মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ কিতাবুল ফিতান (হাদিস ৮১-১২২) (পর্ব ৩)

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাঃ কিতাবুল ফিতান (হাদিস ৮১-১২২)

হাদিস – ৮১

ইবনে মাসউদ রা: আমাদের এগিয়ে নিয়ে চললেন। এর পর কাদিসিয়ার রাস্তায় নামলেন। বুস্তান শহরে প্রবেশ করলেন। উনার হাজত পূর্ন করলেন। এর পর উনি ওজু করলেন এবং মুজার উপর মসেহ করলেন। এর পর বের হলেন। উনার দাড়ি থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়ছিলো।

আমরা উনাকে বললাম,

: আমাদের সমাধান দিন। মানুষ ফিতনাতে পড়ে যাচ্ছে, এই দিকে আমরা আপনার সাক্ষাৎ পবো নাকি পাবো না সেটা জানি না।

উনি বললেন,

: আল্লাহকে ভয় করো। এবং সবর কর। যতক্ষন না বিপদ চলে যায়। অথবা অসৎ লোকদের থেকে পরিত্রান পাও। আর তোমাদের উপর হুকুম জামাতের সংগে থাকা। কারন আল্লাহ মুহাম্মদ ﷺ এর উম্মতকে পথভ্রস্টতার উপর জামাতবদ্ধ করেন না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩١

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا الاعمش عن المسيب بن رافع عن بشير بن عمرو

قال : شيعنا ابن مسعود حين خرج ، فنزل في طريق القادسية فدخل بستانا ، فقضى الحاجة ثم توضأ ومسح على جوربيه ثم خرج وإن لحيته ليقطر منها الماء ، فقلنا له : اعهد إلينا فإن الناس قد وقعوا في الفتن ولا ندري هل نلقاك أم لا ، قال : اتقوا الله واصبروا حتى يستريح بر أو يستراح من فاجر ، وعليكم بالجماعة فإن الله لا يجمع أمة محمد على ضلالة.

হাদিস – ৮২

আনাস বিন মালিক রা: বলেছেন,

: শিগ্রই প্রথমে রাজা-বাদশাহরা আসবে, এর পর আসবে স্বৈরাচাররা, এর পর আসবে ত্বাগুতরা।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٢

حدثنا أبو أسامة عن زائدة عن الاعمش عن شهر بن عطية عن أنس بن مالك قال : إنها ستكون ملوك ثم جبابرة ثم الطواغيت).

হাদিস – ৮৩

রাসুলুল্লাহ ﷺ উনার হুজুরাত থেকে বের হলেন এবং বললেন:

আগুন জ্বালানো হয়েছে।

ফিতনা এসেছে যেন এটা রাতের অন্ধকার টুকরা।

আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে, তবে তোমরা হাসতে কম, কাদতে বেশি।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٣

حدثنا أبو أسامة عن زائدة عن الاعمش عن أبي سفيان عن عبيد بن عمير قال : خرج رسول الله (ص) إلى أهل الحجرات فقال : (سعرت النار وجاءت الفتن كأنها قطع الليل المظلم ، لو تعلمون ما أعلم لضحكتم قليلا ولبكيتم كثيرا).

হাদিস – ৮৪

আবি ইদরিস রা: বলেছেন:

ফিতনা হবে যেগুলোর ছায়া হবে গরুর চেহারার মত। অধিকাংশ মানুষ তাতে পড়ে ধ্বংশ হয়ে যাবে।

যারা আগেই এটাকে চিনবে তারা ছাড়া।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٤

حدثنا أبو أسامة عن ابن مبارك ومفصل بن يونس عن الاوزاعي عن

حسان بن عطية عن أبي إدريس قال : إنها فتن قد أظلت كجباه البقر يهلك فيها أكثر الناس إلا من كان يعرفها قبل ذلك.

হাদিস – ৮৫

হুজাইফা রা: আমাদের বললেন,

: তখন তোমাদের কি হবে যখন আল্লাহ তায়ালা উম্মতে মুহাম্মদিকে ﷺ নির্দেশনা ছাড়া করে দেবেন?

এক লোক বললো,

: আমারা অস্বিকার করলেও উনি দেয়া বন্ধ করে দেন না। আর আল্লাহ উম্মতে মুহাম্মদকে ﷺ নির্দেশনা ছাড়া করে দেবেন?

: আল্লাহর কাছে মশার পাখা সমান দামও যার নেই, সেও যখন উনার উত্তরাধিকার পায় সেটা দেখেছো? উম্মতে মুহাম্মদি ﷺ কে আল্লাহ নির্দেশনা ছাড়া করে দেবেন ঐ দিনে এটি কি এখন বিশ্বাস হয়?

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৫ ]

___________________________________

উত্তরাধিকার: রাজত্বের উত্তরাধিকার।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٥

حدثنا أبو أسامة عن مجالد عن أبي السفر عن رجل من بني عبس قال : قال لنا حذيفة : كيف أنتم إذا ضيع الله أمر أمة محمد (ص) ، فقال رجل : ما تزال تأتينا بمنكرة ، يضيع الله أمر محمد ؟ قال : أرأيتم إذا وليها من لا يزن عند الله جناح بعوضة : أفترون أمر أمة محمد ضاع يومئذ.

হাদিস – ৮৬

খালিদ বিন উরফুতাহ রা: বলেছেন,

নবী ﷺ বলেছেন,

: হে খালেদ! শিগ্রই মতবিরোধের ঘটনা ঘটবে। বিভাজন দেখা দেবে। যখন সেটা হবে তখন তুমি কতল হয়ে যেতে পারলে হযে যাও, কিন্তু কতল করো না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٦

حدثنا عفان وأسود بن عامر قالا : أخبر نا حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن أبي عثمان عن خالد بن عرفطة عن النبي (ص) أنه قال : (يا خالد ! إنها ستكون أحداث واختلاف – وقال عفان : وفرقة – فإذا كان ذلك فإن استطعت أن تكون المقتول لا القاتل ، قال عفان : فافعل).

হাদিস – ৮৭

আবি বুরদাহ বলছেন,

মুহাম্মাদ ইবনে মুসলেমা রা: এর ঘরে গিয়ে আমি বললাম,

: আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন। এই সময় আপনি ঘরে আছেন। আপনি কেন মানুষের কাছে গিয়ে সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ করছেন না?

উনি বললেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

অতি সত্বর ফিতনা, বিভাজন আর দ্বিমত দেখা দিবে। এরকম হলে তুমি তোমার তলোয়ার নিয়ে উহুদ পাহাড়ে চলে যাবে। এর পর এটা মারতে থাকবে যতক্ষন না তলোয়ার ভেঙ্গে যায়। এর পর বাসায় বসে থাকবে যতক্ষনা না তোমার কাছে কোনো অপরাধীর হাত অথবা মৃত্যুর লিখনি আসে।

এখন এটা হয়েছে। এজন্য আমাকে রাসুলুল্লাহ ﷺ যা করতে বলেছেন সেটা করেছি।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٧

حدثنا يزيد بن هارون قال أخبرنا حماد بن سلمة عن ثابت بن زيد عن أبي بردة قال : دخلت على محمد بن مسلمة فقلت له : رحمك الله ! إنك من هذا الامر بمكان ، فلو خرجت إلى الناس فأمرت ونهيت ؟ فقال : إن رسول الله (ص) قال : (إنها ستكون فتنة وفرقة واختلاف ، فإذا كان ذلك فأت بسيفك أحدا فاضربه حتى تقطعه ثم اجلس في بيتك حتى تأتيك يد خاطئة أو منية قاضية) ، فقد وقعت وفعلت ما قال لي رسول الله (ص).

হাদিস – ৮৮

ইবনে সিরিন বলেছেন,

আমার কাছে এই কথা পৌছেছে যে সিরিয়ার ঐক্যকে কেউ নস্ট করতে পারবে না সিরিয়ার বেদুইনরা যা করবে তা ছাড়া।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٨

حدثنا أبو أسامة عن زائدة عن هشام عن ابن سيرين قال : بلغني أن الشام لا تزال موائمة ما لم يكن بدوها من الشام.

أي ما لم يكن بدء الفتنة من الشام.

হাদিস – ৮৯

আব্দুল্লাহ বিন আমির উনার পিতা থেকে বর্ননা করছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

যে মারা গেলো কিন্তু সে কারো নেতৃত্ব মেনে চলতো না, তবে সে জাহেলিয়াতের মৃত্যু বরন করলো। আর যে এই বন্ধন করে ভঙ্গ করলো, সে ওজর খুজে পাবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৪৯৯ ]

___________________________________

শাসকদের বায়াত দেয়া আর ভঙ্গ করা সম্পর্কে বলা হচ্ছে।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٤٩٩

حدثنا علي بن حفص عن شريك عن عاصم عن عبد الله بن عامر عن أبيه قال : قال رسول الله (ص) : (من مات ولا طاعة عليه مات ميتة جاهلية ، ومن خلعها بعد عقده إياها فلا حجة له).

ولا طاعة عليه : أي ولا بيعة في رقبته والمقصود لا إمام له.

خلعها : أي خلع البيعة.

হাদিস – ৯০

আসিম আল বাজালি বলেছেন,

: তোমাদের মালামাল থেকে তোমরা মুক্ত হও যখন তোমরা দেখবে

শাবান মাসে একটা নিদর্শন,

রমজানে দুটো হটাৎ প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা,

শাওয়াল মাসে মানুষের দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়া,

জিলকদ মাসে যুদ্ধ ও বিশৃংখলা,

আর জিলহজ্জ মাসে ধংশ বা বিচার।।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০০ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٠

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا أبو الأحوص بن حكيم عن ضمرة بن حبيب عن القاسم بن عبد الرحمن قال : قال عاصم البجلي : سلوا بكيليكم – يعني نوفا – عن الآية في شعبان والحدثان في رمضان والتمييز في شوال ، والحسن – يعني القتل – والمعمعة في ذي القعدة ، والقضاء في ذي الحجة.

হাদিস – ৯১

সালমান বিন রাবী বলেছেন:

উমর রা: বলেছেন,

: শিগ্রই আমির আর কর্মিদের অবির্ভাব হবে। তাদের নৈকট্য হবে ফিতনা। তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া হবে কুফর।

আমি বললাম,

: আল্লাহু আকবার! আরেকবার বলেন হে আমিরুল মু’মিনিন। আমি বুঝতে পরি নি।

উনি আবার একই কথা বললেন।

সালমান বিন রাবী বলেন,

: আল্লাহ বলেছেন, ফিতনা কতলের থেকেও খারাপ, সুরা বাকারা – ১৯১। আর ফিতনা আমার কাছে কতলের থেকে প্রীয়।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠١

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا ابن جريح عن هارون بن أبي عائشة عن عدي بن عدي عن سلمان بن ربيعة عن عمر قال : إنها ستكون أمراء وعمال صحبتهم فتنة ومفارقتهم كفر ، قال : قلت : الله أكبر ، اعد علي يا أمير المؤمنين ! فرجت عني ، فأعاد عليه ، قال

سلمان بن ربيعة : قال الله * (والفتنة أشد من القتل) * والفتنة أحب إلي من القتل.

سورة البقرة من الآية (191).

হাদিস – ৯২

হুজাইফা রা: এর অসুস্থাতার সময় আবু মাসউদ আল-আনসারি উনার বাড়িতে গেলেন। যেই অসুস্থতায় উনি শেষ পর্যন্ত মারা যান।

বললেন,

: এটাই কি আলাদা হবার সময়?

: হ্যা। আমার প্রীয় জিনিস এসেছে আমার প্রয়োজনের সময়।

যে অনুশোচনা করলো সে সফল হলো — একিন শেখার পর আমি শিখেছিলাম।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০২ ]

___________________________________

প্রীয় জিনিস: মৃত্যু।

প্রয়োজনের সময়: যখন মৃত্যুকে চাচ্ছিলাম।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٢

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا هشام بن حسان عن محمد قال : دخل أبو مسعود الانصاري على حذيفة في مرضه الذي مات فيه فاعتنقه فقال : الفراق ، فقال : نعم حبيب جاء على فاقة ، ألا أفلح من ندم ، أليس بعد ما أعلم من اليقين.

হাদিস – ৯৩

হুজাইফা রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদের উদাহরন দেখিয়েছেন:

এক, তিন, পাচ, সাত, নয়, এগার। এর পর এর থেকে উনি এক ব্যখ্যা করেছেন। এবং বাকিগুলো সম্পর্কে চুপ ছিলেন। এর পর উনি বলেন,

: একটা কওম ছিলো দুর্বল আর দরিদ্র। এরা যুদ্ধ করে এমন কওমের সাথে যারা সুদক্ষ ও আক্রমনাত্বক।

তারা মুখোমুখি হয়। তাদেরকে কাজে লাগায়। তাদের উপর চাপিয়ে দেয়।

তাই তাদের রব তাদের উপর অসন্তুস্ট হয়।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٣

حدثنا أبو أسامة عن الاجلح عن قيس بن أبي مسلم عن ربعي عن حذيفة قال : ضرب لنا رسول الله (ص) أمثالا واحدا وثلاثة وخمسة وسبعة وتسعة وأحد عشر ، وفسر لنا منها واحدا وسكت عن سائرها ، فقال : (إن قوما كانوا أهل ضعف ومسكنة فقاتلوا قوما أهل حيلة وعداء ، فظهروا عليهم فاستعملوهم وسلطوهم فأسخطوا ربهم عليهم).

হাদিস – ৯৪

আলা ইবনে আব্দুল করিম বলেছেন,

এক বেদুইন আমাদের বলেছে,

: আমি কুফাতে হিজরত [মাইগ্রেট] করলাম। এর পর আমাকে দেয়া সব জিনিস নিয়ে বের হয়ে যেতে চাইলাম।

মানুষেরা বললো,

: তোমার হিজরত মানা।

এর পর সুয়াইদ বিন গাফলার সাথে দেখা হলে আমি তাকে এটা বললাম।

উনি বললেন,

: আমার ইচ্ছে করে যদি আমার কোনো বাহন থাকতো, সম্পদ না থাকতো। তবে আমি এই এলাকা থেকে অনেক দূরে চলে যেতাম।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٤

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا العلاء بن عبد الكريم قال حدثني أعرابي لنا قال : هاجرت إلى الكوفة فأخذت أعطية لي ثم بدا لي أن أخرج ، فقال الناس : لا هجرة لك ، فلقيت سويد بن غفلة فأخبرته بذلك فقال : لوددت أن لي حمولة وما أعيش به وأني في بعض هذه النواحي.

حمولة : أي ما يحملني ، أي ناقة في بعض هذه النواحي : أي بعيدا عن مكان الفتنة والاقتال.

হাদিস – ৯৫

সাইদ বিন জুবাই রা: কে জিজ্ঞাসা করা হলো,

: হে আবু আব্দুলুল্লাহ! মানুষের ধ্বংশ হবার আলামত কি?

বললেন,

: যখন তাদের উলামাগন ধ্বংশ হয়ে যায়।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٥

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا ثابت بن زيد قال أنبأنا هلال بن خباب أبو العلاء قال : سألت سعيد بن جبير ، قلت : يا أبا عبد الله ! ما علامة هلاك الناس ؟ قال : إذا هلك علماؤهم.

إذ يكون فيهم عندها جهلاء يدعون العلم فيفتون بغير معرفة.

হাদিস – ৯৬

হুজাইফা রা: বলেছেন,

আল্লার শপথ!

