশাক, শখের বাইক, ইহুদি-খ্রিস্টানের অনুকরণে করা ফ্যাশনটাও। যারা এসবের জন্য বাহবা দিত, তারা আর কোনো কাজে আসবে না। রয়ে যাবে ফেসবুকের আইডিটা, এর সার্চ লিস্টটা, আদান-প্রদান করা মেসেজগুলো। ডিলিট করার আর সময় পাওয়া যাবে না। গুণাহভর্তি পোস্টগুলো কবরে গুণাহ পৌছুতে থাকবে, যতদিন আইডিটা থাকবে।
সাদা জোব্বা-পাগড়ী পরুয়া যাদেরকে মোল্লা বলে ঠাট্টা করতেন, পরতে হবে তাদেরই মতো সেই সরল সাদা কাপড়টাই। রাজা-বাদশাহ, ধনী, গরিব সব সমান। দুনিয়ার খ্যাতির কোনো দাম কবরে নেই। এগুলো রুহ থাকা পর্যন্তই। হ্যা, খ্যাতি থাকবে তাকওয়াবানদের জন্য। যারা রবকে রাজী করতে দুনিয়ায় কষ্ট সয়ে গেছেন। তাদের জন্যই সে জায়গা হবে চির-প্রশান্তির স্থান।
মারা তো সবাই যাবে একদিন। কেউ জানে না– কালকে তার জন্য কি অপেক্ষা করছে। তাই প্রস্তুতিটা নেওয়া উচিত পরবর্তী জীবনকে সুখি করার। ক্ষনস্থায়ী জীবনের নয়। কারণ– এখানে কান্না করা কেউও, ওখানে আমার কোনো উপকারে আসবে না। আসবে শুধু আমার ঈমান আর নেক আমল। নিজের ভালোটা নিজেরই চিন্তা করতে হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে অপমৃত্যু থেকে হেফাজত করুন। কবরকে আলোকিত করার প্রদীপ সাথে নিয়ে সফর করার তৌফিক দিন।