باب يكره للمصلى ان يعبث بثوبه اوبجسده
يكره للمصلى ان يعبث بثوبه او بجسده لقوله عليه السلام ان الله تعالٰى كره لكم ثلاثا – وذكر منها العبث فى الصلوٰة . ولان العبث خارج الصلوٰة حرام فما ظنك فى الصلوٰة .
ولايقلب الحصالانه نوع عبث الاان لايمكنه السجود فيسويه مرة واحدة لقوله عليه السلام مرة يا اباذر والاقذر- ولان فيه اصلاح صلوٰته ولايفرقع اصابعه لقوله عليه الصلوٰة والسلام لاتفرقع اصا بعك وانت تصلى – ولايتخصر وهو ضع اليد على الخاصرة لانه عليه الصلوٰة والسلام نهى عن الاختصار فى الصلوٰة ولان فيه ترك الوضع المسنون . ولا يلتفت لقوله عليه الصلوٰة والسلام لو علم المصلّٰى من يناجى ماالتفت – ولو نظر مؤخر عينيه يسرةً من غير ان يلوى عنقه لايكره لانه عليه الصلوٰة والسلام كان يلا حظه اصحابه فى صلوٰته يموق عينيه .
ولايقعى ولايفترش ذراعيه – لقوله ابى ذر رضى الله عنه نهانى خليلى صلى الله عليه وسلم عن ثلاث أن أنقر نقر الديك وان اقعى اقعاء الكلب وأن أفترش اِفتراش الثعلب والاقعاء ان يضع اليتيه على الارض – وينصب ركبتيه نصباهو الصحيح .
ولايرد السلام بلسانه لانه كلام ولابيده لانه سلام معنى حتى لوصافح بنية التسليم تفسد صلوٰته ولايتربع الامن عذر لان فيه ترك سنة القعود ولايعقص شعره وهو ان يجمع شعره على هامته – ويشده بخيط اوبصمغ ليتلبد فقدروىٰ انه عليه الصلوٰة والسلام نهى ان يصلّٰى الرجل وهو معقوص .
ولايكف ثوبه – لانه نوع تجبرولايسدل ثوبه – لانه عليه الصلوٰة والسلام نهى عن السدل وهو ان يجعل ثوبه على راسه وكتفيه – ثم يرسل اطرافه من جوانبه .
ولا يأكل ولايشرب لانه ليس من اعمال الصلوٰة- فان اكل وشرب عامدا اونا سيًا فسدت صلوٰته – لانه عمل كثر وحالة الصلوٰة مذكرة ولابأس بان يكون مقام الامام فى المسجد وسجوده فى الطاق – ويكره ان يقوم فى الطاق لانه يشبه صنع اهل الكتاب من حيث تخصيص الامام بالمكان بخلاف ما اذا كان سجوده فى الطاق .
ويكره ان يكون الامام وحده على الدكان – وكذا على القلب فى ظاهر الرواية لانه ازدراء بالامام.
ولابأس بان يصلى الى ظهر رجل قاعد يتحدث لان ابن عمر رضى الله عنهما ربما كان يستتربنافع فى بعض اسفاره .
ولابأس بان يصلى وبين يديه مصحف معلق اوسيف معلق لانهما لايعبد ان وباعتباره تثبت الكراهة .
ولابأس بان يصلّٰى على بساط فيه تصاوير لان فيه استهانة بالصور ولايسجد على التصاوير – لانه يشبه عبادة الصورة واطلق الكراهة فى الاصل لان المصلى معظم .
ويكره ان يكون فوق راسه فى السقف اوبين يديه او بحذائه تصاوير اوصورة معلقة لحديث جبريل انا لاندخل بيتافيه كلب اوصورة – ولو كانت الصورة صغيرة بحيث لاتبدوللنا ظرلايكره لان الصغر جدًا لاتعبد- واذا كان التمثال مقطوع الراس اى ممحو الراس فليس بتمثال لانه لايعبد بدون الراس وصار كما اذا صلى الى شمع اوسراج على ماقالوا .
ولو كانت الصورة على وسادة ملقاة – او على بساط مفروش لايكره لانها تداس وتوطا بخلاف مااذا كانت الوسادة منصوبة او كانت على السترة لانه تعظيم لها واشدها كراهة ان تكون امام المصلى ثم من فوق راسه ثم على يمينه ثم على شماله ثم خلفه- ولو لبس ثوبافيه تصاوير يكره لانه يشبه حامل الصنم – والصلوٰة جائزة فى جميع ذلك لاستجماع شرائطها وتعاد على وجه غير مكروه – وهذا الحكم فى كل صلوٰة اديت مع الكراهة ولايكره تمثال غير ذى الروح لانه لايعبد. ولابأس بقتل الحية والعقرب فى الصلوٰة – لقوله عليه الصلوٰة والسلام اقتلوا الاسودين ولو كنتم فى الصلوٰة – ولان فيه ازالة الشغل فاشبه درء المارويستوى جميع انواع الحيات هو الصحيح لاطلاق ماروينا.
ويكره عدُّ الآى والتسبيحات باليد فى الصلوٰة وكذلك عدُّ السور لان ذلك ليس من اعمال الصلوٰة وعن ابى يوسف ومحمد رحمهما الله انه لابأس بذلك فى الفرائض والنوافل جميعا مراعاة لسنة القراءة والعمل بماجاءت به السنة .
قلنا يمكنه ان يعد ذلك قبل الشروع فيستغنى عن العد بعده :
মুসল্লী জন্যে স্বীয় কাপড় বা স্বীয় শরীরের কোন অঙ্গ নিয়ে খেলা করা মাকরূহ। কেননা হুযুর (ﷺ) এর বাণী, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমারেদ জন্যে তিনটি বিষয় অপছন্দ করেন। তন্মধ্যে নামাযে কাপড় নিয়ে খেলা করাকেও উলেখ করেছেন। কেননা অনর্থক কাজ নামাযের বাহিরে হারাম। তাহলে নামাযে সে সম্পর্কে তোমার ধারণা কি? পাথর সরাবে না কারণ ইহাও এক প্রকার অযথা কাজ। তবে সরানো ব্যতীত সিজদা করা সম্ভব না হলে একবার সরানো যাবে।
কেননা হুযুর (ﷺ) হযরত আবু জর (رضي الله عنه)কে বলেছেন, ‘‘হে আবু জর একবার সরাও। বারবার সরানো দোষণীয়। এতে স্বীয় নামাযের সংশোধনীও বিদ্যমান। আঙ্গুল ফুটাবে না। কেননা নবী করিম (ﷺ) এর বাণী, তুমি নামাযরত অবস্থায় হাতের আঙ্গুল ফুটায়ো না কোমরে হাত রাখবে না। কেননা হুযুর (ﷺ) নামাযে কোমরে হাত রাখাত থেকে নিষেধ করেছেন। এতে সুন্নাত মোতাবেক রাখা বর্জিত হয়। চেহারা এদিক সেদিক ফিরাবে না। কেননা হুযুর আকরম (ﷺ) বলেন, মুস্লী কার সাথে কানাকানি করতেে ইহা জানলে এদিক সেদিক ফিরত না। ঘাঢ় ফিরানো ব্যতীত কোণা চোখে দুখলে মাকরূহ হবে না। কেননা হুযুর (ﷺ) নামাযে সাহাবীদের অবস্থা কোণা চোখে অবলোকন করতেন। উভয় নিতম্ব জমিনে রেখে হাঁটুদ্বয় দাঁড় করিয়ে বসবে না এবং উভয় হাত বিছায়ে রাখবে না।
কেননা নবী করিম (ﷺ) হযরত আবু জর (رضي الله عنه)কে সম্বোধন করে বলেন, আবু জর (رضي الله عنه) বলেন, আমার বন্ধু হুযুর (ﷺ) আমাকে তিন বিষয়ে নিষেধ করেছেন- মোরগের ন্যায় টোকরাতে, কুকুরের ন্যায় বসতে ও শৃগালের ন্যায় হাত বিছায়ে বসতে। ইকয়া হল- নিতম্বদ্বয় জমিনে রেখে হাঁটুদ্বয় খাড়া করে বসা। ইহাই বিশুদ্ধ অর্থ। মৌখিক সালামের জওয়াব দিবে না। কেননা ইহা কালাম (কথা)। হাতে ও দিবে না। কেননা ইহা অর্থগত দিক দিয়ে সালাম। এমনকি সালামের নিয়্যতে করমর্দন করলেও নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। ওজর ব্যতীত চারজানু হয়ে বসবে না। কেননা এতে সুন্নাত অনুযায়ী বসা বর্জিত হয়। মাথার চুল ফিতা দ্বারা বাঁধবে না। আকচ হল- মাথার তালুর ওপর চুল ফিতা দ্বারা বা মাড় জাতীয় বস্তু দ্বারা চুল জড়ো করে ভাঁজ করে রাখা। কেননা হুযুর (ﷺ) মাথার তালুর ওপর ঝুঁটি বেঁধে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন।
কাপড় গোছায়ে রাখবে না। কেননা ইহা এক প্রকারের অহংকারী। কাপড় ঝুলায়ে পরিধান করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কাপড় ঝুলায়ে পরিধান করতে নিষেধ করেছেন। ছদল বলা হয়- কাপড় মাথার উভয় কাঁধের দিকে ঝুলায়ে রাখা। খাবে না ও পান করবে না। কেননা এগুলো নামাযের কার্যাবলী নয়। ইচ্ছা করে বা ভুল করে আহার ও পান করলে নামায ভঙ্গ হয়ে যাবে। কেননা এগুলো আমলে কছীর। নামাযের অবস্থা হল আল্লাহ তায়ালার স্মরণের অবস্থা। ইমাম মসজিদে দাঁড়িয়ে তাকের ওপর সিজদা করলে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু তাকে (মিহরাব) দাঁড়ানো মাকরূহ। কেননা ইহা কিতাবীদের সাদৃশ্য তারা ইমামের স্থান পৃথক করে রাখে। ইহা শুধু তাকের ওপর সিজদা করার বিপরীত। ইমাম একাকী দোকানে দাঁড়ানো মাকরূহ। অনুরূপ মুক্তাদিরা ইমাম ব্যতীত জাহেরী রেওয়ায়ত মোতাবেক দোকানে দাঁড়ানো মাকরূহ। কেননা এতে ইমামের বিপরীত করা হচ্ছে। উপবিষ্ট আলোচনারত লোকের পিছনে কোন দোষ নেই।
