আল্লাহ তাআলা প্রাপ্ত বয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিদের উপর বিবাহকে ফরজ করেছেন। বিবাহ পরবর্তী সময়ে বাসর রাতে স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে উভয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে নিয়ে জামাআতের সহিত দুই রাকাআত নামাজ আদায় করা উত্তম। এ নামাজ পড়া মুস্তাহাব। নামাজের পর নব দম্পতি পরস্পরের জন্য দোয়া করবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এ দোয়াটি তুলে ধরা হলো-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বা-রিক লি ফি আহলি ওয়া বা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাঝ্মা’ বাইনানা মা জামা‘তা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। (আদাবুয যিফাফ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভাল একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর’।
সুতরাং প্রত্যেক নব বিবাহিত দম্পতির উচিত, বাসর রাতের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে আনন্দ-উৎসবের নামে অবহেলা ও অনর্থক কাজে ব্যয় না করে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করা উচিত। আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে বাসর রাতে উত্তম আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।