মক্কা-মদীনা শরিফে ঈদে মিলাদুন্নাবী উদযাপন!

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

প্রখ্যাত মুহাদ্দীস ইবন জোজী (রঃ)> “সর্বদা মক্কা-মদিনা, মিসর, ইয়ামেন, সিরিয়া এবং আরবের পূর্ব-পশ্চিমের সকলেই মীলাদুন্নাবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) অনুষ্ঠান করে থাকেন। রবিউল আউয়াল মাসের নব চন্দ্রের আগমনে আনন্দোৎসব করেন এবং সকলেই এ সমস্ত অনুষ্ঠানাদি দ্বারা মহান পুরষ্কার ও সফলতা লাভ করেন” [বিয়ান আল মীলাদুন্নাবী, পৃঃ ৫৮]

প্রখ্যাত মুহাদ্দীস আল-নাক্কাস (র) {২৬৬-৩৫১ হি}ঃ “নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্মস্থান এমন একটি স্থান যেখানে দোয়া কবুল হয়।” [শিফা আল-গারাম, ১-১৯৯]

৩য় শতাব্দীতে আল-আজরাকী (র) বর্ণনা করেন, তৎকালীন ইসলামী মনিষীগণ যে ঘরে নবী

(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) জন্মগ্রহণ করেন সেখানে বিশেষ ফজিলতের আশায় সালাত ও সালাম পাঠ করা মুস্তাহাব বলে মত দিয়েছেন। (আখবার মক্কা ২-১৬০) 

ইবনে জুবাইর (৫৪০-৬৪০ হি)ঃ “নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) যে ঘরে জন্ম লাভ করেন, সে ঘরে সর্বতো ভাবেই রবিউল আউয়াল মাসের প্রতি সোমবার মীলাদ শরীফ অনুষ্ঠিত হত।” [কিতাব আল-রিহাল, পৃষ্ঠা নং-১১৪-১১৫] 

৭ম শতাব্দীর বিখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা তাঁর রিহলায় উল্লেখ করেন, প্রতি শুক্রবার জুমার পরে এবং নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর জন্মদিনে বনু শায়বার প্রধান ক্বাবা ঘরের দরজা খুলে দিতেন। নবী

 (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর বিলাদাত উপলক্ষ্যে মক্কার প্রধান কাজী নাজমুদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে ইমাম মহিউদ্দীন আল-তাবারী নবী (সা) এর বংশধর এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষের মাঝে খাবার ও তবারক বিতরণ করতেন। {রিহলা, খণ্ড ১, পৃ ৩০৯ ও ৩৪৭}

শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীস দেহলভী (রঃ) নিজেও মক্কা নগরীতে ঈদে মীলাদুন্নাবী পালন করেছিলেন যা তাঁর লেখনীতেই পাওয়া যায়।“আমি এর পূর্বে মক্কায় বেলাদত শরীফের বরকতময় ঘরে উপস্থিত ছিলাম। আর সেখানে লোকজন সমবেত হয়ে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )-এর উপর একত্রে দরুদ শরীফ পাঠ করছিলেন। হুযুর (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর শুভাগমনের সময় সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলী ও তার নবুয়ত প্রকাশের পূর্বে সংঘটিত ঘটনাবলী আলোচনা করছিলেন। তারপর আমি সেখানে এক মিশ্র নূরের ঝলক প্রত্যক্ষ করলাম। আমি বলতে পারিনা এ নূরগুলো আমি চর্মচক্ষে দেখেছিলাম না এগুলো কেবল মাত্র অন্তর চক্ষুতে দেখেছিলাম। এ দুটোর মধ্যে প্রকৃত ব্যাপার কি ছিল, তা আল্লাহ পাকই ভাল জানেন। অতঃপর আমি গভীরভাবে চিন্তা করলাম এবং উপলব্ধি করতে পারলাম যে, এই নূর বা জ্যোতি ঐ সব ফিরিশতার, যারা এ ধরণের মজলিস ও উল্লেখযোগ্য (ধর্মীয়) স্থানসমূহে (জ্যোতি বিকিরণের জন্য) নিয়োজিত থাকেন। আমার অভিমত হল সেখানে ফিরিশতাদের নূর ও রহমতের নূরের সংমিশ্রণ ঘটেছে”। [ফয়ূযুল হারামাইন (আরবী-উর্দু), পৃষ্ঠা নং- ৮০-৮১]
(ডঃ আব্দুল বাতেন মিয়াজী) 

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment