বিষ্ময়কর আল কুরআন: লোহার সৃষ্টি রহস্য

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

বিষ্ময়কর কুরআন (লোহার সৃষ্টি)

আর আমি লোহা অবতীর্ণ করেছি; যাতে রয়েছে প্রচন্ড শক্তি ও রয়েছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ।

[সূরা আল হাদিদ, সূরা নং:-৫৭, আয়াত:-২৫]

লোহা “অবতীর্ণ” করেছেন

এই অংশটিতে আরবি ‘‘আনঝালা’’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ প্রেরণ করা বা আকাশ থেকে অবতীর্ণ করা। বিশেষত আকাশ থেকে বা পৃথিবীর বাইরে থেকে প্রেরণ করা অর্থে আরবি আনঝালা শব্দটি ব্যবহার করা হয়। তার মানে লোহা পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়নি এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে।

সুতরাং লোহা “অবতীর্ণ” করেছেন—তার মানে কোরআনের আক্ষরিক অর্থের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব যে, আধুনিক বিজ্ঞানের উদ্ভাবনী ও ঠিক একথাটাই বলছে।” অবতীর্ণ করা”—এর আক্ষরিক অর্থ হলো—পৃথিবীর বাইরে থেকে কিছু পৃথিবীতে পাঠানো। যেমন কোরআন নাযিল/ অবতীর্ণ করা।

এ সূরার আরেকটি অংকগত মোজেযাও রয়েছে-

ক্রমিক নং অনুযায়ী “সুরা আল হাদীদ” কোরআনের ৫৭ তম সূরা। আরবিতে সুরা “আল হাদীদ” এর সংখ্যাগত মান হচ্ছে ৫৭, লোহার পারমাণবিক ওজন ৫৭। শুধু “হাদীদ” শব্দের অংকগত মান হচ্ছে ২৬, আর লোহার আণবিক সংখ্যামানও হচ্ছে ২৬। (সুবহানআল্লাহ)

পদার্থ বিজ্ঞানীরা বলেন,

লোহা উৎপাদনের জন্য যে ১৫ লক্ষ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন তার কোন উপকরণ আমাদের পৃথিবীতে নেই। এটা একমাত্র সূর্যের তাপমাত্রা দ্বারাই সম্ভব। হাজার হাজার বছর আগে সূর্য থেকে প্রচন্ড বিস্ফোরণের ফলে লোহা নামের এ ধাতু মহাশূন্যে ছিটকে পড়ে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে তা পৃথিবীতে নাযিল হয়।”

World Summit on Scientific Miracles of the Quran” এ নাসা(NASA) এর বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ডা: স্ট্রচ (Stranch) বলেন, আমরা অনেকবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি যে, লোহার শক্তিটা মৌলিক এবং ইলেকট্রন ও নিউট্রন লোহাতে যেভাবে বিন্যস্ত আছে তা তৈরি হতে প্রায় সৌরশক্তির ৪ গুণ শক্তি প্রয়োজন।

সুতরাং লোহা কখনোই পৃথিবীতে মজুদ ছিলো না এবং অবশ্যই তা বাইরে থেকে পৃথিবীতে এসে পড়েছে। লোহা সম্পর্কে বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত তথ্য ঠিক একথাটাই প্রমাণ করেছে।

🌿গ্রহ- ডব্লিওএএসপি-৭৬বিঃ☘️

দিনের বেলায় গড় তাপমাত্রা ২ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি! এমন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে লোহা।

বিজ্ঞান সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছে গ্রহটি নিয়ে একটি গবেষণাপত্র। পৃথিবী থেকে ৬৪০ আলোকবর্ষ দূরের এই গ্রহের নাম দেয়া হয়েছে ডব্লিওএএসপি-৭৬বি।

গ্রহটিতে তাপমাত্রা বেশি থাকায় লোহাসহ যাবতীয় ধাতু গলে গিয়ে বাষ্পে পরিণত হয়। তবে বাতাসের দাপটে বাষ্পে পরিণত হওয়া ধাতু উড়ে যায়। ফলে রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যায়।

জেনিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড আরেনরাইখ জানিয়েছেন, এই গ্রহে বিকেলে লোহা-বৃষ্টি হয়। যে নক্ষত্রের আলোয় গ্রহটি আলোকিত হয়, সেটার দিকে গ্রহটির একটি দিকই সবসময় থাকে। অন্য দিকটি সবসময়ই অন্ধকার হয়ে থাকে। শীতল অংশের তাপমাত্রা থাকে এক হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নক্ষত্রটিকে প্রদক্ষিণ করতে ৪৩ ঘণ্টা সময় নেয় এই গ্রহ। সূর্য থেকে পৃথিবীতে যে তেজষ্ক্রিয় বিকিরণ আসে, নক্ষত্রটি থেকে ডব্লিওএএসপি-৭৬বি-তে তার হাজারগুণ বেশি বিকিরণ হয়।

🌿☘️=>কোন পদার্থকে তার গঠন উপাদান সমূহ থেকে তৈরি করতে হলে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপের পরিবর্তন করতে হবে। অন্যথায় পদার্থটি উৎপন্ন হবে না। যেমন, মাত্র ১ মোল কার্বনডাইঅক্সাইড তৈরি করতে হলে ন্যূনতম ৩৯৩.৫ কিলোজুল। লোহার ক্ষেত্রে এটি এতই বেশি যে পৃথিবী তো দুরের কথা খুদ সৌরজগতের কোন স্থানে লোহার একটি অণুও সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়।

অণুর গঠণ প্রসঙ্গে প্রফেসর আর্মস্ট্রংক বলেন-লোহার একটি অণু তৈরি করতে সৌরজগতের মোট শক্তির চারগুণ শক্তি প্রয়োজন। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, লোহা পৃথিবীতে সৃষ্ট কোন পদার্থ নয়, লোহা এসেছে পৃথিবীর বাইরে থেকে (extra terrestrial metal)। প্রমানিত

According to the researchers, including those from the University of Geneva in Switzerland, the giant exoplanet WASP-76b is at a distance that would take even light 640 years to reach the Earth, and has a day side where temperatures climb above 2400 degrees Celsius — high enough to vaporise metals. The study, published in the journal Nature, noted that strong winds carry iron vapour to the cooler night side where it may be condensing into iron droplets.

“One could say that this planet gets rainy in the evening, except it rains iron,” said study co-author David Ehrenreich, a professor at the University of Geneva in Switzerland.

=>লোহা কেবলমাত্র সূর্যের চেয়ে বড় কোন নক্ষত্রেই তৈরী হতে পারে যেখানে তাপমাত্রা কোটি ডিগ্রির কাছাকাছি। এ রকম কোন গলিত নক্ষত্রের বিস্ফোরনের মাধ্যমেই লোহার উৎপত্তি সম্ভব।

আর এখন নিউজ থেকে দেখলাম বাইরে দূরে- গ্রহ বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে লোহা গালাক্সি তে এমন কোন তারকা রয়েছে যার ভিতর তাপমাত্রা কোটি ডিগ্রি কাছে সেই নক্ষত্র লোহা অনু ছড়িয়ে হয়ত উচ্চা তাপমাত্রা জন্য এই গ্রহে বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ছে লোহা।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment