মুসলিম মিল্লাতের অনৈক্যের অন্তরায়ঃ আমার পীর বড় আপনার পীর ছোট।
🖋লেখকঃ সৈয়দ মিফতাহুন নূর আল-মাইজভান্ডারী
আমার পীর সাহেবের সাথে আপনার পীর দেখা করতে এসেছেন, তাই আপনার পীর ছোট।
বিঃদ্রঃ যেহেতু আমার জনের সাথে আপনার জন দেখা করতে সেছেন, তাই আমার জন অতি সম্মানিত হিসেবে ‘পীর সাহেব’ আর আপনার জন নরমাল সম্মানিত হিসেবে শুধু ‘পীর’।
অনৈক্যের কথা যখন টেবিলে বা চায়ের কাপে ওঠে, একটা বিষয় উঠে আসে যে এক পীর সাহেবের সাথে আরেক পীর সাহেবের কিংবা এক হুযুরের সাথে আরেক হুযুরের দেখা সাক্ষাতও থাকে না যেখানে সেখানে ঐক্য কোথা থাকে আসবে?
আমরা যারা প্রশ্নটা তুলি আমরা কখনো ভেবে দেখি না যে অনেক সময় আমরা কিছু অতি উৎসাহী, অবিবেচকরাই ঐক্যের অন্তরায় হিসেবে কাজ করি।
কিভাবে? লেখাটা যে লাইন দিয়ে শুরু করেছিলাম, ওটা পড়ুন। ঐ লাইনটাই সমস্যা। যখন এক সম্মানিত ব্যক্তি আরেক সম্মানিত ব্যক্তির সাথে সাক্ষাত করতে যান কিংবা সালাম-মুসাফাহা করেন, আমরা সেটাকে আমাদের ফোনে তুলে নিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দিই ঐ প্রচারণার জন্য। বললে হয়তো বলবেন যে না, আমি ওরকম কিছু মানে করি নি। সে শুধু মুখেই থাকে। উদ্দেশ্য থাকে এটা বুঝানো যে আমি বড়, তুমি ছোট। মানুষের আত্মসম্মানের জায়গাটায় আমরা বরাবরই আঘাত হানতে পছন্দ করি। অথচ প্রতিটি মানুষের জন্য সেটা অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদ, সত্যি বলতে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
আচ্ছা, একটু হিসেব করে দেখি তো চলুন, ও ধরনের ছবি-ভিডিও শেয়ার করে আজ পর্যন্ত আমরা কজনকে ছোট পীর সাহেব/ ছোট হুযুর থেকে ছুটিয়ে এনে বড় পীর সাহেব/ বড় হুযুরের বায়াত/অনুসারী করতে পেরেছি? নাকি তাদের মধ্যকার যে সুসম্পর্ক, সেটা নষ্ট করতে না পারলেও, তারা যেন জনসম্মুখে একে অন্যকে সালাম পর্যন্ত দেয়া নেয়া না করেন সে ব্যবস্থা করেছি?