প্রতি বছরের ন্যায় এবারো মদিনা মুনাওয়ারায় শুরু হয়েছে প্রাচীন ও বৃহৎ কুরআনুল কারিমের দুর্লভ কপিসমূহের প্রদর্শণী। যা প্রত্যেক বছর হজের মৌসুমে শুরু হয়ে থাকে। কারণ সারা বিশ্ব থেকেই মুসলিম উম্মাহ হজ উপলক্ষে মক্কার পাশাপাশি মদিনায় জিয়ারতে যান।
মদিনা মুনাওয়ারা মুসলিম উম্মাহর আবেগ-অনুভূতির সর্বোচ্চ স্থান। যেখানে শুয়ে আছে বিশ্ব মানবতার মুক্তির কাণ্ডারি রাহমাতুললিল আলামিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাছাড়া মদিনায় রয়েছে বিশ্বনবির স্মৃতি বিজড়িত অসংখ্য স্থাপনা। যা দেখে আশেকে রাসুলগণ নয়ন জুড়িয়ে থাকেন।
সামায়া হোল্ডিং কোম্পানির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে কুরআনের ঐতিহাসিক প্রদর্শনী। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য কুরআনের পুরাতন ও দুর্লভ পাণ্ডুলিপি পরির্দশনের সুবিধার্থে মদিনায় মসজিদে নববির আঙিনায় এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
মসজিদে নববির ৫ নং গেট সংলগ্ন এ প্রদর্শনীতে থাকছে- অনেক পুরনো, বৃহৎ আকারে লিখিত কুরআনের কারিমের কপিসমূহ। যা হরিণের চামড়ায় লিখিত।
প্রদর্শনীর আঙিনা সাজানো হয়েছে- কুরআনের পরিচিতি, কুরআনকে একত্রিত করার ইতিহাস সম্বলিত স্বচিত্র প্রদর্শনী এবং কুরআনের প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপির সংরক্ষণাগার স্টলের মাধ্যমে। এ সব পাণ্ডুলিপি লিখিত হয়েছে হরিণের চামড়ার ওপর, স্বর্ণের ওপর; আরো রয়েছে হাজর বছর পূর্বে হস্তলিপিতে লিখিত কুরআন এবং মাত্র ষাট পৃষ্ঠায় লিখিত সম্পূর্ণ কুরআনের কপি।
তাছাড়া প্রদর্শনীতে রয়েছে স্বর্ণ কালিতে লিখিত কুরআন; হজরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু’র লিখিত মুসহাফের ফটোকপি। কুরআনের প্রভাবে মানুষের জীবনের পরিবর্তন সম্পর্কিত ডকুমেন্টারিও রয়েছে এ প্রদর্শনীতে।
বাদশা ফাহাদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কুরআন প্রিন্টিং কমপ্লেক্সর পরিচিতমূলক স্টলও রয়েছে প্রদর্শনীতে। যারা কুরআনের কুপ ক্রয় করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য রয়েছে বিক্রয় কেন্দ্র।
এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত হজ পালনকারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সর্বোপরি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত আগত হাজিদের সেবাদানে এখানে বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষায় সেবা প্রদান করা হয়।
আল্লাহ তাআলা হজে গমনকারী, প্রদর্শণীর আয়োজনকারী এবং সেবাদানকারীদের মেহনতকে কবুল করুন। আমিন।