মাধবপুর থেকে হবিগঞ্জ যাচ্ছি। ইফতারের পর পরই রওনা হলাম। পথিমধ্যে নোয়াপাড়া রেল-স্টেশনে বাইক থামিয়ে ভাইকে নিয়ে চা খেতে গেলাম।
কাছাকাছি যেতেই চোখ আটকালো এক গোল জমায়েত এর ওপর। দেখছি এক লোক সম্পূর্ণ উলঙ্গ শরীরে বসে আছে। নগ্ন অপরিচ্ছন্ন দেহ। চুল গুলোও বেশ লম্বা নোংরা। দেখে এই বছরের মধ্যে গোসল করেছে বলে মনে হচ্ছে না। তবে চারপাশে কয়েকজন মহিলা ঘিরে বসে আছে। কেউ আবার হাত-পা টিপে খেদমত করছে।
চা খেয়ে একটু আশেপাশে হাটাহাটি করলাম আমি। তাদেরকে ফলো করছিলাম। দেখলাম একজন তার জন্য চা আর দুটি কেক নিয়ে আসল। তাদের বাবা নাকি চা খাবে। সবচেয়ে আশ্চর্যকর ও হাস্যকর বিষয়টা ছিল, কেউ একজন দূর থেকে বসে তাদের দিকে তাকিয়ে হাসছিল। হঠাৎ এক মহিলা বলে ওঠল, ‘হাসছ কেন? আল্লাহর ওলীরে দেখলে হাসি আয়?’
নাউজুবিল্লাহ! মানুষ আজ কাদেরকে আল্লাহর ওলী বলে মানছে! যার মধ্যে পরিচ্ছন্নতা নেই, লেবাস নেই, নামাজ নেই অর্থাৎ এক কথায় শরীয়তের ধারে-কাছেও নেই সে নাকি আল্লাহর ওলী? আস্তাগফিরুল্লাহ। শরীয়ত নাই যার কাছে সে আবার কিসের মারেফাতের সন্ধান পাবে?
কথায় আছে না ‘আগার জি না হে তো কুচ পেহচান পেয়দা কার’
এই ভন্ডদের জন্য আজ কিছু অবুঝ লোক পীর-মুরিদ বলতেই এসব ভন্ডামি বুঝে। এসব ভন্ডদেরকে তো অবশ্যই বয়কট করতে হবে সাথে সাথে এদের ব্যপারে মানুষের মাঝে সচেতনতাও সৃষ্টি করতে হবে। এদের সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নাই।
আর আরেকটি কথা যেসব অবুঝ ভাই এসব ভন্ডামিকে আহলুস সুন্নাহর সাথে এনে এক করে দেন তাদেরকে বলব আল্লাহর দোহাই লাগে সুফিজমের সাথে এসব ভন্ডদের মিলাবেন না। সুফিবাদ সম্পর্কে জানুন, পড়ুন। বুঝতে পারবেন সুফিবাদী ইসলামই আসল ইসলাম। ইনশাআল্লাহ।