
আপনার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাকে বিপদে-আপদে, নানান সমস্যায় সাহায্য করেছেন অনেক। কিন্তু সেই বন্ধু যার ওপর আপনার এত এহসান সে আপনাকে কোনোভাবে খুব কষ্ট দিল। ব্যস আপনার অন্তর তার থেকে ওঠে গেল তার প্রতি সেই টান।
এখন সে যদি পুনরায় ক্ষমা চায় হয়তো আপনি তাকে মাফ করে দিবেন। কিন্তু তার প্রতি আগের মতো কোনো ফিলিংস আর বাকি থাকবে না। যদি সে পুনরায় একই কাজ করে? যদি সে আরো কয়েক দফা একই কাজ করে আপনাকে নারাজ করে?
মাফ করবেন তাকে? যদি খুব মহৎ অন্তরের অধিকারী হোন হয়তো মাফ করে দিবেন। কিন্তু সেই আগের সম্পর্কটা নিশ্চয়ই আর বাকি থাকবে না।
এবার আসুন আমার সাথে আমার রবের সম্পর্কটা নিয়ে একটু ভাবি। দুনিয়াবি সামান্য এহসান ছিল একটা মানুষের ওপর তারপরও আমাকে নারাজ করায় সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। আর আমার সারাটাজীবনই আমার রবের এহসান।
তাকে যে দিনের পর দিন নারাজ করছি, আবার গুনাহে ভরা কালো মুখ নিয়ে তার কাছে যাচ্ছি, তিনি কি কখনো ফিরিয়ে দিয়েছেন? কখনো বলেছেন, ‘তুই শয়তানের পথে ছিলি তার সাথেই থাক। দুনিয়ার পিছনে পরে গেলি আমাকে ভুলে থাক তোর দুনিয়া নিয়ে?’ না ভাই না। আমার রব এত বেশি দয়ালু, আমাকে এত বেশি ভালোবাসেন যখন বার বার নারাজ করার পরও তার কাছে ফিরে আসি তিনি খুশি হয়ে যান।
আমাকে মাফ করে দেন। বলেন, ‘বান্দা আমি রবের রহমত তোমার গুনাহ থেকেও বেশি। আমার রহমত হতে নিরাশ হয়ো না।’ আল্লাহু আকবার। আমাদেরকে শুধু মাফই করেন না বরং গুনাহগুলোকে নেক এ রুপান্তরিত করে দেন।
প্রিয় ভাই ও বোন, এখনো কি সময় হয় নি সেই কারীম রবের কাছে ফিরে আসার…?