মুবিজানের স্বপ্ন ও পারস্য সম্রাটের প্রাসাদ কম্পিত

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

ইমাম নিশাপুরীর একলীলে আবু সাঈদ নিশাপুরীর শরফুল মোস্তাফা আবু নাঈম ও বায়হাকীর দালায়েল গ্রন্থে, শিফা গ্রন্থকারের শিফা, গ্রন্থে, ইবনে সুবকী স্বীয় গ্রন্থে সাহাবা পরিচিতি অধ্যায়ে মাখযুম বিন হানী (যার বয়স ছিল ১৫০ বছর) সুত্রে, তিনি স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলে পাকের জন্মের রাত্রে (পারস্য সম্রাট) কিসরার রাজ প্রাসাদ কম্পিত হয়েছিল, প্রাসাদের ১৪টি প্রহরা চৌকি ভেঙ্গে তছনছ হয়ে পড়েছিল। 

শাইখুল মাশায়েখ ইমাম ইবনুল জাযরী (رضي الله عنه) এর মতে এ ধ্বংসের শেষ স্থানটি এখনো বিদ্যমান আছে। মাদায়েনের প্রত্যক্ষদর্শকরী বলেন: রাজপ্রাসাদের উপর হতে ১৪টি গম্বুজ ভূমিস্বাত হয়ে যায়। পারস্যের সে প্রজ্জলিত অগ্নিশিখা নির্বাপিত হয়ে গিয়েছিল, যুগ যুগ ধরে যে অগ্নির পুজা করা হতো। যা প্রায় এক হাজার বছর পর্যন্ত অনির্বাণ ছিল। কারও পক্ষে তা নির্বাপিত করার শক্তি সাধ্য ছিলনা। বুহাইরায়ে মাওয়া হেরানের অন্তর্গত সাওয়া নামক ঝিল শুকিয়ে গিয়েছিল। মুবিজান স্বপ্ন দেখল (যিনি অগ্নি পুজারিদের বড় কাজী) একটি নর উঠ একপাল আরবী গোড়াকে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে দজলা নদী অতিক্রম করে তারা সেদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ থাকে যে, রাসূলে পাকের আগমনের রাত্রিতে সকল শয়তানগুলোর আকাশের সমস্ত খবরা খবর জ্ঞাত হওয়ার ষড়যন্ত্র প্রজ্জলিত অগ্নি স্ফুলিং ধারা নস্যাৎ করা হয়েছিল। 

এর পূর্ব হতে শয়তান আকাশের গোপন তথ্য গুলো জানার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল। অগ্নি স্ফুলিং নিক্ষেপের প্রাক্ষালে পাপীষ্ট ইবলিস আকাশের এক কোনায় আত্মগোপন করেছিল। 

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments