দেওবন্দীরা “ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) এবং ইয়া হাবীবুল্লাহ (ﷺ)” বলাকে অস্বীকার করে, এরূপ বলাকে শিরক বলে এবং যারা এরূপ বলে তাদেরকে মুশরিক বলে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের হাযারাতে ওলামায়ে কেরামগণ ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), ইয়া হাবীবুল্লাহ (ﷺ) শব্দ দ্বারা প্রিয় রাসূল (ﷺ) কে ডাকা এবং স্মরণ করাকে জায়েয বলে, কেননা রাসূলে কারীম (ﷺ) স্বয়ং নিজ সাহাবা (رضي الله عنه) গণকে ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলে ডাকার জন্য অনুমতি দিয়েছেন।
রাসূল (ﷺ)’র সাহাবী হযরত উসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه)’র আকীদা:
যেমন, হাদীসের কিতাব সমূহে এসেছে, হযরত উসমান বিন হানীফ (রা:) বর্ণনা করেন, এক অন্ধ সাহাবা রাসূলে কারিম (ﷺ)’র দরবারে এসে আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)! আল্লাহর দরবারে একটু দোয়া করুন। যাতে আল্লাহ তা‘য়ালা আমাকে দৃষ্টি শক্ত দান করেন। তখন সারকারে দোআলম (ﷺ) ইরশাদ করেন, যাও অযু করে দু’রাকাত নামায পড় এবং নিম্নোক্ত দোয়াটি পড়ে প্রার্থনা কর।
اللهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ، وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّكَ مُحَمَّدٍ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ، يَا مُحَمَّدُ، إِنِّي تَوَجَّهْتُ بِكَ إِلَى رَبِّي فِي حَاجَتِي هَذِهِ، فَتَقْضِي لِي، اللهُمَّ شَفِّعْهُ
-“হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি, রহমতের নবী মুহাম্মদ (ﷺ)’র উসিলায়, আপনার নিকট মনোনিবেশ করছি। হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আপনার উসিলা নিয়ে নিজ রবের নিকট মনোনিবেশ করছি, আমার এমন হাজতে যা পূরণীয় হে আল্লাহ! হুযুর (ﷺ)’র শাফায়াত আমার জন্য কবুল করুন।’’ ৯২
- ৯২. ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ২৮/৪৭৮ পৃ. হা/১৭২৪০, ইমাম নাসাঈ, আস-সুনানুল কোবরা, ৯/২৪৪ পৃ. হা/১০৪১৯, সুনানে তিরমিযী, ৫ম খণ্ড, ৪৬১ পৃষ্ঠা, হা/৩৫৭৮, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ২/২৬৮ পৃ. হা/২৪৯৫, সহীহ ইবনে খুযাইমা দ্বিতীয় খণ্ড, ২২৫ পৃষ্ঠা, হা/১২১৯, ইমাম হাকেম, আল-মুস্তাদরাক, প্রথম খণ্ড, ৪৫৮ পৃষ্ঠা, হা/১১৮০, সুনানে ইবনে মাযাহ, ২/৩৯৫ পৃষ্ঠা, হা/১৩৮৫, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল কাবীর, ৯/৩০ পৃ. হা/৮৩১০, শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী, জযবুল কুলুব, ২২০ পৃষ্ঠা, ইমাম কাযি আয়্যায, শিফা শরীফ, প্রথম খণ্ড, ২৭৩ পৃষ্ঠা
এই হাদীস শরীফ থেকে বুঝা যায় যে, হুযুর (ﷺ) নিজ উম্মতকে, “ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দ্বারা আহবান করার অনুমতি প্রদান করেছেন। সায়্যিদুল মুরসালিন (ﷺ), ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলার শিক্ষা দিয়েছেন। আর দেওবন্দীরা বলে এরূপ বলা শিরক। সুতরাং আপনারা নিজেই বিচার করুন তারা কী আহলে সুন্নাত নাকি বাগী?
উম্মতে মুহাম্মদী (ﷺ)’র মহান ব্যক্তিত্ব ইমাম তাবরানী (رحمة الله) একটি রেওয়ায়েতে এনেছেন, যা দ্বারা প্রমাণিত হয় সাহাবায়ে কিরাম (রা.) হুযুর (ﷺ)’র ইন্তেকালের পরও এই দোয়া এবং অজীফার উপর আমল করেছেন এবং এর শিক্ষা দিয়েছেন। ৯৩
- ৯৩. ইমাম তাবরানী, মু‘জামুস সগীর, ১/৩০৬ পৃ. হা/৫০৮, কিতাবুদ দোয়া, ১/৩২০ পৃ. হা/১০৫০, এবং মু‘জামুল কাবীর, ৯/৩০ পৃ. হা/৮৩১০
সায়্যিদুনা উসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান গণী (رضي الله عنه)’র সাথে কোন এক ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল, কিন্তু তা পূর্ণ হচ্ছে না। হযরত উসমান (رضي الله عنه) তার দিকে কোন দৃষ্টিপাতই করছেন না।
তখন ওই ব্যক্তি হযরত উসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه)’র কাছে গিয়ে ঘটনার পূর্ণ বিবরণ দিলেন। তিনি বললেন, তুমি অযু করে দু’রাকাত নামায পড়, তারপর নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে,
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ ﷺ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي أَتَوَجَّهُ بِكَ إِلَى رَبِّكَ عَزَّ وَجَلَّ فَيَقْضِي لِي حَاجَتِي
এরপর খলিফার নিকট যাবে। সুতরাং তিনি সবকিছু করে হযরত উসমান (رضي الله عنه)’র কাছে গেলেন। দারোয়ান এসে তাকে সামনে নিয়ে খলিফা হযরত উসমান (رضي الله عنه)’র কাছে নিয়ে গেলেন। হযরত উসমান (رضي الله عنه) তাকে নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে তার সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করলেন এবং তা পূর্ণ করলেন। এরপর তাকে বললেন ভবিষ্যতে তোমরা কোন সমস্যা হলে আমার কাছে আসবে এবং আমি তা পূর্ণ করব। আবেদনকারী অত্যন্ত খুশি হয়ে হযরত উসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه)’র কাছে গিয়ে বললেন,
جَزَاكَ اللهُ خَيْرًا
-‘‘আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।’’
আপনার কথা মত আমি দোয়া পাঠ করেছি, সেজন্য আমার কাজ সমাধা হয়েছে। অথচ ইতোপূর্বে হযরত উসমান (رضي الله عنه) আমার দিকে দৃষ্টিপাতও করেন নি।’’ ৯৪
- ৯৪. ইমাম তাবরানী, মু‘জামুস সগীর, ১/৩০৬ পৃ. হা/৫০৮, কিতাবুদ দোয়া, ১/৩২০ পৃ. হা/১০৫০, এবং মু‘জামুল কাবীর, ৯/৩০ পৃ. হা/৮৩১০
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! উপর্যুক্ত আলোচনা দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রতিভাত হল যে, সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) এবং তাবেয়ীনগণ (رضي الله عنه) রাসূলে কারিম (ﷺ)’র ইন্তেকালের পরেও “ইয়া মুহাম্মদ, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)” বলাকে বৈধ বলে স্বীকার করেন। বরং মুশকিল এবং পেরেশানারী সময় “ইয়া মুহাম্মদ, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)” বলে ডাকতেন। আর এরূপ ডাকার কারণে তাদের সমস্যা দূরীভূত হত। কিন্তু বর্তমানে দেওবন্দীরা যারা ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলে তাদেরকে মুশরিক বলে আর নিজেদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম‘আত বলে দাবী করে। লাহাওলা ওলাকুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।
সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেয়ীগণের এই কার্যকরী অজীফাকে মুহাদ্দেসীনে কেরামগণ তাদের নির্ভরযোগ্য কিতাবে এনেছেন।
মুহাদ্দিস ইবনে জাযরী (رحمة الله)-এর বাণী:
এই উম্মতে মুহাম্মদীর প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ইবনে জাযরী (رحمة الله) তার প্রসিদ্ধ কিতাব (৯৫) হিসনে হাসীনেও এই অজিফাকে মুশকিল, পেরেশানী এবং হাজত পূর্ণ করার জন্য পাঠ করার নিয়মে লিপিবদ্ধ করেছেন।
মুহাদ্দিস ইবনে জাযরী বর্ণনা করেন যে,
مَنْ كَانَتْ لَه ضُرُوْرَة فَلْيَتَوَضَّاءُ فَيَحْسُنُ وَضُوْءه وَيُصَلِّى رَكَعَتَيْنِ
-‘‘কেউ কোনো সমস্যায় পতিত হয় সে যেন উত্তমরূপে অযু করে দু’রাকাত নামায পড়ে উপর্যুক্ত দোয়া-
اللّٰهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ وَأَتَوَجَّهُ إِلَيْكَ بِنَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ ﷺ نَبِيِّ الرَّحْمَةِ، يَا مُحَمَّدُ إِنِّي أَتَوَجَّهُ بِكَ إِلَى رَبِّي فَتَقْضِي لِي حَاجَتِي
পাঠ করে।’’ (হিসনে হাসীন)
- ৯৫. হযরত মুহাদ্দিস ইবনে জাযরী (رحمة الله) স্বীয় কিতাবে হিসনে হাসীনের ভূমিকায় লেখেন- “এই কিতাবের সংকলিত সবগুলো হাদিস সহীহ, দুর্বল হাদিস এতে স্থান পায়নি।”
সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ বিন উমর (رضي الله عنه)’র আকিদা:
ইমামুল মুহাদ্দেসীন সায়্যিদুনা ইমাম বুখারী (رحمة الله)’র তার লিখিত ‘আদাবুল মুফরাদ’ এ হযরত ইবনে উমর (رضي الله عنه)’র আকিদা এভাবে বর্ণনা করেন যে,
خَدِرَتْ رِجْلُ ابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ لَهُ رَجُلٌ: اذْكُرْ أَحَبَّ النَّاسِ إِلَيْكَ، فَقَالَ: يَا مُحَمَّدُ
-‘‘একদা হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه)’র পা অবশ হয়ে পড়ে, তখন উপস্থিত এক ব্যক্তি তাকে বললেন, আপনার সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন, তখন তিনি বললেন, ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ)।’’ ৯৬
- ৯৬. ইমাম বুখারী, আদাবুল মুফরাদ, ৩৩৫ পৃ. হা/৯৬৪
শিফা শরীফের (৯৭) বর্ণনা:
আল্লামা কাজী আয়্যায (رحمة الله) স্বীয় কিতাব শিফা শরীফে এভাবে বর্ণনা করেন-
وَرُوِيَ: أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ خَدِرَتْ رِجْلُهُ.. فَقِيلَ لَهُ: اذْكُرْ أَحَبَّ النَّاسِ إِلَيْكَ يَزُلْ عَنْكَ.. فَصَاحَ يَا مُحَمَّدَاهْ فَانْتَشَرَتْ
-‘‘বর্ণিত আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه)’র পা অবশ হয়ে পড়লে তাকে বলা হল আপনার সর্বাধিক প্রিয়জনকে স্মরণ করুন। তখন তিনি ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ)! বলে আহবান করেন, ফলে তাঁর পা খুলে যায়।’’ ৯৮
- ৯৭. ওহাবী গায়রে মুকালিদ মৌলবী ইব্রাহীম শিয়ালকুটী শেফা শরীফকে অতুলনীয় কিতাব হিসেবে আখ্যায়িত করেন। (সিরাজুম মুনীর, ৫০ পৃষ্ঠা, আহলে হাদীস অমৃতসরী)
- ৯৮. ইমাম কাযি আয়্যায, কিতাবুশ শিফা হুকুকুল মুস্তফা, দ্বিতীয় খণ্ড, ৫৩ পৃষ্ঠা, মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শেফা, দ্বিতীয় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা, শিহাবুদ্দীন খিফ্ফাযী, নাসিমুর রিয়াদ্ব, তৃতীয় খণ্ড, ৩৯৭ পৃষ্ঠা
ইমাম নববী এবং ইবনে সুন্নী (رحمة الله)-এর বর্ণনা:
উম্মতে মুহাম্মদীর জলিলুল ক্বদর মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে সুন্নী (رحمة الله) তাঁর স্বীয় কিতাব “আমালুল ইয়াওম ওয়াল লাইলাহ” এর মধ্যে কয়েক সূত্রে বর্ণনা করেছেন মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী (رحمة الله) তাঁর “কিতাবুল আযকার” ১৩৫ পৃষ্ঠায় উপরের হাদিসটি বর্ণনা করেন।
শায়খুল মুহাদ্দীসিন আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দেস দেহলভীর (رحمة الله) বর্ণনা: ৯৯
শায়খুল মুহাদ্দীসিন আল্লামা আবদুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী (رحمة الله)ও তাঁর “মাদারেজুন নবুওয়াত” এ উপরোক্ত হাদিসটি বর্ণনা করেন।
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ৯৯. ওহাবীদের গর্ব ইবরাহীম শিয়াল কুটি শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله) সম্পর্কে বলেছেন, তিনি ইলমে হাদিসের খাদেম, তিনি জাহেরী বাতেনী ইলমের অধিকারী ছিলেন। (তারীখে আহলে হাদিস, ৩৯৮ পৃ.)
কাযি শাওকানী ও ওয়াহেদুজ্জামানের বর্ণনা:
গায়রে মুকাল্লীদ ওহাবীদের গুরু কাজী শাওকানী এবং ওয়াহিদুজ্জামানও তাদের কিতাব “তুহফাতুয্ যাকেরীন এর ২৩৯ পৃষ্ঠায় (যা মিশর হতে প্রকাশিত) এবং হিদায়াতুল মাহদী গ্রন্থের প্রথম খন্ডের ২৩ পৃষ্ঠায় এ রেওয়ায়েত বর্ণনা করে বলেন, উক্ত বর্ণনা সহীহ।
কিন্তু এসব মৌলবীরা অন্তরে হুযুর (ﷺ)’র এতো বেশি হিংসা রাখে যে, তাদের চেয়ে বড়দের কিতাবে এই বর্ণনা থাকা সত্ত্বেও তার প্রতি গুরুত্বারোপ করে না।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)’র আকিদা:
বদ আক্বীদাধারীদের মুজাদ্দিদ মৌলবী নবাব সিদ্দিক হাসান খান ভূপালী এভাবে বর্ণনা করেছেন যে, শারজী বলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)’র পা অবশ হলে, তিনি ‘ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ)!’ বলেন, তখন তাঁর পা খুলে যায়।” (আদ-দায়ী ওয়াদ্দাওয়া, ৩৬ পৃষ্ঠা)
সাহাবায়ে কিরাম গণের (রা:) নিয়ম নীতি:
সাহাবায়ে কেরামগণ (رضي الله عنه) অধিকাংশ যুদ্ধের মধ্যে “ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ), ইয়া নবীয়াল্লাহ (ﷺ), ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) বলে আহ্বান করতেন। যেমন, তারীখে ইবনে জারীরে আছে,
ان الصحابة بَعْدَ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ ﷺ كان شعارهم فِي الْحُرُوبِ يَا مُحَمَّدُ
-“রাসূলে কারিম (ﷺ)’র ইন্তেকালের পর সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) গণের অভ্যাস ছিল যুদ্ধের মধ্যে ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) বলা। (তারীখে ইবনে জরীর)
আবু উবাইদাহ বিন র্জারাহ (رضي الله عنه)’র মুজাহিদ দল ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) বলে ডাকা:
তারিখে ফুতুহে শাম এ এসেছে যে, কনসিরে যুদ্ধ করার জন্য সায়্যিদুনা হযরত আবু উবাইদাহ বিন তারকাহ (رضي الله عنه), হযরত কাব বিন হামযা (رضي الله عنه) কে ১০০০ সৈন্য দিয়ে প্রেরণ করার ইচ্ছা করেন। হযরত কাব বিন হামযাহ (رضي الله عنه)’র যুদ্ধ হয়েছে ইউকানার সাথে। ইউকানার সৈন্য সংখ্যা ছিল ৫০০০। যুদ্ধ শুরু হলে ইউকানার ৫০০০ সৈন্য হযরত কাব বিন হামযার (رضي الله عنه) সৈন্যের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। তখন হযরত কাব বিন হামযাহ (رضي الله عنه),
يَا مُحَمَّدُ يَا مُحَمَّدُ يَا نَصْرَ اللهِ اَنْزِلْ
ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া নাসারাল্লাহ (ﷺ) বলে আহবান করেন।’’ (ওয়াকেদী, ফুতহুশ শাম, ২৯৮ পৃষ্ঠা)
ইমাম সুয়ূতি ➡১০০ ও ইবনে জাওযী ➡১০১ (رحمة الله) বর্ণনা:
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ১০০.
আল্লামা আবদুল ওহ্হাব শা‘রানী (رحمة الله) বলেন, আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ূতি (رحمة الله) স্বপ্নাবস্থায় হুযুর (ﷺ) কে ৭৫ বার দিদার পেয়েছেন। (মিযানুল কুবরা, ৪৪ পৃষ্ঠা, মিশর হতে প্রকাশিত) দেওবন্দীদের মৌলবী আশরাফ আলী থানবী আল্লামা ইমাম সূয়ুতী (رحمة الله) কে বড় বড় আলেমদের কাতারে স্থান দেন। (তরীকায়ে মৌলুদ, ১১ পৃষ্ঠা)
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ১০১.
❏ দেওবন্দী এবং গায়রে মুকালিদদের শায়খুল ইসলাম এবং মুজাদ্দেদ ইবনে তাইমিয়া আল্লামা ইবনে জাওজী (رحمة الله) সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ইমাম ইবনে জাওযী (رحمة الله) উঁচু স্তরের ফহীহ এবং অনেক বড় গ্রন্থাকার ছিলেন। অনেক বিষয়ে তাঁর রচনা বিদ্যমান। আমার গণনানুসারে এগুলোর সংখ্যা অনেক। বিশেষত হাদীস শাস্ত্রেই তাঁর রচনা দেখে অনুমান করা যায় তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা কত? তাঁর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রচনা হল যাতে তিনি পূর্ববর্তীদের জীবনী লেখেছেন।
তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন, লেখনিতে তিনি ছিলেন সিদ্ধ হস্ত। প্রতিটি বিষয়ের লেখদের থেকেই তাঁর রচনা ছিল গ্রহণযোগ্য। (আল ইতিসাম, লাহোর, ৬ষ্ট পৃষ্ঠা, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২ ইংরেজী)
❏ হাফেজ ইবনে যাহাবী (رحمة الله) তাঁর ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর অনেক রচনা ছিল। যেমন, তাফসীর, ফিকহ, হাদীস, ওয়াজ, দাকায়েক, তারীখ ইত্যাদি। ইলমে হাদীসের জ্ঞান এবং ছহিহ ও দুবল হাদীসের পন্ডিতদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বশেষ। তিনি অনেক হাদীস বর্ণনা করেন। প্রায় ৪০ বছর তিনি জ্ঞানার্জন করেন। (তবকাতে ইবনে বজর)
