মানুষের সফলতা ও মুক্তি নিহিত আছে তিনটি জিনিসের মধ্যে:

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

👉হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ عُقبَةَ بنِ عَامرٍ رضي الله عنه قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا النَّجَاةُ ؟ قَالَ: «أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ، وابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
উকবা বিন আমের রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, “হে আল্লাহর রসূল, কিসে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?’
তিনি বললেন:
– জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করো।
– তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক। (অর্থাৎ অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান করো।)
– আর নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন করো।”
(তিরমিযি, তিনি বলেন: হাদিসটি হাসান। রিয়াদুস সলেহিন, অধ্যায়: নিষিদ্ধ বিষয়াবলী, পরিচ্ছেদ:২৫৪: গিবত (পরনিন্দা) নিষিদ্ধ এবং বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব-সহিহ)

❖ ব্যাখ্যা:

সাহাবায়ে কেরাম আখিরাতে মুক্তি এবং সফলতার জন্য নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উপায় জিজ্ঞাসা করতেন। তাই উকবা বিন আমের রা. নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করলে তিনি তাকে মুক্তি এবং সফলতার তিনটি উপায়ে বলেছেন। যথা:

❑ ১) “জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করো।” এর অর্থ: খারাপ ভাষা ব্যবহার না করা, কাউকে অন্যায়ভাবে গালাগালি না করা, মানুষের বদনাম ও সমালোচনা করা থেকে দূরে থাকা, অর্থহীন, অপ্রয়োজনীয় এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কথাবার্তা থেকে মুখ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।
কারণ মানুষ মুখ দিয়ে যা কিছু বলে ফেরেশতা মণ্ডলী তা সংরক্ষণ করে নেয় এবং মুখের ভাষার অপব্যবহারের কারণে কিয়ামতের দিন কিছু মানুষকে নাক ও মুখের ভরে ছেঁচড়ে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে।

আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।

❑ ২) “তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক।” (অর্থাৎ অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান কর)
এ কথার উদ্দেশ্য হল, প্রয়োজন হীনভাবে বাড়ির বাইরে সময় কাটানো উচিৎ নয়। বরং প্রত্যেকের উচিৎ, বাইরের কাজ সেরে বাড়িতে এসে বিশ্রাম নেয়া, বাকি সময় স্ত্রী-পরিবারের সাথে কাটানো, ঘরকে আল্লাহর নাফরমানি ও ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে থেকে হেফাজত করা এবং নিজেও বাইরের ফেতনা-ফ্যাসাদ থেকে আত্মরক্ষা করা, পরিবারকে দ্বীনের শিক্ষা দেয়া, দুনিয়াবি ব্যস্ততা থেকে মুক্ত হয়ে কিছু সময় বাড়িতে নির্জনে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করা ইত্যাদি।

❑ ৩) “নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন করো।” অর্থাৎ নিজের অন্যায় ও পাপাচারের কারণে আল্লাহর নিকট লজ্জিত অন্তরে তওবা করা এবং বাস্তবে ক্রন্দন করো। কেননা, তওবার ও ক্রন্দনের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে গুনাহ থেকে পবিত্র করেন এবং এর দ্বারা আত্মশুদ্ধি অর্জিত হয়।

মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন আমাদেরকে আল্লাহ ও রাসূলের দেখানো পথে চলে দুনিয়ায় সুখ, শান্তি, সফলতা এবং আখিরাতে মুক্তি দান করেন। আমিন।
আল্লাহু আলাম।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a reply

  • Default Comments (0)
  • Facebook Comments