এক মহিলা তার স্বামীর সাথে কোন ভাবেই আর সংসার করা সম্ভব নয় ভেবে তালাক চাইল, কিন্তু স্বামী বেচারা তা প্রত্যাখান করল, অবশেষে মহিলা গ্রামের সরদারের নিকটে গিয়ে সবকিছু খুলে বলল,সরদার তাকে অনেক বুঝালেন , কিন্তু কোন লাভ হলো না,সে তার দৃঢ় সংকল্পে অটল থাকল।
অবশেষে সরদার তাকে বললেন ,আমি তোমার স্বামী কে যেভাবেই হোক তালাক দিতে অনুরোধ জানাতে পারি এই শর্তে যে তুমি আমাকে একদিন তোমার হাতে তৈরি করা সুস্বাদু খাবার খাওয়াবে আর এই খাবারের উপকরণ সংগ্রহ করবে গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে, তোমাদের বাড়ি থেকে এক চিমটি লবণ ও নিবে না।
মহিলা সম্মতি জানিয়ে চলে গেল, অতঃপর যে বাড়িতে ই ঢুকে সে বাড়ীর গৃহিণী তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে,ফলে ঘটনার আদ্যান্ত বলতে ই হয়। তখন সেই গৃহিণীও তার স্বামীর দোষ ত্রুটি আলোচনা করে, এভাবে যেখানে ই যায়,সব বাড়ির গৃহিণীর মুখে নিজ নিজ স্বামীর দুর্নাম শুনে চলে আসতে হয়, সরদার সাহেবকে এক সন্ধ্যা খাওয়ানোর উপকরণ সংগ্রহ আর হলো না, প্রত্যেকের স্বামীর দোষ ত্রুটি শুনে মহিলা মনে মনে ভাবল, আমার স্বামী তো তূলনা মূলক অনেকটাই ভাল ,অযথা তালাক চেয়ে লাভ কি ?
অবশেষে সেই মহিলা সরদারের নিকটে গিয়ে জানাল সরদার সাহেব! আমি বরং আমার স্বামীর সাথে ই জীবন যাপন করি, গ্রামের প্রায় সব স্বামীদের তুলনায় আমার স্বামী অনেক ভালো।
সরদার তাকে বললেন,মা! আমি তোমার কাছ থেকে সুস্বাদু খাবার খেতে চাওয়ার অর্থ ছিল অধিকাংশ বাড়ির গৃহিণীর দৃষ্টিতে তাদের স্বামীরা খারাপ একথা উপলব্ধি করা।
কোন স্বামী বা কোন স্ত্রীই সব গুণে গুনান্বিতা নয়।
আমরা কেউ ই ফিরিশতা নই।
আমরা আদর্শ মানুষ তাই আমাদের সংসার টিকে আছে, একথাও শতভাগ সত্য নয়, বরং মানুষের সাথে মানুষের বসবাস করতে হয়,তাই আমরা মিলে মিশে থাকি, থাকতে হয়।
অতি প্রাকৃতিক জীবন যাত্রা যা আমরা নাটকে ও সিনেমার অভিনয়ে দেখে থাকি বাস্তব জীবনে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের জীবন সঙ্গিনীরা রূপ কথার অভিনয় গুলো যত কম দেখবেন সংসার সুখী হবে।