বিদায় হজ্জ ২য় পর্ব

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

বিদায় হজ্জের ঘটনার সূত্রপাতঃ

নবম হিজরীর শেষ ভাগে যখন নিকর্টবর্তী হল, তখন ইসলামী প্রথায় হজ্জ শিক্ষা দেওয়ার জন্য নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) হযরত আবু বকর (রাঃ) অধীনে ৩০০ জন মুসলমানকে মক্কা পাঠান। এর কিছু পরেই মুশরিকদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণাবাণী সম্বলিত আয়াতগুলো (সূরা তওবার ১-৫ রুক) নাযিল হয়। তাতে স্পষ্ট ঘোষিত হয়-
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡمُشۡرِكُوۡنَ نَجَسٌ
فَلَا يَقۡرَبُوۡا الۡمَسۡجِدَ الۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِهِمۡ هٰذَ
হে ঈমাদরাগণ! মুশরিকরা নাপাক, এ বছরের পরে তারা যেন মসজিদে হারামের নিকটেও আসতে না পারে।
(সূরা তওবা: ২৮)

উক্ত সূরার প্রথম আয়াতগুলো হল-
بَرَآءَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖۤ اِلَى الَّذِيۡنَ عٰهَدتُّمۡ مِّنَ الۡمُشۡرِكِيۡنَؕ فَسِيۡحُوۡا فِىۡ الۡاَرۡضِ اَرۡبَعَةَ اَشۡهُرٍ وَّاعۡلَمُوۡۤا اَنَّكُمۡ غَيۡرُ مُعۡجِزِىۡ اللّٰهِ‌ۙ وَاَنَّ اللّٰهَ مُخۡزِىۡ الۡكٰفِرِيۡنَ‏ وَاَذٰنٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖۤ اِلَى النَّاسِ يَوۡمَ الۡحَجِّ الۡاَكۡبَرِ اَنَّ اللّٰهَ بَرِىۡۤءٌ مِّنَ الۡمُشۡرِكِيۡنَ‌ ۙ
“সম্পর্কচ্ছেদ ঘোষণা করা হল, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ হতে- যেসব মুশরিকদের সাথে তোমরা চুক্তি করেছিলে তাদের সাথে। অতএব, তোমরা দেশে আরো চারটি মাস চলাফেরা করে লও এবং জেনে রাখ যে, তোমরা আল্লাহকে দুর্বল করতে পারবে না। আল্লাহ অবশ্যই কাফেরদের লাঞ্ছিত করবেন। আল্লাহ তাঁর রাসূলের পক্ষ হতে মানুষের প্রতি হজ্জের বড় দিনে ঘোষণা এই যে, আল্লাহ মুশরিকদের থেকে দায়মুক্ত  এবং তাঁর রাসূলও।” (সূরা তাওবা: ১-৩)

উপরোক্ত আয়াতগুলো নাযিল হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) এর খেদমতে আরয করলেন যে, এ ভাষণটি হযরত আবু বকর (রাঃ) নিকট পাঠিয়ে দিন, তিনি তা হজ্জের সময় সমবেত লোকদের শুনিয়ে দিবেন। রাসূল করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম) বলেনঃ এ গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি আমার পক্ষ হতে আমারই ঘরের ব্যক্তি দ্বারা প্রচারিত হওয়া উচিত। এ কারণে তিনি হযরত আলী (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন যে, হজ্জে উপস্থিত জনগণের সমাবেশে এ ঘোষণাটি শোনাবে এবং নিম্নোক্ত চারটি কথাও ঘোষণা দিবেঃ
(১) জান্নাতে এমন কোন ব্যক্তি প্রবেশ করবে না, যে দ্বীনকে কবুল করতে অস্বীকার করবে।

(২) এ বছর পরে কোন মুশরিক হজ্জ করতে আসতে পারবে না।

(৩) আল্লাহর ঘরের চারপার্শে উলঙ্গ হয়ে (মুশরিকরা) তাওয়াফ কিরা নিষিদ্ধ।

(৪) যাদের সাথে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম)-সন্ধি চুক্তি আছে অর্থাৎ তা ভঙ্গ করার অপরাধ করেনি তাদের সাথে চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত রক্ষা করা হবে।” (চলবে)

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment