ভন্ড বাবাদেরকে চিনুন!

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

জ্বীন ডাকতে পারলে আর ইত্যাদি জাদু দেখাতে পারলেই সে পীর হয়ে যায় না।বাবা!বাবা! অনেক ওপরে পৌছে গিয়েছেন।আরে ভাই কোথায় পৌঁছে গেছে?তোমাকেও সে কোথাও পৌঁছে দেবে।

এরা বসে বসে হি!হি! আওয়াজ করে মানুষকে কামেলগিরি দেখাতে চায়।আরে তোর বাঁচার যদি ইচ্ছা থাকে তো কোনো পরিচয় তৈরী কর।তোর এটাও কি জানা নেই কাধের নিচ পর্যন্ত চুল লম্বা করা সুন্নাত পরিপন্থী,হারাম?ধাতু,হাতে কড়ি এসব পড়া পুরুষদের জন্য হারাম নাজায়েজ তোর সেটা জানা নেই?তোর কি এটা জানা নেই যে নামাজ ফরজ?

নামাজের কথা জিজ্ঞেস করলে বলে,”বাবা ফজর পড়ে বাগদাদ শরীফে,যোহর পড়ে আজমীরে,আছর পড়ে মক্কায়,মাগরিব পড়ে মদীনা ইত্যাদি।” তো ভাই নামাজ যদি এ এত জায়গায় গিয়ে পড়ে?তো খায় কোথায়?তখন ওরা বলে,”খায় তো এখানেই।”আরে ভাই এখানে খাবে কেন?বল না খাওয়াটাও অন্য কোনো দেশে খেয়ে আসুক।পুরুষ-মহিলা একসাথে নিয়ে এদের কার্যকলাপ।

আরে এসব সাধারণ বিষয় গুলে এই ভন্ড বাবাদের ভক্তদের বুঝে আসে না।বলে বাবা অনেক ওপরে পৌছে গেছ।আরে তোর বাবা তো শয়তান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।তোর বাবা তো শরীয়তের খেলাপ চলছে।তো যে শরীয়তের পরিপন্থী কাজ করে সে নেক কিভাবে হতে পারে।

নেক তো সে যে সুন্নত অনুযায়ী আমল করে।রাহনুমা তো সে যে শরীয়ত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে।মনে রাখবেন,এসব ভন্ডদের সাথে ইসলামের/সুন্নিয়তের/হক্কানী মাশায়েখ দের কোনো সম্পর্ক নেই।দয়া করে এসব ভন্ডদের সাথে সুন্নিয়তকে এবং হক্কানি পীর-মাশায়েখদেরকে এক করে দিবেন না।

আল্লাহ বুঝার তৌফিক দান করুন।আমিন।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment