বিষয় নং-১৮: হাত পা চুম্বন করা সিজদা নয়

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

দেওবন্দী ও আহলে হাদিসরা হাত-পা চুম্বন করাকে সিজদা বলে থাকে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীরা হাত-পা চুম্বন করাকে সিজদা বলে না। কারণ, রাসূলে পাক (ﷺ) এর পবিত্র শরীয়তে সিজদার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে যে, সিজদার সময় জমিনে শরীরের সাতটি অঙ্গ লাগবে। যেমন হাদিসে পাকের কিতাবে এর স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইমামুল মুহাদ্দেসীন ইমাম বুখারী (رحمة الله) সহীহ বুখারী শরীফে بَابُ السُّجُودِ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ “সিজদার সময় সাতটি অঙ্গ জমিনে স্পর্শ করবে” নামে বাবে হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণনা করেন যে, 

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ،  أُمِرَ النَّبِيُّ صلّى الله عليه وسلم أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْضَاءٍ

-‘‘রাসূল পাক (ﷺ) আমাদেরকে সাতটি অঙ্গ দ্বারা সিজদা করতে আদেশ করেছেন।’’  ২৪৫

টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━

  • ২৪৫. 

সহীহ বুখারী, ১/১৬২ পৃ: হা/৮০৯, সহীহ মুসলিম, ১/৩৫৪ পৃ. হা/৪৯০, ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ৫/৮২ পৃ. হা/৪৭৩৭ এবং মু‘জামুল কাবীর, ১১/৯ পৃ. হা/১০৮৬০, সহীহ ইবনে খুজায়মা, হা/৬৩৪, সুনানে দারেমী, ২/৮৩২ পৃ. হা/১৩৫৭, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৪/৩২০ পৃ. হা/২৫২৭, সুনানে নাসাঈ, ২/২০৮ পৃ. হা/১০৯৩, সুনানে তিরমিযি, হা/২৭৩, 

❏ ইমাম তাবরানী (رحمة الله)-এর এক বর্ণনায় রয়েছে-

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : السُّجُودُ عَلَى سَبْعَةِ أَعْضَاءٍ

-‘‘হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল পাক (ﷺ) ইরশাদ করেন, সিজদা সাতটি অঙ্গ দ্বারা হয়ে থাকে।’’ (ইমাম তাবরানী, হা/, হাইসামী, মাযমাউয যাওয়ায়েদ, ২য় খণ্ড, ২৪ পৃ. হা/২৭৪৯) 

❏ ইমাম আবু ই‘য়ালা (رحمة الله) সংকলন করেন-

عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ: أُمِرَ الْعَبْدُ أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ آرَابٍ

-“হযরত সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) বলেন, বান্দাকে সাতটি অঙ্গ দ্বারা সেজদা করতে আদেশ করা হয়েছে।”

-‘‘ হাইসামী, মাযমাউয যাওয়ায়েদ, ২য় খণ্ড, ২৪ পৃ. হা/২৭৪৮)

━━━━━━━━━━o━━━━━━━━━━

ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (رحمة الله) হযরত আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেছেন যে, 

أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا سَجَدَ العَبْدُ سَجَدَ مَعَهُ سَبْعَةُ آرَابٍ: وَجْهُهُ، وَكَفَّاهُ، وَرُكْبَتَاهُ، وَقَدْمَاهُ.

-‘‘বান্দা যখন সিজদা করে তখন তার সাথে সাতটি অঙ্গ তথা কপাল, দুই হাত, দু’হাঁটু এবং দু’পা সিজদা করে।’’  ২৪৬

টিকা━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━

  • ২৪৬. 

ইমাম তিরমিযী, আস-সুনান, ১ম খণ্ড, ৩৬০ পৃ: হা/২৭২, ইমাম যায়লাঈ, নাসবুর রাইয়্যা ফি তাখরীজে আহাদিসিল হিদায়াহ, ৮০ পৃ:, সহীহ ইবনে খুজায়মা, ১/৩৪৪ পৃ. হা/৬৩১, সুনানে ইবনে মাযাহ, হা/৮৮৫, ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, ৩/২৮৯ পৃ. হা/১৭৬৪, বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ২/১৪৬ পৃ. হা/২৬৪১, সুনানে নাসাঈ, ২/২১০ পৃ. হা/১০৯৯, সুনানে আবি দাউদ, ১/২৩৫ পৃ. হা/৮৯১, 

❏ ইমাম তিরমিযি (رحمة الله) বলেন-

حَدِيثُ العَبَّاسِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ. وَعَلَيْهِ العَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ العِلْمِ.

-‘‘হযরত আব্বাস (رضي الله عنه)-এর হাদিসটি হাসান, সহীহ। আর এর উপরে আহলে ইলমের আমল অব্যাহত রয়েছে।’’

━━━━━━━━━━o━━━━━━━━━━

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এবং অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত আছে যে, মহান আল্লাহ রাসূলে পাক (ﷺ) এর প্রতি ওহী করেছেন যে, 

أَنْ يَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ

-‘‘সাত অঙ্গ দ্বারা সিজদা করার জন্য।’’ ২৪৭

  • ২৪৭. ইমাম তাবরানী, মু‘জামুল আওসাত, ৫/৮২ পৃ. হা/৪৭৩৭, মুসনাদে ইমামে আযম, ১ম খণ্ড ৩৯৬ পৃ., সহীহ ইবনে খুজাইমা, ১/৩৪৪ পৃ. হা/৬৩৩, সুনানে ইবনে মাযাহ, হা/৮৮৩, সুনানে নাসাঈ, হা/১০৯৭

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন যে, রাসূলে পাক সাহেবে লাওলাক (ﷺ) ইরশাদ করেন-

الْإِنْسَانَ يَسْجُدُ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ جَبْهَتِهِ، وَكَفَّيْهِ، وَرُكْبَتَيْهِ، وَصُدُورِ قَدَمَيْهِ، وَإِذَا جَلَسَ فَلْيَنْصُبْ رِجْلَهُ الْيُمْنَى

-‘‘মানুষ সিজদা করার সময় সাতটি অঙ্গ তথা কপাল, দুই হাত, দু’হাঁটু এবং দু’পায়ের আঙ্গুলী দ্বারা করে থাকে। সে ইচ্ছা করলে তার প্রত্যেক অঙ্গ আলাদা রাখতে পারে।’’ ২৪৮

  • ২৪৮. ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, ২/১২১ পৃ. হা/২৫৫৩, জামে মাসানিদে ইমামে আযম, ১ম খণ্ড, ১০০ পৃ.

ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতি (رحمة الله) বর্ণনা করে বলেন-

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: السُّجُودُ عَلَى سَبْعَةِ أَعْضَاءٍ: الْيَدَيْنِ، وَالْقَدَمَيْنِ، وَالرُّكْبَتَيْنِ، وَالْجَبْهَةِ

-‘‘সিজদা সাতটি অঙ্গ তথা দু’হাত, দু’পা, দু’হাঁটু এবং কপাল দ্বারা হয়ে থাকে।’’  ২৪৯

  • ২৪৯. ইমাম তাবারানী, মু‘জামুল আওসাত, ২/১৯২ পৃ. হা/১৬৮৭, ইমাম সুয়ূতি, জামেউস সগীর, ১ম খণ্ড, পৃ. হা/৭০৮, ইমাম তাবারানী, মু‘জামুল কাবীর, ১১/৪৫২ পৃ. হা/১২২৮২, ইমাম সুয়ূতি, জামেউল আহাদিস, ১৩/৩৬৫ পৃ. হা/১৩৩১৫

আরেফ বিল্লাহ শায়খ মুহাম্মদ আমিন কারয়ী আলবিলি (رحمة الله) বলেন-

السُّجُوْدُ عَلٰى أَلاعْضَاءٍ السَبْعَةِ التى هِى الْجَبْهَةِ وَالرُّكْبَتَان وَبَاطِنَا الكَفَّيْنِ وَاطْرَافُ بُطُوْنِ  أَصَابِعِ الْقَدَمَيْنِ وَانْ يكُوْنَ  السُّجُوْدُ عَلٰى أَلاعْضَاءٍ السَبْعَةِ فى ان واحد

-‘‘সাতটি অঙ্গ তথা কপাল, দু’হাঁটু, দু’হাত এবং দু’পায়ের আঙ্গুলীর স্পর্শ দ্বারা হয় আর সাতটি অঙ্গ দ্বারা একই সময়ে হয়ে থাকে।’’ ২৫০ 

  • ২৫০. তানবীরুল কুলুব কি মুআলিমাতি আল্লামুল গুযুর, ১৩৪ পৃ.

গাইরে মুকাল্লিদের অন্যতম মওলবী সোলাইমান সাহেব মনসুরপুরীও সিজদার সংজ্ঞায় বলেন,

‘‘রাসূল (ﷺ)-’র শরীয়তে সিজদা হল কপাল এবং নাক জমিনে লাগানো অনুরূপভাবে দু’হাত, দু’হাঁটু এবং দু’পায়ের আঙ্গুলীও লাগানো হবে। রান পেট থেকে এবং দু’বাহু  থেকে আলাদা থাকবে। এই পরিভাষাকে শরীয়ত বলে।’’ (আল-জামাল আল-কামাল, ৫৩ পৃ.)

উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হল সাতটি অঙ্গ জমিনে লাগানোর নামই সিজদা, এর কম হলে সিজদা হবে না। কেননা সিজদার জন্য সাতটি অঙ্গ লাগানোই আবশ্যক। এমনকি ৬টি অঙ্গ লাগালে ও সিজদা হবে না। যাই সে নামাজের মধ্যে হোক না কেন। সুতরাং হাত-পা চুম্বন করাকে সিজদা বলা মূলত কমজ্ঞান তথা অজ্ঞতার নামান্তর। কেননা হাত-পা চুম্বনে সাত অঙ্গ লাগানো হয় না। সিজদার মধ্যে নিয়্যতও অর্ন্তভুক্ত। একজন ব্যক্তি তখনই সিজদাকারী হবে যখন তার নিয়্যত থাকবে। যদি কেউ নিয়্যত ছাড়া রূকু, কিয়াম এবং সিজদা করে তবে কী তার ছাওয়ার অর্জন হবে? কখনো না, কারণ সাওয়াবের জন্য নিয়্যত শর্ত। হুযুর পাক (رحمة الله) ইরশাদ করেন-

إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ

-‘‘আমলের সাওয়াব নিয়্যতের উপর নির্ভর করে।’’২৫১

  • ২৫১. সহীহ বুখারী শরীফ, ১ম খণ্ড ২ পৃ. হা/১

 হুযুর পাক (رحمة الله) ইরশাদ করেন-

إِنَّ اللهَ لَا يَنْظُرُ إِلَى أَجْسَادِكُمْ، وَلَا إِلَى صُوَرِكُمْ، وَلَكِنْ يَنْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ

-‘‘নিশ্চই আল্লাহ তা‘য়ালা তোমাদের ব্যহ্যিক আকৃতি দেখেন না। তিনি কেবল তোমাদের অন্তর তথা নিয়্যতের দিকে দেখেন।’’  ২৫২

  • ২৫২. সহীহ মুসলিম, ৪/১৯৮৬ পৃ. হা/২৫৬৪, ইমাম মুনযিরী, তাগরীব ওয়াত তারহীব, ১/২৬ পৃ. হা/১৯, খতিব তিবরিযি, মিশকাত, ৩/১৪৬২ পৃ. হা/৫৩১৪

উল্লেখিত হাদিস সমূহ থেকে দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হল যে, হাত-পা চুম্বন করা সিজদা নয়। রাসূলে পাক ছাহেবে লাওলাক (ﷺ)ও হাত-পা চুম্বন করাকে সিজদা বলেন নি। যেমন ইমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা কাজী আয়ায (رحمة الله) তাঁর স্বীয় কিতাব ‘আশ শিফা বি তারিফে হুকুকিল মুস্তফা’র মধ্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দু’জন বিখ্যাত ফকীহ আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী (رحمة الله) “রদ্দুল মুহতারে, আল্লামা আবু লাইস সমরকন্দী (رحمة الله) তাঁর ‘‘তাম্বীহুল গাফেলীন” এ এবং আল্লামা কারখী (رحمة الله) “তানবীরুল কুলুবে’’ হযরত বুরাইদাহ (رضي الله عنه) এর একটি বর্ণনা এনেছেন, এক ইহুদী এসে রাসূলে পাক (ﷺ) এর কাছে এসে মুজিযা দেখানোর আরয করল। রাসূলে পাক (ﷺ) তাকে বললেন-

قُلْ لِتِلْكَ الشَّجَرَةِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُوكِ

-‘‘যাও ওই বৃক্ষ কে গিয়ে বল যে, রাসূল পাক (ﷺ) তোমাকে ডাকছেন। হযরত বুরাইদা (رضي الله عنه) বলেন, এরূপ বলার সাথে সাথে গাছটি ডানে-বামে উপরে-নীচে হেলে দুলতে লাগল, যাতে এর শিকড় উঠে যায়, অতঃপর বৃক্ষটি জমিন থেকে ওঠে রাসূলে পাক (ﷺ)-এর দরবারে এসে-

السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ..

এভাবে সালাম নিবেদন করলো। লোকটি বললো, বৃক্ষটিকে আবার চলে যেতে বলুন। রাসূল (ﷺ) বলার সাথে সাথেই বৃক্ষটি চলে গেল। এই মুজিযা দেখার পর ইহুদী নিবেদন করে বলল, একটু অনুমতি দেন আমি আপনাকে সিজদা করবো। তখন রাসূলে পাক (ﷺ) ইরশাদ করলেন-

قَالَ: لَوْ أَمَرْتُ أَحَدًا أَنْ يَسْجُدَ لِأَحَدٍ لَأَمَرْتُ الْمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا.. قَالَ فَأْذَنْ لِي أَنْ أُقَبِّلَ يَدَيْكَ وَرِجْلَيْكَ.. فأذن له.

-‘‘সিজদা করার অনুমতি থাকলে আমি প্রত্যেক মহিলাকে তাদের স্বামীকে সিজদা করার হুকুম করতাম। ইহুদি পুনরায় নিবেদন জানিয়ে বললো, তাহলে হাত-পা মুবারক চুম্বন করার অনুমতি চাইলে তাকে অনুমতি দেয়া হল।’’  ২৫৩

  • ২৫৩. ইমাম কাযি আয়্যায, শিফা শরীফ, ১ম খণ্ড ৫৭৪ পৃ. ইমাম আবু লাইস সমরুকন্দী, তাম্বীহুল গাফেলীন, ২৬২ পৃ: ইবনে আবেদীন শামী, ফাতওয়ায়ে শামী, ৬/৩৮৩ পৃ., ইমাম জুরকানী, শারহুল মাওয়াহেব, ৬/৫১৭ পৃ., মোল্লা আলী ক্বারী, শরহে শিফা, ১/৬১৯ পৃ., ইমাম মাওয়ারিদী, ই‘লামুন নবুয়ত, ১/১৪৫ পৃ.,

দেওবন্দী ওহাবীদের ফতোয়ার অসারতা

দেওবন্দী ওহাবীরা হাত-পা চুম্বন করাকে সিজদা বলে বেড়ায়। এমনকি শিরকও বলে। কিন্তু উপর্যুক্ত হাদিস শরীফগুলোর মাধ্যমে ওহাবী-দেওবন্দীদের ফতোয়ার অসারতা প্রমাণিত হয়। সাথে সাথে এটাও প্রমাণিত হয় যে, হাত-পা চুম্বন করা সিজদা নয়, এগুলো সিজদা হলে সিজদার মধ্যে গণ্য হতো। তখন রাসূলে পাক (ﷺ) যেভাবে সিজদা করার অনুমতি দেননি, এগুলোর অনুমতিও দিতেন না। বরং এটা বলে দিতেন যে, হাত-পা চুম্বন করাও সিজদা। কিন্তু সিজদার অনুমতি না দেয়া এবং হাত-পা চুম্বন করার অনুমতি দান করাই প্রমাণ করে যে, হাত-পা চুম্বন সিজদা নয়। বিজ্ঞ পাঠক! এখন দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হল যে, হাত-পা চুম্বনকে সিজদা বলা দেওবন্দীরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম‘আত নয়।

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment