মানুষকে পানি পান করানোর ফযীলত সম্পর্কে অনেক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬
🌱যেমন একদা সা‘দ বিন ওবাদাহ (رضي الله عنه) নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, আপনার নিকট কোন ছাদাক্বা সর্বাধিক পসন্দনীয়? তিনি বললেন, পানি পান করানো।’ (আবুদাঊদ হা/১৬৭৯; হাকেম হা/১৫১১)।
🌱অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূল (ﷺ) বলেন, পানি পান করানো অপেক্ষা অধিক ছওয়াবপূর্ণ ছাদাক্বা আর নেই।’
(বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৩৩৭৮; ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৬০)।
🌱সা‘দ বিন ওবাদাহ (رضي الله عنه) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! উম্মু সা‘দ মৃত্যুবরণ করেছেন, (তার পক্ষ হ’তে) কোন ছাদাক্বা সর্বোত্তম হবে? তিনি বললেন, পানি পান করানো। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি একটি কূপ খনন করে বললেন, এটা উম্মু সা‘দের (কল্যাণের) জন্য ওয়াকফ করা হ’ল।
(আবুদাঊদ হা/১৬৮১; মিশকাত হা/১৯১২)।
🌱রাসূল (ﷺ) আরো বলেন, যে ব্যক্তি পানির কূপ খনন করল, আর সে কূপ থেকে মানুষ, জিন বা কোন পাখি পানি পান করল। এর বিনিময়ে আল্লাহ তাকে ক্বিয়ামতের দিন ছওয়াব প্রদান করবেন।
(ছহীহ ইবনু খুযায়মাহ হা/১২৯২; ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৬৩)।
🌱রাসূল (ﷺ) বলেছেন, আদম সন্তানের দেহে তিনশত ষাটটি হাড় বা জোড় বা গ্রন্থি রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির জন্য প্রত্যেক দিন ছাদাক্বা রয়েছে। প্রতিটি উত্তম কথাই ছাদাক্বা। এক ভাইয়ের পক্ষ হ’তে অন্য ভাইকে সাহায্য করা ছাদাক্বা। এক ঢোক পানি পান করানো ছাদাক্বা। পথ থেকে কষ্টদায়ক বস্ত্ত সরিয়ে দেওয়াও ছাদাক্বা’।”
(আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৪২২; ছহীহাহ হা/৫৭৬)।
🌱এছাড়া জনৈকা বেশ্যা নারী একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করালে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন।
(বুখারী হা/৩৪৬৭; মুসলিম হা/২২৪৫; মিশকাত হা/১৯০২)।