আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…
(প্রসঙ্গ মহিলাপুরুষ উভয়েই রওযাযিয়ারত করতে পারবেন)
নিয়ত করে মাযার শরীফযিয়ারত করা খাস সূন্নতের অর্ন্তভুক্ত.কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশেকিছু বেখুব আছে যারা এই যিয়ারত করাটাকে হিন্দুদের পূজার সাথে তুলনা করে আর করবেই না বা কেন শয়তানের কাজতো শুধু ভাল কাজের মধ্যে শয়তানী করে সেই কাজ থেকে মানুষকে বিরতরাখা.কিন্তু যারাবুঝে ও না বুঝে এই ধরনেরকাজ করেন এবং যারা টেলিভিশনে বসে ফতোয়া দেন যে এগুলি মাজাপু পুজাবা কবর পুজাশির্ক আমি বলব আপনারাই হলেন মুলতশির্ক কারী এবং কোরান হাদীস বিরোধী কোরান হাদীসে কোথাও আছে কি যে রওযা বা মাজারবা কবর যেয়ারত করা যাবে না পারলে একটি মাত্রহাদীস দেখান তাহলেআজীবেনর জন্য মেনেনিব আপনাদের ফতোয়া কিন্তু আপনারা যে ভন্ড তা আমি প্রকাশ করছি এই হাদীস গুলির মাধ্যমে দেখে নিন রওযাশরীফ বা মাজারশরীফ বা কবর যিয়ারত করা যায়েয-
সহীহ হাদীস শরীফের মধ্যেএরশাদ হয়েছে–
০১. হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি এরশাদকরেছেন, যে ব্যাক্তি আমার কবর ( রওজাশরীফ) যিয়ারত করলোতার জন্য আমারশাফায়াত ওয়াজিব হয়েগেল -“দলীল–
√ জামে ছগীর ১৭১ পৃষ্ঠা
√ শিফাউস সিকাম ২
√ ওফাউল ওফা ৩৯৪ পৃষ্ঠা
০২. হযরত বুরায়দা রদ্বিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্নিত, হুজুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদকরেছেন, আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতেনিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতেপারো -দলীল-
√ মুসলিম শরীফ
√ মিশকাত শরীফ ১৬৭০( বাংলা অনুবাদ, সুবিধার জন্য হাদীস নম্বরবাংলা অনুবাদ কিতাবথেকে দেয়া হলো যাতে সবাই সহজেইখুজে পায় )
০৩. হযরত ইবনে মাসুদরদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, নিশ্চয়ই হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদকরেছেন, আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতেনিষেধ করেছিলাম , এখন তোমরা তা করতেপারো | কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তি কমায়এবং আখিরাতকে স্মরন করায় -দলীল-
√ ইবনে মাজাহ
√ মিশকাত শরীফ ১৬৭৭
04.হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুবলেন, একদিন নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনাশরীফের কিছু কবরেরনিকট গেলেন অতঃপরতাদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বললেন, সালামহোক তোমাদের প্রতিহে কবরবাসী !”দলীল-
√ তিরমীযি শরীফ
√ মিশকাত শরীফ ১৬৭৩
05.হাদীস শরীফে আরো এরশাদ হয়েছে–
হযরত ইবনে নোমান রদ্বিয়াল্লাহু আনহুবর্ননা করেন, হুজুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি প্রত্যেক জুমুয়ার দিন নিজ পিতা-মাতা অথবা তাদেরমধ্যে একজনের কবর যিয়ারত করবে তাকেমাফ করে দেয়াহবে -দলীল–
√ শুয়াইবিল ঈমান লিল বায়হাক্বী
√ মিশকাত ১৬৭৬এছাড়া আরো অসংখ্য সহীহ হাদীসশরীফে কবর যিয়ারত করার ব্যাপারে বলা হয়েছে | এসকল হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় বিখ্যাত মুহাদ্দিস , হাফিযে হাদিস , আল্লামা ইবনে হাজারআসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
06. জেনে রাখুন পুরুষও মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারত এ সকল হাদীসের রায়অনুযায়ী মোস্তাহাব প্রমানিত, তবে মহিলাদের ব্যাপারে মতানৈক্য আছে -দলীল-√ ফতহুল বারী ফি শরহে বোখারী ৩য় খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা |
বিখ্যাত ইমাম আল্লামা ইবনেআবেদীন শামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
وبزيارة القبور اي لا با با ءس بهابل تندب
অর্থ- কবর যিয়ারত এতে কোন অসুবিধা নেই, বরং এটা মোস্তাহাব!
দলীল-√ ফতোয়ায়ে শামী ২/২৪২
06.শুধু তাই নয় ওহুদযুদ্ধে শহীদ গনেরমাজার শরীফ যিয়ারত করার জন্য স্বয়ং হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই প্রতিবছর ওহুদ প্রঙ্গনে যেতেন !
যেটা বর্নিত আছে —
وفيه يستحب ان يزور شهداء جبل احد لماروي ابن ابي شيبة ” ان النبي صلي الله عليه وسلم كان ياء تي قبور الشهداء باحد علي رأس كل حول فيقول السلا عليكم بما صبرتم فنعم عقبي الدار
অর্থ : ওহুদ পাহাড়ের শহীদগনের ( কবর) যিয়ারত করা মোস্তাহাব | ইবনে আবী শায়বা হতে বর্নিত আছে , হুজুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিবৎসরান্তে ওহুদের শহীদগনের কবর যিয়ারত করতেআসতেন | অতঃপর বলতেন, তোমাদের প্রতি সালাম, যেমন তোমরা ধৈর্যধারন করেছিলে তেমনিপরকালে উত্তম বাস স্থান লাভ করেছ|”
দলীল–
√ ফতোয়ায়ে শামী ২য় খন্ড ২৩৪ পৃষ্ঠা !
সেটার ব্যাখ্যায় ইমাম ইবনেআবেদীন শামী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ندبالزيارة وان بعد محلها
অর্থ : দূরবর্তী স্থানেও ( কবর) যিয়ারতের জন্য গমন মুস্তাহাব !”
দলীল-
√ শামী ২য় খন্ড২৪২ পৃষ্ঠা !
শুধু তাই নয় শাফেয়া মাযহাবের ইমাম, ইমামশাফেয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজে ইমামআবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মাজার শরীফযিয়ারত করার জন্যআসতেন !
যেটা ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি নিজেই বলেন–
انيلاتبرك بابي حنيفة واجءي الي قبره فاذا عرضت لي حاجة صليت ر كعتين و ساءلت الله تعالي عند قبره فتقضي سريعا
অর্থ : নিশ্চয়ই আমি ইমামআবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বরকত হাসিলকরি |যখন আমারকোন সমস্যা দেখাদেয় তখন আমি উনার মাজার শরীফেএসে প্রথমে দুই রাকাত নামাজ আদায়করি | অতঃপর উনার উসীলা দিয়ে আল্লাহ পাকের নিকট সমস্যা সমাধানের জন্য প্রর্থনা করি | তা অতি তাড়াতাড়ি সমাধান হয়েযায় |”
দলীল–
√ ফতোয়ায়ে শমী, মুকাদ্দিমা ১ম খন্ড ৫৫ পৃষ্ঠা !
এছাড়া আরো অসংখ্য দলীলরয়েছে , যার দ্বারা প্রমানিত হয় মাজারশরীফ বা কবর যিয়ারত করা সুন্নত !
এখন বর্তমানে কিছু মাজারে শরীয়ত বিরোধী কাজ দেখা যায় ! যেমন- গান-বাজনা, নারীপুরুষ অবাধ মেলামেশা ,বিভিন্ন নেশা করা ইত্যাদি !!
এগুলো মোটেই জায়িয নেই, এগুলা প্রতিরোধ করতে হবে |
কিন্তু তাইবলে যিয়ারত ত্যাগকরা যাবে না |
যেটা ইবনে হাজার আসকালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন–
” সেখানে যদি শরীয়ত বিরোধী কাজ পরিলক্ষিত হয়, যেমন মহিলাপুরুষ একত্র মিশ্রন, তথাপি কবর যিয়ারত ত্যাগ করা যাবেনা |বরং মানুষের নব উদ্ভাবিত( বিদয়াত) কাজকেদূর করতে হবে|”
দলীল–
√ দুররুল মোখতার ২য় খন্ড ২৪২ পৃষ্ঠা !
আর মহিলাদের যিয়ারতের ব্যাপারে বিভিন্ন মত আছে | যেহেতু মহিলাদের ব্যাপারে বেপর্দা হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে , এছাড়া তাদের দ্বারা বিভিন্ন বিলাপ , ক্রন্দন ইত্যাদি হয়েথাকে তাই এদেরব্যাপারে ইমাম মুস্তাহিদ গন মাকরুহ ফতোয়া দিয়েছেন !
তবে যদি পর্দার খেলাপনা হয় এবং অন্যান্য শরীয়তের খিলাপ কিছু না হয় তবে মহিলারাও যিয়ারত করতেপারবে !দলীল–√ শামী√ মারাকিউ ফালাহ√ শরহেসুন্নাহ
উপরোক্ত দলীল দ্বারা যিয়ারত সুন্নাত প্রমান হলো এবং মহিলা পুরুষ উভয়েইযিয়ারত করতে পারবেতবে মহিলাদের ক্ষেত্রে একটুসাবধানতা অবলম্বন করতেহবে| এখন এই সুন্নতকে যারা পূজাবলে কটাক্ষ করবেনিঃসন্দেহে সেটা কুফরীহবে ! কারন সুন্নতকে অবজ্ঞা করা কুফরী !
-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