কেননা ইবনে ওমর (رضي الله عنه) অনেক সময় সফর অবস্থায় কোন উপকারার্থে পর্দা করে থাকতেন। ঝুলানো কিতাব বা তলোয়োরের সামনে নামায পড়তে কোন দোষ নেই। কেননা এগুলোর ইবাদত করা হয় না, যার কারণে মাকরূহ প্রমাণিত হয়। ফটো সম্বলিত বিছানায় নামায পড়তে কোন দোষ নেই। কারণ এতে ফটোর সম্মান হয় না বরং অপমান হয়। তবে ফটোর ওপর সিজদা করতে নেই। কারণ ইহা দৃশ্যের ইবাদতের ন্যায় দেখায়। মূলত মাকরূহ হওয়ার কারণ হল- নামাযী নামাযরত অবস্থায় মহিমান্বিত; তাই তার পক্ষে কারো প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার সাদৃশ্য হওয়াটাও মাকরূহ। মাথার ওপর ছাদে বা সামনে বা বরাবর ডানে-বামে বা ফটো ঝুলানো থাকলে হাদীসে জিব্রাইলের মর্মানুসারে মাকরূহ হবে। অবশ্যই আমরা ফেরেশতারা যে ঘরে কুকুর বা মূর্তি থাকে সে ঘরে প্রবেশ করি না। অতীত ছোট আকৃতির অদৃশ্য ছবি হলে মাকরূহ হবে না কেননা এ ধরণের ছবির পূজা করা যায় না। মাথাবিহীন মূর্তি মূর্তি হিসাবে গণ্য নয়। কেননা এ মূর্তির পূজা করা যায় না। তাই তা হবে যেমন কোন লাইট বা চেরাগের সামনে নামায পড়ার ন্যায়। এভাবে বিশেষজ্ঞ বর্ণনা করেছেন। ছবি বালিশ কিংবা বিছানায় থাকলে মাকরূহ হবে না। কেননা সেগুলোকে পদদলিত করে এর ওপর চলাচল করে। তবে বালিশ খাড়া অবস্থায় বা পর্দায় দাঁড় করানো অবস্থায় থাকে কেননা এতে উহার সম্মান বুঝা যায়; এ অবস্থায় নামাজীর সামনে থাকার দরুণ কঠোরতর মাকরূহ হবে। অত:পর পর্যায়ক্রমে উপরে, ডানে, বামে ও পিছনে থাকলে নিম্ন থেকে নিম্নতর মাকরুহ হবে। ছবি সম্বলিত কাপড় পরিধান বরলে মাকরূহ হবে। কেননা ইহা মূর্তি বহনকারীর সাদৃশ্য হয়। উলেখিত সকল অবস্থায় নামাযের শর্তাবলী বিদ্যমান থাকার কারণে নামায বৈধ হবে।
এ হুকুম সে সকল নামাযের যা মাকরূহের সাথে আদায় করা হয় মাকরূহের সাথে জাযেয। প্রাণহীন মূর্তি মাকরূহ হবে না। কেননা এগুলোকে পূজা করা যায না। সর্প, বিচ্ছু নামাযরত অবস্থায় হত্যা করতে কোন দোষ নেই। কেননা নবী করিম (ﷺ) এরশাদ করেন, তোমরা দু’ধরণের কালসাপকে হত্যা কর যদিও নামাযে থাক না কেন। কেননা এতে ব্যস্ততা দূরীভূত করা গতিরোধ করার ন্যায় হল। বর্ণিত হাদীসের ব্যাপকতার দরুণ এতে সকল প্রকারের সাপ অন্তর্ভূক্ত। ইহাই বিশুদ্ধ মত। নামাযে হাতে আয়াত ও তাসবীহ গণনা করা মাকরূহ। অনুরূপ সূরা গণনা করাও মাকরূহ। কেননা উহা নামাযের কার্যাবলীর অন্তর্ভূক্ত নয়। হযরত আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ (رحمة الله) বলেন, সুন্নাত মোতাবেক কেরাত পাঠ ও সুন্নাত অনুযায়ী আমল করার লক্ষ্যে ফরয, নফল সকল প্রকারের নামাযে এতে কোন দোষ নেই। আমরা বলব নামায আরম্ভ করার পূর্বে গণে নেয়া যেতে পারে যাতে আরম্ভ করার পর গণনা করার প্রয়োজন না হয়।