حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الْحُلْوَانِيُّ قَالَ: نا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ الْحُلْوَانِيُّ قَالَ: نا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ قَالَ: حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي خَثْعَمٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكْعَاتٍ، لَمْ يَتَكَلَّمْ بَيْنَهُنَّ بِشَيْءٍ، عُدِلْنَ لَهُ عِبَادَةَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً
-“হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলে করিম ( ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নামাজ পড়বে এবং এর মাঝে কোন প্রকার কথা বলবেনা, সে যেন ১২ বছরের সমপরিমাণ এবাদত করল।” ৪৬৪৬, ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৮১৯; তিরমিজি শরীফ, হাদিস নং ৪৩৫; মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদিস নং ৬০২২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১১৬৭; ইমাম বাগভী: শরহে সুন্নাহ, হাদিস নং ৮৯৬; ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ৮৬২; ইলালু মুতানাহিয়া ফি আহাদিসিল ওয়াহিয়া, হাদিস নং ৭৭৫;
এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম শরফুদ্দিন নববী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন,
ضعفه التِّرْمِذِيّ، وَغَيره. -“ইমাম তিরমিজি ও অন্যান্যরা ইহাকে দ্বায়িফ বলেছেন।” ৪৭৪৭, ইমাম নববী: খুলাছাতুল আহকাম, হাদিস নং ১৮৩৯;
আল্লামা মানাভী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেছেন: غَرِيب ضَعِيف -“গরীব ও দ্বায়িফ ।”৪৮৪৮, আল্লামা মানাভী: তাইছির বি’শরহে জামেইছ ছাগীর, ২য় খন্ড, ৪২৭ পৃ:;
এ বিষয়ে আরেকটি রেওয়ায়েত লক্ষ্য করুন,
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، ثَنَا صَالِحُ بْنُ قَطَنٍ الْبُخَارِيُّ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمَّارِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي قَالَ: رَأَيْتُ عَمَّارَ بْنَ يَاسِرٍ، صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ، فَقُلْتُ: يَا أَبَهْ، مَا هَذِهِ الصَّلَاةُ؟ قَالَ: رَأَيْتُ حَبِيبِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ، وَقَالَ: مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْ
-“আম্মার ইবনে ইয়াছার (رضي الله عنه) মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নামাজ পড়তেন। ফলে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, ওহে পিতা! এটা কোন নামাজ? তিনি বলেন, আমি আমার প্রিয় হাবীব রাসূল ( ﷺ) কে মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নফল নামাজ পড়তে দেখেছি এবং তিনি বলেছেন: যে মাগরীবের পরে ৬ রাকাত নামাজ পড়বে তার সকল গোনাহ্ মাফ করা হবে যদিও সাগর পরিমাণ হয়।” ৪৯৪৯, ইমাম তাবারানী: মুজামুল আওছাত, হাদিস নং ৭২৪৫; ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৯০০; ইমাম মুনজেরী: আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব, হাদিস নং ৮৬৪; ইলালু মুতানাহিয়া ফি আহাদিসিল ওয়াহিয়া, হাদিস নং ৭৭;
এই হাদিস সম্পর্কে হাফিজ ইরাকী ( رَحْمَةُ الله عليه) বলেন:
حَدِيث عمار ابْن يَاسر بِسَنَد ضَعِيف -“আম্মার ইবনে ইয়াছার (رضي الله عنه) এর হাদিস দ্বায়িফ সনদের।” ৫০৫০, হাফিজ ইরাকী: তাখরিজু আহাদিসুল এহইয়া, হাদিস নং ২;
একাধিক সূত্র থাকায় হাদিসটি হাছান লি’গাইরিহী এর স্তরে পৌছে যাবে। অতএব, এই হাদিস হাছান লি’গারিহী।