❏ আল্লামা শেখ সাদী (رحمة الله) ছিলেন তাঁর শাগরীদ। (বুস্তার হাশিয়া, ১৮০ পৃষ্ঠা) আল্লামা যাহাবী (رحمة الله) তাযকিরাতুল হুফ্ফায” চতুর্থ খণ্ডে বলেন, “তিনি (ইবনে জাওযী (رحمة الله) ছিলে দৃষ্টিবানদের অন্তর্ভূক্ত। হাদিস শাস্ত্রে তিনি হুজ্জাতের স্তরে ছিলেন। আমার জানা মতে তার চাইতে কেউ এত অধিক গ্রন্থ রচনা করেননি।” (ইমাম যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফ্ফায, ৪/৯২ পৃ. ক্রমিক. ১০৯৮)
উলূমুল কুরআন এবং তাফসীরে শাস্ত্রে তিনি ছিলেনন অনেক উঁচু পর্যায়ের, হাদিস শাস্ত্রে ছিলেন বড় মর্যাদাবান, ফিকহের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তাঁর রচনার পরিধি এতই ব্যাপক ছিল যে, তাঁর চেয়ে এতো বেশি গ্রন্থ কেউ রচনা করেছেন তা আমার জানা নেই।
━━━━━━━━━━━o━━━━━━━━━
মুহাদ্দিস আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতি (رحمة الله) এবং ইবনে জাওযী (رحمة الله) তিনজন মুজাহিদের একটি ঘটনা নিজেদের কিতাবে লিপিবদ্ধ করেছেন।
মুহাদ্দীস আল্লামা ইবনে জারীর (رحمة الله) তার “উয়ুনুল হেকায়ত” গ্রন্থে আবু আলী সারীর (رحمة الله) থেকে বর্ণনা করেন, শাম দেশে তিন ভাই ছিলেন সে যুগের বড় বীর বাহাদুর। সর্বদা কাফেরদের সাথে তারা যুদ্ধ করতেন। এক পর্যায়ে রোমের বাদশা তাদের গ্রেফতার করে প্রস্তাব দেয় তোমরা যদি খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ কর তবে তোমাদেরকে এই রাজ্য দান করব এবং আমাদের কন্যাদের সাথে বিবাহ দেব।
فَأَبَوا وَقَالُوا يَا محمداه
তারা এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বললেন, ইয়া মুহাম্মদাহ (ﷺ)।’’ ➡১০২
- ১০২. ইমাম সুয়ূতি, শরহে সুদুর, ২১২ পৃষ্ঠা
মদীনা শরীফের জনগণ কর্তৃক ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলে শ্লোগান দেয়া:
ইমামুল মুহাদ্দেসীন ইমাম মুসলিম (رحمة الله) সহীহ মুসলিম শরীফের “বাবুল হিজরত”র মধ্যে হযরত বারা (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন যে, হুযুর পূর নূর (ﷺ) যখন হিজরত করে মদীনা শরীফে তাশরীফ আনেন-
فَصَعِدَ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ فَوْقَ الْبُيُوتِ، وَتَفَرَّقَ الْغِلْمَانُ وَالْخَدَمُ فِي الطُّرُقِ، يُنَادُونَ: يَا مُحَمَّدُ يَا رَسُولَ اللهِ يَا مُحَمَّدُ يَا رَسُولَ اللهِ
-‘‘তখন নর-নারী সকলেই ছাদের উপর আরোহণ করেন এবং শিশু এবং খাদেমগণ রাস্তার অলি গলিতে ছড়িয়ে বলতে লাগলেন। ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ), ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।’’ ১০৩
- ১০৩. সহীহ মুসলিম শরীফ, চতুর্থ খণ্ড, ২৩১০ পৃষ্ঠা, হা/২০০৯
মুহাদ্দিস সাখাবী (رحمة الله) ➡১০৪-এর বর্ণনা:
মুহাদ্দিস সাখাবী (رحمة الله) তাঁর অনাবদ্য গ্রন্থ ‘আল-কাউলুল বাদী’তে ➡১০৫ একটি ঘটনা বর্ণনা করেন এভাবে যে, হযরত আবু বকর মুহাম্মদ উমর (رحمة الله) বলেন, একদা আমি হযরত আবু বকর বিন মুজাহিদ (رحمة الله)’র নিকট বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় হযরত শিবলী (رحمة الله) তাঁর কাছে আসলে তিনি দাঁড়িয়ে তাঁর সাথে কুলাকুলি করেন এবং কপালে চুমু দেন।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আমার সর্দার! আপনি হযরত শিবলী (رحمة الله)’র সাথে এ আচরণ কেনো করলেন? অথচ আপনি এবং বাগদাদের সকলেই জানেন যে উনি একজন মজবুব।