তাদের উপর কোনো হুকুম আসার পর তারা এটা নিয়ে শোরগোল করলে,

সবসময় এর পরে এমন হুকুম আসবে যেটার কারনে তারা ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٦

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا زائدة عن الاعمش عن يحيى بن وثاب قال : قال حذيفة : والله لا يأتيهم أمر يضجون منه إلا أردفهم أمي يشغلهم عنه.

হাদিস – ৯৭

মাকহুল বলেছেন:

মালাহামা, কুসতুনতুনিয়া বিজয় আর দাজ্জালের বের হওয়ার মাঝে সাত মাস সময়।

চুক্তি হওয়া আর ভঙ্গ হওয়া মাঝেও একই সময়। একটা আরেকটার পর পর হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০৭ ]

___________________________________

আরবী নোটে বলছে, এটা বর্ননাকারী “মাকহুলের” নিজের কথা। বর্ননাকারীদের কেউ এটা রাসুলুল্লাহ ﷺ এর কথা হিসাবে বর্ননা করেন নি।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٧

حدثنا أبو أسامة قال حدثنا عبد الرحمن بن يزيد بن جابر عن مكحول قال : ما بين الملحمة وفتح القسطنطينية وخروج الدجال إلا سبعة أشهر ، وما ذاك إلا كهيئة العقد ينقطع فيتبع بعضه بعضا.

وهذا قول مكحول لم يرفعه أحد من رواته.

হাদিস – ৯৮

মুয়াজ বিন জাবাল রা: বলেছেন

: বাইতুল মুকাদ্দাসের উন্নয়নের হলে, ইয়াথরিব [মদিনা] ধ্বংশ হবে।

মালহামার জন্য রওনা দিলে পর কুসতুনতুনিয়া [ইস্তাম্বুল] জয় হবে।

কুসতুনতুনিয়া জয় হলে দাজ্জাল বের হবে।

এর পর উনার হাত দিয়ে লোকের কাধে বাড়ি দিয়ে বললেন

: ওয়াল্লাহ! এটা সত্য!

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫০৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٠٨

حدثنا أبو أسامة عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر عن مكحول أن معاذ بن جبل قال : عمران بيت المقدس خراب يثرب وخراب يثرب خروج الملحمة ، وخروج الملحمة فتح القسطنطينية ، وفتح القسطنطينية خروج الدجال ، ثم ضرب بيده على منكب رجل وقال : والله إن ذلك لحق.

হাদিস – ১০১

আব্দুর রহমান বিন সুহার উনার পিতা থেকে বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

কিয়ামত হবে না যতক্ষন পর্যন্ত না গোত্রগুলো ধসে পড়ে।

এমন কি এক লোককে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কি অমুক বংশের?

বলেন,

: আমরা জেনেছি, আরবরা তাদের গোত্রে দিকে ডাকবে। আর অনারবরা তাদের এলাকার দিকে ডাকবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١١

حدثنا أبو أسامة عن الجريري قال حدثنا العلاء عن عبد الرحمن بن صخار عن أبيه قال : قال رسول الله (ص) : (لا تقوم الساعة حتى يخسف بقبائل حتى يقال للرجل : من بني فلان) ، قال : فعرفت أن العرب تدعى إلى قبائلها ، وأن العجم تدعى إلى قراها.

হাদিস – ১০২

আব্দুল্লাহ বিন আমর রা: বলেছেন:

আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

: আমার উম্মতের মাঝে ভুমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি আর পাথর বর্ষন হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১২ ]

___________________________________

পাথর বর্ষন: উল্কাপাত, অথবা বোমা বর্ষন।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٢

حدثنا عبد الله بن نمير عن الحسن بن عمرو عن أبي الزبير عن عبد الله بن عمرو قال : سمعت رسول الله (ص) يقول : (إن في أمتي خسفا ومسخا وقذفا).

أي سيصيب بعضها خسف وغيرهم مسخ أو قذف.

হাদিস – ১০৩

জাইনাব বিনতে জাহাশ রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ একবার লাল চেহারা নিয়ে ঘুম থেকে জাগলেন এবং বললেন,

: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! আরবদের ধ্বংশ, আসন্ন বিপদ থেকে। আজকে ইয়াজুজ আর মাজুজের বাধ থেকে এতটুকু খুলে গিয়েছে।

বলে উনি আঙ্গুল ধরে দশ দেখালেন।

জয়নর রা: বললেন,

: আমরা কি ধ্বংশ হব, অথচ আমাদের মাঝে সৎ লোক আছে?

উনি বললেন,

: হ্যা। যদি অশ্লিলতা প্রকাশ্যে হয়।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٣

حدثنا ابن عيينة عن الزهري عن عروة عن زينب بنت أبي سلمة عن حبيب عن أم حبيبة عن زينب بنت جحش أنها قالت : استيقظ رسول الله (ص) من نومه محمرا وجهه وهو يقول : (لا إله إلا الله ، ويل للعرب من شر قد اقترب ، فتح اليوم من ردم يأجوج ومأجوج ، وعقد بيده يعني عشرة ، قالت زينب : قلت : يا رسول الله ! أنهلك وفينا

الصالحون ؟ قال : (نعم ، إذا ظهر الخبث).

إذا ظهر الخبث : إذا استعلن ولم يحاربه المسلمون.

হাদিস – ১০৪

আয়শা রা: বলেছেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

দুনিয়াতে যখন প্রকাশ্যে পাপাচার হবে তখন আল্লাহ পৃথিবীর মানুষের উপর দুঃখ অবতির্ন করবেন।

আমি বললাম:

ইয়া রাসুলুল্লাহ! ﷺ তাদের মাঝে আল্লাহর অনুসারীরা থাকলেও?

উনি ﷺ বললেন:

হ্যা। তবে এর পর তাদের পরিনতি আল্লাহর রহমত।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৪ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٤

حدثنا ابن عيينة عن جامع عن منذر عن الحسن بن محمد عن امرأة عن عائشة قالت : قال رسول الله (ص) : (إذا ظهر السوء في الارض أنزل الله بأهل الارض بأسه ، قلت يا رسول الله ! وفيهم أهل طاعة الله ؟ قال : نعم ، ثم يصيرون إلى رحمة الله).

ظهر السوء : استعلن وانتشر ولم ينكره الناس بأيديهم وألسنتهم.

হাদিস – ১০৫

আনাস রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

কিয়ামতের আগে রাতের আধার টুকরার মত ফিতনা দেখা দিবে।

সকালে এক জন মুমিন থাকবে, তো সন্ধায় সে কাফির হয়ে যাবে।

সন্ধায় মুমিন থাকবে, তো সকালে কাফির হয়ে যাবে।

মানুষ তার দ্বীনকে দুনিয়ার জিনিসের বিনিময়ে বিক্রি করে দেবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٥

حدثنا يونس بن محمد عن ليث بن سعد عن يزيد عن أبي سنان عن أنس عن النبي (ص) قال : (بين يدي الساعة فتن كقطع الليل المظلم ، يصبح الرجل مؤمنا ويمسي كافرا ، ويصبح كافرا ويمسي مؤمنا ، ويبيع قوم دينهم بعرض الدنيا).

عرض الدنيا : أموالها وأملاكها ومنافعها ومراتبها إلخ..(1 / 109) أي تكثر وتنتشر كأنها المطر.

হাদিস – ১০৬

কাইস রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ মাথা আকাশের দিকে উচু করে বললেন,

: সুবহানাল্লাহ! তাদের উপর ফিতনা পাঠাবেন, ফোটায় ফোটায়।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৬ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٦

حدثنا أبو أسامة عن إسماعيل عن بيان عن قيس أن رسول الله (ص) رفع رأسه إلى السماء ثم قال : (سبحان الله ! ترسل عليهم الفتن إرسال القطر).

হাদিস – ১০৭

উমর রা: এর কাছে এক লোক বললো,

: হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।

এটা শুনে ওমর রা: বললেন,

: হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে না বুঝা থেকে আশ্রয় চাই। তুমি কি এটা পছন্দ করবে যে আল্লাহ তায়ালা তোমাকে মাল ও সন্তান দেবেন না? বরং তোমাদের যে কেউ ফিতনা থেকে রক্ষা চাইতে হলে, সে দোয়া যেন এর পথভ্রস্টতা রক্ষার দোয়া করে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٧

حدثنا أبو أسامة عن مسعر عن أبي حصين عن أبي الضحى قال : قال رجل وهو عند عمر : اللهم إني أعوذ بك من الفتنة أو الفتن ، فقال عمر : اللهم إني أعوذ بك من الصفاطة ، أتحب أن لا يرزقك الله مالا وولدا ، أيكم استعاذ من الفتن فليستعذ من مضلاتها.

হাদিস – ১০৮

উবাইদিল্লাহ বিন কাব রা: বলেছেন:

আমি উম্মে সালমা রা: এর সংগে ছিলাম। তখন হারিথ বিন আবি রাবিয়া রা: এবং আব্দুল্লাহ বিন সাফওয়ান রা: আসলেন। উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন ঐ বাহিনীর কথা যারা মাটিতে ধ্বসে পড়বে। এটা আব্দুল্লাহ বিন জুবারই রা: এর যুগে।

তখন উম্মে সালমা র: বললেন:

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

বাইতুল্লাহ একজন অশ্রয় নিবে। তার কাছে একটা দল পাঠানো হবে। তারা যখন বাইদাহতে থাকবে তখন ভুমি তাদের গ্রাস করে নিবে।

আমরা তখন উনাকে ﷺ কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম,

: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ যদি তাদের সাথে অনিচ্ছুক কেউ থাকে?

: তাদের সাথে সেও ধ্বসে পড়বে। কিন্তু কিয়ামতের দিন তাকে তার নিয়তের উপর তোলা হবে।

আবু জাফর বলছেন: এই বাইদা হলো মদিনার বাইদাহ।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٨

حدثنا جرير عن عبد العزيز بن رفيع عن عبيد الله بن القبطية قال : دخل الحارث بن أبي ربيعة وعبد الله بن صفوان على أم سلمة وأنا معها ، فسألاها عن الجيش الذي يخسف به ، وذلك في زمان ابن الزبير ، فقالت : قال رسول الله (ص) : (يعوذ عائذ بالبيت فيبعث إليه بعث ، فإذا كان ببيداء من الارض يخسف بهم ، فقلنا : يا رسول

الله ! كيف بمن كان كارها ؟ قال : يخسف به معهم ، ولكنه يبعث يوم القيامة على نيته) ، قال : أبو جعفر ، هي بيداء المدينة.

يبعث إليه بعث : يرسل إليه جيش.

হাদিস – ১০৯

আবু মুসা রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

মুসলিমরা যদি তাদের তলোয়ার নিয়ে মুখো মুখি হয় এবং তাদের কেউ একজন তার সঙ্গীকে হত্যা করে তবে তাদের দুজনই জাহান্নামে যাবে।

লোকেরা বললো,

: ইয়া রাসুলুল্লাহ ﷺ ! হত্যাকারী কেন যাবে বুঝলাম। কিন্তু নিহত কি কারনে যাবে?

উনি ﷺ বললেন,

: সেও চাচ্ছিলো তার সঙ্গীকে কতল করতে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫১৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥١٩

حدثنا يزيد بن هارون قال أخبرنا سليمان التيمي عن قتادة عن الحسن عن أبي موسى قال : قال رسول الله (ص) : (إذا توجه المسلمان بسيفيهما فقتل أحدهما صاحبه فهما في النار ، قالوا : يا رسول الله ! هذا القاتل ، فما بال المقتول ؟ قال : إنه أراد قتل صاحبه).

أي لانه كان حريصا على قتل صاحبه وإنما الصدقة أو القوة والقدر هو الذي جعله المقتول ولو كان الحال غير ذلك كان هو القاتل والآخر المقتول.

হাদিস – ১১০

আবু জিনাদ বলেছেন:

আমি তখন গোলাম ছিলাম। আমি আমার মালিকের সাথে বের হলাম। ভিড় ঠেলে হুজাইফা রা: এর কাছে গেলাম। উনি তখন বলছিলেন,

: নবী ﷺ এর সমস্ত শিক্ষা থেকে যদি কোনো লোক একটা কথাকেই বলতে থাকে, তবে সেটা মুনাফেকির দিকে যাবে।

আমি তোমাদের একটি বয়ানে শুনেছি বক্তা চার বার বলেছে: তোমরা সৎ কাজের আদেশ দাও আর অসৎ কাজের নিষেধ কর, এবং একে অন্যকে ভালো কাজে উৎসাহ দাও। তা না হলে তোমাদের সবার উপর আল্লাহ একসাথে আজাব পঠাবেন। এবং তোমাদের মাঝে সবচেয়ে খারাপ লোকদের তোমাদের আমির বানাবেন। এর পর তোমরা ভালোর জন্য দোয়া করবে কিন্তু সে দোয়ার কবুল করা হবে না।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২০ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٠

حدثنا عبد الله بن نمير قال حدثنا رزين الجهني قال حدثنا أبو الرقاد قال : خرجت مع مولاي وأنا غلام ، فدفعت إلى حذيفة وخو يقول : إن كان الرجل ليتكلم بالكلمة على عهد النبي (ص) فيصير منافقا وإني لاسمعها من أحدكم في المقعد الواحد أربع مرات ، لتأمرن بالمعروف ولتنهون عن المنكر ، ولتحاضن على الخير أو ليسحتنكم الله بعذاب جميعا أو ليؤمنرن عليكم شراركم ثم ثدعو خياركم فلا يستجاب لهم.

في المقعد الواحد : في الجلسة الواحدة.

হাদিস – ১১১

থারওয়ান বিন মিলহান বলছেন,

আমরা মসজিদে বসে ছিলাম। আমাদের কাছে আম্মার বিন ইয়াছিন রা: এলেন।

আমরা উনাকে বললাম,

: আমাদের রাসুলুল্লাহ ﷺ এর একটা হাদিস শুনান ফিতনার উপর।

বললেন,

: আমি শুনেছি রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, আমার পরে আমির-উমরা হবে যারা রাজ্য নিয়ে যুদ্ধ করবে। তাদের একদল অন্যদলকে হত্যা করবে।

আমরা বললাম,

: আপনার এই কথার বিপরতি কোনো কথা কেউ যদি আমাদের বলে তবে আমরা তাকে মিথ্যাবাদি বলবো।

: দেখ, শিগ্রই এটা হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২১ ]

___________________________________

আরবী ফুটনোটে বলা হচ্ছে: এই হাদিস আব্বাসি বর্ননায় আছে: আমির-উমরাদের পতন এত বেশি হবে যে শেষ পর্যন্ত রাজত্বের জন্য ছেলে পিতাকে হত্যা করবে, ভাই ভাইকে হত্যা করবে।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢١

حدثنا محمد بن عبد الله الاسدي عن إسرائيل عن سماك عن ثروان بن ملحان قال : كنا جلوسا في المسجد فمر علينا عمار بن ياسر فقلنا له : حدثنا حديث رسول الله (ص) في الفتنة ، فقال : سمعت رسول الله (ص) يقول : (سيكون بدي أمراء يقتتلون على الملك ، يقتل بعضهم عليه بعضا) ، فقلنا له : لو أن حدثنا به غيرك كذبناه ، قال :

أما إنه سيكون.

وفي العصر الاموي قتل بعضهم بعضا وفي العصر العباسي استشرى الامر حتى ليقتل الولد أباه والاخ أخاه سبيل الملك.

হাদিস – ১১২

উম্মে সালমা রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

রুকন ও মাকাম এর মাঝে এক জন লোকের কাছে মানুষ বায়াত দেবে।

তাদের সংখ্যা হবে বদরের লোকদের সমান।

উনার কাছে ইরাক থেকে একটি দল এবং সিরিয়া থেকে আবদালগন আসবেন।

তাদেরকে সিরিয়া বাসীদের মাঝ থেকে একটা বাহিনী এসে আক্রমন করবে।

বাইদাহতে তারা ভুমি ধ্বসে পড়বে।

এর পর কুরাইশ বংশের এক লোক তাদের আক্রমন করবে যে কিনা কলব গোত্রের।

তার সাথে যুদ্ধ হবে এবং আল্লাহ তাদের বিজয়ী করবেন।

এর পর উনি ﷺ বলেন,

সে লোক ব্যর্থ, যে কলবের গনিমত নিতে ব্যর্থ।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٢

حدثنا عفان قال حدثنا عمران القطان عن قتادة عن أبي الخليل عن عبد الله بن الحارث عن أم سلمة قالت : قال رسول الله (ص) : (يبايع لرجل بين الركن والمقام كعدة أهل بدر ، فتأتيه عصائب العراق وأبدال الشام ، فيغزوهم جيش من أهل الشام حتى إذا كانوا بالبيداء يخسف بهم ، ثم يغزوهم رجل من قريش أخواله كلب فيلتقون فيهزمهم الله) ، فكان يقال : الخائب من خاب من غنيمة كلب.

হাদিস – ১১৩

সাফিয়া রা: বলেছেন,

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

এই ঘরে মানুষের আক্রমন বন্ধ হবে না যতক্ষন না এটা একটা বাহিনী আক্রমন করে।

যখন তারা বাইদাতে থাকবে সমতল ভুমিতে থাকবে তখন এটা ধ্বসে যাবে তাদের প্রথম আর শেষজনকে নিয়ে। তাদের মাঝেররাও রেহাই পাবে না।

আমি বললাম,

: তাদের মাঝে অনিচ্ছুক কেউ থাকলে?

বললেন,

: আল্লাহ তাদের পুনঃ জীবিত করবেন তাদের অন্তরে কি ছিলো তার উপর।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৩ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٣

حدثنا الفضل بن دكين قال حدثنا سفيان عن سلمة بن كهيل عن أبي إدريس المرهبي عن مسلم بن صفوان عن صفية قالت : قال رسول الله (ص) : (لا ينتهي ناس عن غزو هذا البيت حتى يغزو جيش حتى إذا كانوا بالبيداء أو ببيداء من الارض خسف بأولهم وآخرهم ولم ينج أوسطهم ، قلت : فإن كان فيهم من يكره ؟ قال : يبعثهم الله على ما في أنفسهم).

على ما في أنفسهم : على نياتهم.

ابن أبي شيبة – ج 8 – م 39 (*)

হাদিস – ১১৪

মাইমুনা রা: বলেছেন:

আমাদেরকে নবী ﷺ সেই দিন বলেছিলেন,

: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন দ্বীনর মাঝে বিশৃংখলা আরম্ভ হবে,

মনে যা চায় তার অনুসরন করা হবে,

ভাইদের মাঝে মত পার্থক্য দেখা দিবে

আর বাইতুল আতিক পুড়িয়ে ফেলা হবে?

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৪ ]

___________________________________

বাইতুল আতিক: বাইতুল্লাহ

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٤

حدثنا محمد بن عبد الله الاسدي عن سعد بن أوس عن بلال العبسي عن ميمونة قالت : قال لنا نبي الله (ص) ذات يوم : (كيف أنتم إذا مرج الذين وظهرت الرغبة واختلفت الاخوان خرق البيت العتيق).

হাদিস – ১১৫

আবু হুরাইরা রা: বলেছেন,

নবী ﷺ বলেছেন,

: কাবা যে ভাঙ্গবে সে হবে হাটু থেকে নিচ ছোট পা বিশিষ্ট হাবশার লোক।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৫ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٥

حدثنا ابن عيينة عن زياد بن سعد عن الزهري عن سعيد بن المسيب سمع أبا هريرة يقول عن النبي (ص) : (الذي يخرب الكعبة ذو السويقتين من الحبشة).

হাদিস – ১১৬

উলাইমিন আল-কান্দিই বলেছেন:

জুবাইর রা: বংশধরদের হাতে এই ঘর ধ্বংশ হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৬ ]

___________________________________

ঘর: কাবা ঘর।

আরবী ফুটনোটে বলা আছে এটা মওজু হাদিস। প্রচার করেছ হাজ্জাজ বিন ইউসুফের জামাত। তাদের পাথর ছুড়ে মারার কারনে বাইতুল্লাহ ধংশ হবার দায় আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর রা: এর উপর চাপানোর জন্য।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٦

حدثنا وكيع عن سفيان عن سلمة بن كهيل عن أبي صادق عن حنش الكناني عن عليم الكندي قال : ليخربن هذا البيت على يد رجل من آل الزبير.

وهذا من الاحاديث الموضوعة التي وضعها جماعة الحجاج بن يوسف الثقفي ليحمل ابن الزبير عاقبة هدم البيت في أعين الناس مع أنه هو الذي ضرب البيت بالمنجنيق في حصاره لابن الزبير.

হাদিস – ১১৭

মুজাহিদ বলেছেন,

আমি ইবনে আমর থেকে শুনেছি,

: যেন আমি এখানে থেকে দেখছি, টাক মাথা এক লোক যাকে বাধা দেবার কেউ নেই, এর উপর দাড়িয়ে নিজের হাতুড়ি দিয়ে এটা ভাঙ্গছে।

ইবনে জুবাইর রা: যখন এটা ভাঙ্গছিলেন তখন আমি এসে ইবনে আমর থেকে বর্নিত রূপ মিলানোর চেস্টা করি এবং করতেই থাকি।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৭ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٧

حدثنا ابن عيينة عن ابن أبي نجيح عن مجاهد قال : سمع ابن عمرو يقول : كأني به أصيلع أفيدع ، قائم عليها يهدمها بمسحاته ، فلما هدمها ابن الزبير جعلت أنظر ألى صفة ابن عمرو فلم أزل بها.

হাদিস – ১১৮

মুজাহিদ বলেছেন:

ইবনে জুবাইর রা: যখন সেটা ভাঙ্গার সময় একত্রিত হন, তখন আমরা তিনজন মিনায় বেরিয়ে যাই, এবং আযাবের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৮ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٨

حدثنا ابن عيينة عن داود بن سابور عن مجاهد قال : لما أجمع ابن الزبير على هدمها خرجنا إلى منى ننتظر العذاب.

হাদিস – ১১৯

আলী রা: বলেছেন

: আমি যেন দেখতে পাচ্ছি হাবশার সেই লোককে, টাক মাথা, চ্যপ্টা ছোটো কান, চিকন পা — এর উপর বসে আছে এবং একে ভাঙ্গছে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫২৯ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٢٩

حدثنا إسحاق الازرق عن هشام عن حفصة عن أبي العالية عن علي قال : كأني أنظر إلى رجل من الحبش أصلع أصمع حمش الساقين جالسا عليها وهي تهدم.

হাদিস – ১২০

ইবনে আমর রা: বলেছেন:

যখন দেখবে কুরাইশরা ঘর ভেঙ্গে ফেলছে,

এবং এর পর আবার বানাচ্ছে এবং সুসজ্জিত করছে,

তাহলে তুমি মরে যেতে পারলে মরে যেও।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩০ ]

___________________________________

ঘর: বাইতুল্লাহ।

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٠

حدثنا ابن علية عن ابن أبي نجيح عن سليمان بن ميناء قال : سمعت ابن عمرو يقول : إذا رأيتم قريشا قد هدموا البيت ثم بنوه فزوقوه ، فإن استطعت أن تموت فمت.

হাদিস – ১২১

ইয়া’লি বিন আত্বা বলেছেন উনার পিতা থেকে:

আমি আব্দুল্লাহ বিন উমর রা: এর বাহনের লাগাম ধরে যাচ্ছিলাম।

উনি বললেন,

: তখন তোমাদের কি অবস্থা হবে যখন তোমরা বাইতুল্লাহকে ভেঙ্গে ফেলবে এমন ভাবে যে এর একটা পাথরের উপর একটা পাথরও থাকবে না?

: আমরা কি তখন ইসলামের উপর থাকবো?

: তোমরা ইসলামের উপরই থাকবে।

: এর পর কি হবে?

: এর পর এটাকে ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর করে বানানো হবে। যখন তুমি দেখবে,

মক্কার ভেতর দিয়ে সুড়ঙ্গ খোড়া হয়েছে,

এবং এর দালানগুলো পাহাড়ের মাথা থেকে উচু হয়ে গিয়েছে,

তখন জানবে ঘটনার ছায়া তোমার উপর চলে এসেছে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩১ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣١

حدثنا غندر عن شعبة عن يعلى بن عطاء عن أبيه قال : كنت آخذا بلجام دابة عبد الله بن عمرو فقال : كيف أنتم إذا هدمتم البيت ، فلم تدعوا حجرا على حجر ، قالوا : ونحن على الاسلام ؟ قال : وأنتم على الاسلام ، قال : ثم ماذا ؟ قال : ثم يبنى أحسن ما كان ، فإذا رأيت مكة قد بعجت كظائم ورأيت البناء يعلو رؤوس الجبال فاعلم أن الامر قد أظلك.

إن الامر قد أظلك : أي أن الساعة قد اقتربت.

হাদিস – ১২২

আব্দুল্লাহ বিন উমর রা: বলেছেন,

এই ঘর থেকে আনন্দিত হয়ে নাও যতক্ষন না এটার উন্নয়ন হয়।

দুই বার এর উন্নয়ন হবে এবং ভেঙ্গে ফেলা হবে।

তৃতীয়বার এর উন্নয়ন হবে।

[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা – ৩৬৫৩২ ]

___________________________________

مصنف ابن أبي شيبة – ٣٦٥٣٢

حدثنا يزيد بن هارون عن حميد عن بكر بن عبد الله المزني عن عبد الله بن عمرو قال : تمتعوا من هذا البيت قبل أن يرفع ، فإنه سيرفع ويهدم مرتين ويرفع في الثالثة.

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment