সম্প্রতি আমার লেখা প্রথম দুই খলীফা (রা.)-এর ‘আফযালীয়্যাত’/শ্রেষ্ঠত্ব-সংক্রান্ত পোষ্টগুলো এজেন্ডাধারীদের মাঝে বেশ অস্বস্তি সৃষ্টি করেছে। তাঁরা অনেক অপযুক্তি ও অস্পষ্ট বিষয়াদি উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্যে একটি হলো, প্রিয়নবী (ﷺ) কর্তৃক আপন বেসাল শরীফের আগে হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে নামাযে ইমামতির নিয়োগ দানের মাধ্যমে তাঁকে পরবর্তী খলীফা মনোনয়নে এমন আর কী ইঙ্গিত নিহিত রয়েছে? এ রকম ইমামতির জন্যে নিয়োগ তো বর্তমানে হরহামেশাই ঘটছে! মসজিদ কমিটি তো হাফেজে কুর’আনকেও নামায পড়াবার জন্যে নিয়োগ দিচ্ছে! নাউযুবিল্লাহ মিন যালেক!
এই অপযুক্তির খণ্ডনে শুধু এতোটুকু বলবো, হযরত আবূ বকর সিদ্দীক (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে যিনি আপন বেসাল শরীফের আগে ইমামতির দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, তিনি আর কেউ নন, আল্লাহতায়ালার মাহবূব, সরকারে দো জাহান, রহমতুল্লিল আলামীন, সাইয়্যেদুল মুরসালীন হযরতে নবী মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি আর আমাদের যুগের মসজিদ কমিটি এক সমান হলো? বস্তুতঃ তাঁর এই নিয়োগ ছিলো প্রতিনিধিত্বের প্রতীকস্বরূপ – তাঁরই খেলাফত ও বেলায়াতের প্রথম প্রতিনিধিস্বরূপ, যার সাথে অন্য কারো তুলনা করা স্রেফ বেয়াদবি! যে বা যারা এ রকম তুলনা করছে সে বা তারা গোস্তাখে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তারা অবশ্যঅবশ্য ইসলামের শত্রুদের মদদপুষ্ট হয়ে শত্রুতার এজেন্ডা বাস্তবায়নে অপতৎপর।
পুনশ্চ: আরেকটি অপযুক্তি পেশ করা হয়েছে যে ইমাম মাহদী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ও পয়গাম্বর ঈসা (আলাইহিস সালাম) যখন আসবেন, তখন পয়গাম্বর ঈসা (আলাইহিস সালাম) ইমাম মাহদী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-এর ইমামতিতে নামায পড়বেন। এতে তিনি কি ছোট হয়ে যাবেন না? এর উত্তর হলো, যিনি (দ.) হযরত আবূ বকর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে ইমামতি দিয়ে মনোনীত করেছিলেন, সেই প্রিয়নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-ই ইমাম মাহদী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে রূহের জগতে কর্তৃত্বদান (অথরাইজ) করেছেন, আর তিনি তা হাদীস শরীফে ঘোষণা করেছেন। তাঁর হুকুমই আমাদের শিরোধার্য।