উত্তরে তিনি (আবু বকর বিন মুজাহিদ) বললেন, রাসূলে কারিম (ﷺ)’র তাঁর সাথে যেরূপ করতে দেখেছি আমিও তাই করেছি। একদা আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত শিবলী (رحمة الله) আসলেন এবং রাসূল (ﷺ) দাঁড়িয়ে তাঁর সাথে কুলাকুলি করে তাঁর কপালে চুমু খেলেন। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে রাসূল (ﷺ)! আপনি শিবলী (رحمة الله)’র সাথে এমনটি কেনো করলেন? রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করলেন, তিনি প্রতি নামাযের পর নিন্মোক্ত আয়াত-
لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُمْ بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ
এবং আমার উপর দরুদ শরীফ পাঠ করেন। অপর বর্ণনায় আছে, তিনি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর উপরোক্ত আয়াত পাঠ করেন এবং তিন বার নিম্নোক্ত দোয়া-
صَلَّى اَللهُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّد ﷺ
পড়েন। হযরত আবু বকর বিন মুহাম্মদ (رحمة الله) বলেন, এরপর হযরত শিবলী (رحمة الله) কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি আমাকে অনুরূপ উত্তর দেন। (ইমাম সাখাভী, আল কাউলুল বাদী, ১৭৩ পৃষ্ঠা)
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ১০৪. মুহাদ্দিস আল্লামা সাখাবী (رحمة الله) ইমামুল মুহাদ্দিসীন আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (رحمة الله)’র প্রিয় ছাত্র এবং আল্লামা জালালুদ্দিন সুয়ূতি (رحمة الله)’র উস্তাদ ছিলেন। আহলে হাদিসদের ইমাম শাওকানী ইমাম সাখাবী (رحمة الله) বড় ইমাম হিসেবে মান্য করেন। জামেউল আজহারের শিক্ষক আবদুল ওহ্হাব আবদুল লতিফ ইমাম সাখাবী (رحمة الله)’র বড় বড় লকব লেখেন। (ওয়ারেছে উলূমুল আম্বিয়া, আল ফারদুল ফরিদ, মুকাদ্দামায়ে আল-মাকাসিদুল হাসানা লিস সাখাভী)
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ১০৫. ‘আল-কাউলুল বদী’ ইমাম সাখাবী (رحمة الله)’র এমন কিতাব যার অধিকাংশ রেফারেন্স টেনেছে দেওবন্দী মৌলবী যাকারিয়া সাহানপুরী তার ‘ফাযায়েলে দরুদ’ শরীফ গ্রন্থে। (ফকীর মুহাম্মদ জিয়াউল্লাহ কাদেরী)
━━━━━━━━━━━o━━━━━━━━━
ইবনুল কাইয়্যুম ও কাযি সুলাইমান মানসুরপুরী এর বর্ণনা: (➡১০৬ & ১০৭)
দেওবন্দী এবং ওহাবীদের উলেখযোগ্য দুজন ব্যক্তিত্ব ইবনে কাইয়্যুম এবং কাজী সুলাইমান মানসুরপুরী তাদের স্ব স্ব কিতাবে ‘জালালুল আফহাম’ এর ২৫৮ পৃষ্ঠায় এবং ‘আসসালাতু ওয়াস সালাম’ (উর্দু) গ্রন্থের ২৫৮-২৫৯ পৃষ্ঠায় এই ঘটনা বর্ণনা করেন।
প্রিয় পাঠক! রাসূলে কারিম (ﷺ) কে যদি (يَا) শব্দ দ্বারা ডাকা শিরক হতো তবে হুযুর পূর নূর (ﷺ)’র কখনো তাঁর সাহাবীদেরকে এমন দোয়া শিক্ষা দিতেন না যার মধ্যে (يا محمد এবং يَا رَسُولَ اللهِ ) রয়েছে।
ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) যদি শিরক হতো তবে সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه), সায়্যিদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এবং সায়্যিদুনা উসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) এর মত সাহাবা (রা:) গণ কখনো যুদ্ধের ময়দানে এবং যুদ্ধের সময় ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) এবং ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) বলতেনও না, কাউকে বলার জন্য শিক্ষাও দিতেন না।
সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) যখন ‘ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) এবং ইয়া রাসূলাল্লাহ(ﷺ) বলে ডাকতেন, তা যাঁরা শুনতেন তাঁরাও ছিলেন সাহাবায়ে কিরাম (রা:)।
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ১০৬. গায়রে মুকাল্লিদ ওহাবীদের অন্যতম মৌলবী মুহাম্মদ সাহেব দেহলভী ইবনে কাইয়ুমকে মুজাদ্দেদে ওয়াকত বলেন। (আখবারে মুহাম্মদী, ১৫ পৃষ্ঠা, ৫ মে, ১৯৪২ ইংরেজী)
টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━
- ১০৭.
❏ ওহাবীদের অন্যতম মুফাস্সির মুহাম্মদ দেহলভী কাজী সুলাইমান মানসুরপুরীর ব্যাপারে লেখেন যে, তার লেখা মনপুত, হৃদয়গ্রাহী এবং দলির হিসেবে পরিগণিত হত। (আখবারে মুহাম্মদী, ১৫ পৃষ্ঠা, ১৫ জুলাই, ১৯৪২ ইংরেজী)
❏ মৌলবী ছানাউল্লাহ আমৃতসরী কাজী সুলাইমান মানসুরপুরীকে লেখকের উপযোগী বলে মন্তব্য করেন। (আহলে হাদীস, অমৃতসরী, দ্বিতীয় পৃষ্ঠা, নভেম্বর ১৯৪৩ ইংরেজী)
মৌলবী দাউদ গাজী বলেন, কাজী সুলাইমান মনসুর পুরীর জ্ঞান গরিমার সমপর্যায়ের কেউ নেই। (আল ইতিসাম, লাহোর, তৃতীয় পৃষ্ঠা, জুলাই, ১৯৫০ ইংরেজী)
━━━━━━━━━━━o━━━━━━━━━
হাদিস শরীফগুলো দ্বারা প্রমাণিত হয়, সাহাবায়ে কিরাম (رضي الله عنه) গণ রাসূল (ﷺ) জীবদ্দশায় এবং পর্দা করার পরেও এরূপ ডেকেছেন। কিন্তু একজন সাহাবাও তা হতে নিষেধ করেন নি। গোটা পৃথিবীর কোন দেওবন্দীই এমন একটিও হাদিস দেখাতে পারবে না যে, কোনো সাহাবায়ে কিরাম (রা:) ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) এবং ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) বলা থেকে নিষেধ করেছেন।
সুতরাং উপযুক্ত নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দেসীনদের অতুলনীয় কিতাব থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইমামুল আম্বিয়া, সায়্যিদুল মুরসালিন (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবায়ে কিরাম (রা:) গণের আকিদা ছিল ‘ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) এবং ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) বলে ডাকা জায়েয।সুতরাং যেসব দেওবন্দী এরূপ ডাকাকে শিরক বলে তারা আহলে সুন্নাত নয়, বরং তারাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম‘আত যারা ‘ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ) এবং ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) বলে এবং এরূপ বলাকে বৈধ মনে করে।