প্রশ্ন: ফজরের ফরজ নামাজ তথা জমাত অনেক মসজিদে সূর্য ওঠার ৩০ মিনিট পূর্বে সমাপ্ত করে। তখন পূর্বাকাশ অনেক ফর্সা/আলোকিত হয়ে যায়। আবার কোন কোন মসজিদে ফজরের জামাত এমন সময়ে শেষ হয়, যখন চতুর্দিকে অন্ধকার বিরাজ করে। কোনটা সঠিক- জানালে ধন্য হব।
উত্তর: হানাফী মাযহাব মতে ফজরের নামায ফর্সা অর্থাৎ আকাশ আলোকিত হওয়ার পর (সূর্য উদয়ের পূর্বে) আদায় করাই মুস্তাহাব ও উত্তম। তাই সব ঋতুতেই ফজরের নামায ভালভাবে তথা সুবেহ সাদেক আলোকিত হওয়ার পর পড়া উত্তম ও মুস্তাহাব। এ প্রসঙ্গে ইমান তিরমিজি, আর্বু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, বায়হাকী, ইবনে হিব্বান ও ইমাম তাবরানী, হযরত রাফে ইবনে খাদীজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে রিওয়ায়াত করেন- তিনি বলেন-قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اسفروا بالفجر فانه اعظم للاجر
وقال الترمذى حديث صحيح ـ
অর্থাৎ নবী করিম সরওয়ারে কায়েনাত সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা ফজর তথা ভোর ফর্সা হওয়ার পর ফজরের নামায আদায় কর। কারণ এর সাওয়ার অধিক। ইমাম তিরমিযি বলেন, এ হাদীসটি সহীহ।
আলোচ্য এই হাদীসে ফর্সা করার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ভালোভাবে ফজর আলোকিত হওয়া। অর্থাৎ যখন ভোরের প্রভা ছড়িয়ে পড়বে। এ নির্দেশের অর্থ এটা নয় যে, সুবহে সাদেক আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে ফজরের নামায আদায় কর বরং ফজর আলোকিত হওয়ার পরই নামাযে ফজর পড়ো। তাই সূর্যোদয়ের আধ ঘন্টা আগে জামাআতের জন্য দাঁড়ানোই উত্তম। কারণ তখন ভোরের প্রভা সুবহে সাদিকের রুশনী চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। আর অন্ধকারে ফজরের নামায আদায় করা অনেক ইমামের মতে মাকরূহ ও অপছন্দনীয়।
[লোমআত, মেরকাত ও মেরাত শরহে মেশকাত, সালাত/নামায অধ্যায়]