প্রচলিত তরুণ-তরুণীদের— ‘রিলেশনশিপ’। যেটাকে আমাদের প্রজন্ম ভালোবাসা নাম দিয়েছে! আসলেই কি সেটা ভালোবাসা? নাকি অন্য কিছু?
আপনি কেন একটা রিলেশনশিপে জড়াতে চান? কারণ— আপনার টাইমপাস করার একজন মানুষ লাগবে। নিজের একাকিত্ব দূর করতে, সারাদিনের কথা শেয়ার করার একজন মানুষ লাগবে। অথবা আল্লাহ না করুন! আপনার কামনা পূরণের জন্য একজন মানুষ লাগবে! ভেবে দেখুন তো— এটা কি আপনার ভালোবাসা? নাকি আপনার চাহিদা?
ভালোবাসা তো হবে এমন, যেখানে কোনো চাহিদা পূরণ হওয়া শর্ত নয়। তাই আপনি যেটাকে ‘লাভ’ নাম দিয়েছেন, সেটা আসলে ‘লাভ’ নয়। সেটা আপনার প্রয়োজন— এর পূরণ মাত্র। আপনার প্রয়োজনগুলো পূরণের একজন মানুষ লাগবে, আর আপনি সেটাতে জড়িয়ে পরলেন। একটা মেয়ে তার সব সম্মান, মর্যাদা কে বিসর্জন দিয়ে, আল্লাহকে নারাজ করে লেগে পরল আপনার প্রয়োজন পূরণে। ভাবুন— যদি এটা আপনার বোনের সাথে হয়? তখন কি বিষয়টাকে এত সহজে নিবেন? না! ভাই আমার। আপনিও যাকে নিয়ে খেলা করছেন, সেও একটা ভাইয়ের কলিজার টুকরো বোন। একজন বাবার চোখের শীতলতা।
মনে রাখবেন, যে ভালোবাসা আল্লাহ থেকে আপনাকে দূরে সরিয়ে দেয়, সেটা খুব শীঘ্রই আপনার জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে। আপনার হৃদয়ের প্রশান্তি কেঁড়ে নিবে। অস্থির করে দিবে। ‘সাময়িক’ সুখগুলো— নিমিষেই ভুলিয়ে দিয়ে চলে যাবে।
আপনি যদি সত্যিই কাউকে ভালোবাসেন, তাহলে তাকে পেতে চাইবেন হালাল উপায়ে। তাকে এমন কাজ করতে বাধ্য করবেন না, যেটা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে পারে। তাকে— ব্যবহার করবেন না আপনার খায়েস পূরণে। এটাই ভালোবাসা। ইসলাম ভালোবাসা থেকে নিষেধ করে না। বরং ইসলাম এসেছে ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে। ইসলাম নিষেধ করে— এটাকে ঘিরে ধ্বংসাত্মক মূলক কাজকে। তাই নিজের যৌবনকে সংযত রাখুন। রব এমন নিয়ামত দান করবেন, যে আপনি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। ‘সূরা ফুরকান’— এর ৭৪ নং আয়াতটা পড়ে রবের কাছে দোয়া করুন।
তাঁর কাছে কোনো কিছুর অভাব নেই। মনে রাখবেন, রবের সন্তুষ্টি মূলক কাজেই প্রকৃত প্রশান্তি নিহিত।