৮- بَابُ مَا جَاءَ فِي أَكَلِ الْـمُحْرِمِ لَـحْمَ الصَّيْدِ
٢٣٦- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْـمُنْكَدِرِ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ ، قَالَ: تَذَاكَرْنَا لَـحْمَ صَيْدٍ يَصِيْدُهُ الْـحَلَالُ، فَيَأْكُلُهُ الْـمُحْرِمُ، وَرَسُوْلُ اللهِ نَائِمٌ، فَارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُنَا، فَاسْتَيْقَظَ رَسُوْلُ اللهِ ، وقَالَ: «فِيْمَ يَتَنَازَعُوْنَ»؟ فَقُلْنَا: فِيْ لَـحْمِ صَيْدٍ يَصِيْدُهُ الْـحَلَالُ، فَيَأْكُلُهُ الْـمُحْرِمُ؟ قَالَ: «فَأَمَرَنَا بِأَكْلِهِ».
বাব নং ১০৬. ৮. মুহরিমের জন্য শিকারের গোশ্ত খাওয়া প্রসঙ্গে
২৩৬. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির থেকে, তিনি ওসমান ইবনে মুহাম্মদ থেকে, তিনি তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, একদা আমরা হালাল ব্যক্তির শিকারকৃত (পশুর) গোশত মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কিনা আলোচনা করছিলাম। এসময় রাসূল (ﷺ) নিদ্রা অবস্থায় ছিলেন। আমাদের আওয়াজ এত উচুঁ হলো যে, রাসূল (ﷺ) জেগে উঠেন এবং বলেন, কি বিষয়ে ঝগড়া হচ্ছে? তখন আমরা বললাম হালাল ব্যক্তির শিকারকৃত (পশুর) গোশত কি মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে? তালহা (رضي الله عنه) বলেন, তিনি আমাদেরকে তা খাওয়ার অনুমতি প্রদান করেন।
٢٣٧- أَبُوْ حَنِيْفَةَ: عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْـمُنْكَدِرِ، عَنْ أَبِيْ قَتَادَةَ ، قَالَ: خَرَجْتُ فِيْ رَهْطٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ ، لَيْسَ فِي الْقَوْمِ حَلَالٌ غَيْرِيْ، فَنَظَرْتُ نَعَامَةً، فَسِرْتُ إِلَىٰ فَرَسِيْ، فَرَكِبْتُهَا وَعَجِلْتُ عَنْ سَوْطِيْ، فَقُلْتُ لَـهُمْ: نَاوِلُوْنِيْهِ فَأَبَوْهُ، فَنَزَلْتُ عَنْهَا، فَأَخَذْتُ سَوْطِيْ، فَطَلَبْتُ النَّعَامَةَ، فَأَخَذْتُ مِنْهَا لَـحْمًا، فَأَكَلْتُ وَأَكَلُوْا.
২৩৭. অনুবাদ: ইমাম আবু হানিফা মুহাম্মদ ইবনে মুনকাদির থেকে, তিনি আবু কাতাদাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি নবী করিম (ﷺ) ’র একদল সাহাবার সাথে গমন করি। সমগ্র দলের মধ্যে আমি ব্যতীত কেউ ইহরাম বিহীন ছিলেন না। এরপর একদল বন্য গাধার প্রতি আমার দৃষ্টি পড়ল। আমি এগিয়ে গিয়ে ঘোড়ায় আরোহণ করি। কিন্তু দ্রুত করার কারণে স্বীয় চাবুক নিতে ভুলে যাই। আমি আমার সাথীদেরকে বললাম, আমার চাবুকটি একটু উঠিয়ে দিন। তারা অস্বীকার করলেন। তখন আমি নিজেই নেমে আমার চাবুক নিলাম। তারপর আমি গাধাগুলো খুঁজতে লাগলাম। অবশেষে এগুলোর মধ্য থেকে একটি শিকার করলাম। এরপর ঐ শিকারের গোশত আমিও খেয়েছি তাঁরাও খেয়েছেন।
ব্যাখ্যা: উপরোক্ত হাদিস অন্যান্য সহীহ হাদিস গ্রন্থেও বর্ণিত আছে। হালাল ব্যক্তি যদি শিকার করে তা মুহরিম ব্যক্তি খেতে পারবে কিনা এ নিয়ে ইমামদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله)’র মতে খেতে পারবে। তবে শর্ত হলো- মুহরিম ব্যক্তি শিকারীকে কোন প্রকার যদি সাহায্য না করে থাকে এবং তার জন্য ঐ শিকার না করে থাকে। ইমাম শাফেঈ (رحمة الله)’র মতে হালাল ব্যক্তি যদি মুহরিম ব্যক্তির জন্য শিকার করে তবে এই শিকার তার জন্য হালাল হবে না।
❏ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) উপরোক্ত হাদিস ছাড়াও সিহাহ সিত্তাহ্-এ বর্ণিত হাদিসকে দলীল হিসেবে পেশ করেন। ঐ হাদিসে আছে- এক সফরে হযরত কাতাদা (رضي الله عنه) এবং কয়েকজন সাহাবা পিছনে ছিলেন। পথিমধ্যে কাতাদা (رضي الله عنه) একটি গাধা শিকার করেন। কোন কোন সাহাবী এটা খেয়েছেন আর কেউ কেউ খাওয়া থেকে বিরত ছিলেন। যখন তারা রাসূল (ﷺ) ’র সাথে মিলিত হলেন, তখন বিষয়টি তাঁর খেদমতে পেশ করেন, তিনি কেবল জানতে চাইলেন যে, তোমাদের মধ্যে কি কেউ আবু কাতাদাকে শিকারের কথা বলেছিলে কিংবা এর জন্য উৎসাহিত করেছিলে? সবাই এটা অস্বীকার করলে তিনি বলেন, তোমরা এর গোশত খেতে পার। ১৭৮
➥ ইমাম বুখারী (رحمة الله), (২৫৬ হিঃ) সহীহ বুখারী, খন্ড ১, পৃষ্ঠাঃ ২৪৬, হাদীস নং ১৭০৭