বিজ্ঞানময় আল-কোরআন।
✍স্বাধীন আহমেদ।
শুকরের মাংসঃ
শূকরের গোশত ভক্ষণ সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত। পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, ‘Trichiniasis’ নামক জীবাণুর সংক্রমণ শূকরের মাংসের সাহায্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং ‘Trichinela spiralis’ নামক গোলকৃমির মাধ্যমে মানুষ আক্রান্ত হয়।
যার ফলে সোয়াইন ফ্লুর (H1 N1) মত মহামারী দেখা দিতে পারে ও মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হতে পারে। কাঁচা কিংবা ভালোভাবে সিদ্ধ না হওয়া শূকরের মাংস খেলে মানুষের দেহ ‘Encysted’ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জীবাণু হৃদপেশী আক্রমণ করে ও সেখানে ‘Myocarditis’ রোগ সৃষ্টি করে। যার ফলে হৃদপিন্ডের ক্রিয়া হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া শূকরের মাংসে ‘Taenia Solium’ বা ফিতাকৃমির জীবাণু থাকে। এর প্রভাবে মাংসপেশী, মস্তিষ্ক, চোখ, স্নায়ু ইত্যাদি আক্রান্ত হয়। বর্তমান বিশ্বে ফিতাকৃমি আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ মিলিয়নেরও বেশী, যাদের অধিকাংশই শূকরের মাংস ভক্ষণকারী।
সম্প্রতি ‘সাটক্সিন’ নামক এক প্রকার প্রোটিন শূকরের মাংস থেকে সনাক্ত হয়েছে। যা বিভিন্ন প্রকার এলার্জি, এ্যাকজিমা ও হাঁপানীর জন্য দায়ী। কৃত্রিমভাবে সামান্য পরিমাণেও ‘সাটক্সিন’ গ্রহণ করলে দৈহিক অসারতা ও বিভিন্ন গ্রন্থিতে ব্যথার সৃষ্টি করে।
এছাড়াও শূকরের গোশত উচ্চমাত্রায় চর্বি থাকে, যা নিয়মিত খেলে শরীরে Vitamin-E এর অভাব দেখা দেয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, শূকরের মাংস ভক্ষণ সম্পর্কিত আল্লাহর বিধান সত্যই তাৎপর্যপূর্ণ ও বিজ্ঞানময়।