আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে…(প্রসঙ্গ তারাবী নামায২০ রাকাত এবং সূন্নত)
তারাবীর রাকাত নিয়ে আজকালআহলে হাদিস নামকদলটি সাধারণ মুসলিদের মাঝে ফ্যাতনা সৃষ্টি করেছে কিন্তু ওদেরকে আজীবন পর্যন্ত চ্যলেঞ্জ করে দিলাম যদি হিম্মত থাকে তাহলে৮ রাকাতের দলিলদেখাও ওরা আজীবনচেষ্ট করবে সত্যকে কোন দিন মিথ্যা দিয়ে ঢাকাযায়না আরে যাবেও না আমরাঅনকেই প্রসিদ্ধ ইমামগণের ফতোয়ার কিতাব পড়ি তবে আমি অধম এত আরবী জানিনা মাঝেমধ্যে বাংলা লেখাকিতাব বা হাদীসগুলি থেকে দলিলদেয় যার বেশীরভাগ আমাদের সনামধন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত কিতাব গুলিযার একটি হলোজগত বিখ্যাত কিতাবফতেয়ায়ে আলমগীরী সেই ফতোয়ায়ে আলমগীরীতে স্পষ্টভাবে বলা আছে তারাবী ২০ রাকাত কিভাবে বলা আচে দেখুন নিচেরছবিতে সেটা বুঝানোর জন্য আমি একটুব্যখ্যা করলাম-
তারাবীহ تراويح শব্দটি ترويح এর বহুবচন, যার অর্থ হলো শরীরকে আরাম দেয়া। তারবীহের নামাযে চার রাকাতের পর কিছুণের জন্যবসে আরাম করা হয়। সেই বসাটার নাম তরবীহা। এ জন্য এই নামাযকে তারাবীহ অর্থাৎ আরামের সমষ্টি বলা হয়,পাঠকগণ খুব মনোযোগ সহকারে নিচেরছবিটি দেখেন সেখানে বলা আছে তারাবীর সালাত ৫ তরবীহায় আদায় করতে হবে আর প্রত্যেক তরবীহাতে আছে ৪ রাকাত মানেহলো ৪ রাকাতপড়ে আমরা কিছুক্ষণ আরাম/বিশ্রাম করি এবং বিশ্রাম শেষেআবার নামাযে দাড়ায়এরকম ভাবে ৫ বার নামায আদায়করলে ২০ রাকাতআদায় হয় যা তারাবীর ২০ রাকাতনামায হয় কিন্তু ৮ রাকাত আর হয়না যারা ৮ রাকাত বলে তারাভ্রান্ত তাদের কাছেদুরে সড়ে থাকুন,সম্মানীত পাঠকগন আরেকটু পরিষ্কার করছি আমারাপ্রতি দিন বিশ রাকাত নামায অত্যাবশ্যক-সতের রাকাত ফরয ও তিন রাকাতবিতর, যথা- ফজরেদু’রাকাত, যুহরেচার রাকাত, আসরেচার রাকাত, মাগরিবে তিন রাকাত এবং ইশায় চার রাকাতফরয ও তিন রাকাত বিতর। পবিত্র রমযান মাসে আল্লাহ তা’আলা এ বিশ রাকাতের পরিপূর্ণতার জন্য আরও বিশ রাকাত তারাবীহের নামায নির্ধারণ করেছেন।
২০ রাকাত তারাবীহ সমর্থনে দলীল সমূহ
দলিল-১
হযরত সাঈব ইবনে ইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন, “খলীফা হযরত উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর আমলে (রমযান মাসে) মুসলমান সমাজ ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযএবং বিতরের নামাযও পড়তেন।”
— ইমাম বায়হাকী প্রণীত ‘মা’রেফত-উস-সুনান ওয়াল্ আসার’, ৪র্থ খণ্ড, ৪২ পৃষ্ঠা, হাদীসনং ৫৪০৯
হাদিসের মান সম্পর্কে
• ইমাম বায়হাকী (রহ:) অপর এক সনদে অনুরূপ একখানি রওয়ায়াত লিপিবদ্ধ করেছেন।
• হযরত সাঈব ইবনেইয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন,
খলীফা হযরত উমর ইবনেআল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে রমযান মাসেমুসলমানগণ ২০ রাকআত(তারাবীহ) নামায পড়তেন।” তিনি আরও বলেন, “তাঁরা মি’ঈন পাঠ করতেনএবং খলীফা হযরতউসমান ইবনে আফফান(রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে (নামাযে) দণ্ডায়মান থাকার অসুবিধা থেকে স্বস্তির জন্যে তাঁরা নিজেদের লাঠিরওপর ভর দিয়েদাঁড়াতেন।
— ইমাম বায়হাকী রচিত ‘সুনান আল-কুবরা’, ২য় খণ্ড, ৬৯৮-৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬১৭
ইমাম নববী (রহ:) বলেন,
এটির এ সনদ সহীহ।
— ‘আল-খুলাসাতুল আহকাম’, হাদীসনং ১৯৬১
• ইমাম বদরুদ্দীন আয়নী (রহ:) বলেন,
ইমাম বায়হাকী (রহ:) সহীহসনদে সাহাবী হযরতসাঈব ইবনে এয়াযীদ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেন যে খলীফা হযরতউমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মুসলমান সমাজ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়তেন এবং তা খলীফা হযরতউসমান (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলেও প্রচলিত ছিল।
— ’উমদাতুল ক্কারী শরহে সহীহ আল-বোখারী’, ৫ম খণ্ড, ২৬৪ পৃষ্ঠা; দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন হতে প্রকাশিত
•
’সালাফী’ আলেমআল-মোবারকপুরীও এই হাদীসটির সনদকে ’সহীহ’ বলেছে এবং এর পক্ষে ইমামনববী (রহ:)-এর সমর্থনের কথা উদ্ধৃত করেছে।
— ’তোহফাতুল আহওয়াযী’, ৩য় খণ্ড, ৪৫৩ পৃষ্ঠা; দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন থেকে প্রকাশিত
ইমাম নববী (রহ:) বলেন,
এই এ সনদে সকল রাবী তথা বর্ণনাকারী ’সিকা’ বা নির্ভরযোগ্য।
— ‘আসার আল-সুনান’, ২:৫৪
দলিল-২
ইয়াহইয়া আমার (ইমাম মালেক) কাছে মালেক হতে বর্ণনা করেন যে এয়াযীদ ইবনে রুমানবলেছেন, খলীফা হযরতউমর ইবনে আল-খাত্তাব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মুসলমানবৃন্দ রমযানমাসের (প্রতি) রাতে২৩ রাকআত (তারাবীহ ২০ ও বিতর৩) নামায পড়তেন।
— ইমাম মালেকপ্রণীত ‘মুয়াত্তা মালেক’, সালাত অধ্যায়, মা জা’আ ফী কায়ামে রমযান, ১ম খণ্ড, ১৫৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৩৮০
দলিল-৩
হযরত আবদুল আযীয বিন রাফি’ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: “হযরত উবাই ইবনেকাআব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) মদীনা মোনাওয়ারায় রমযান মাসে ২০ রাকআত(তারাবীহ) নামাযের জামা’তে ইমামতি করতেন।”
— মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, ৭৭৬৬ নং হাদীস
দলিল-৪
আবদুর রহমান সুলামী বর্ণনা করেন যে হয়রতআলী (কাররামাল্লাহু ওয়াযহু) রমযানমাসে কুরআন মজীদতেলাওয়াতকারী হাফেযদের ডেকে তাদের মধ্যে একজনকে ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায পড়াতে বলেছিলেন এবং নিজে বিতরের নামাযে ইমামতি করতেন।
— ইমাম বায়হাকী কৃত ’সুনান আল-কুবরা’, ২য় খণ্ড, ৬৯৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৪৬২০
দলিল-৫
হযরত হাসান বসরী (রহ:) বলেন: “খলীফা উমর ফারূক (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) রমযান মাসের (তারাবীহ) নামাযে হযরত উবাইইবনে কা’ব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম)-এর ইমামতিতে মানুষদেরকে জামা’তে কাতারবদ্ধ করেন এবং তিনি (ইবনেকা’ব) ২০ রাকআত নামায পড়ান।”
— ‘সিয়ার আল-আ’লম ওয়ালনুবালাহ’, ১ম খণ্ড, ৪০০-১ পৃষ্ঠা, হযরত উবাইইবনে কা’ব (রা:)-এর জীবনী
ইমাম নববী (রহ:) ওপরেরবর্ণনা সম্পর্কে বলেন:
এর সনদ সহীহ।
— ‘আল-খুলাসাত আল-আহকাম’, হাদীসনং ১৯৬১
দলিল-৬
হযরত আবূল হাসনা বর্ণনা করেন যে হযরতআলী (কাররামাল্লাহু ওয়াযহু) জনৈকব্যক্তিকে রমযান মাসে২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযে ইমামতি করারনির্দেশ দেন।”
— ’মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা’, ৫ম খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৩
দলিল-৭
হযরত নাফে’ ইবনেউমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) থেকে ওয়াকী’ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: “হযরত ইবনে আবি মুলাইকা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম) রমযান মাসে আমাদের জামা’তের ২০ রাকআত (তারাবীহ) নামাযে ইমামতি করতেন।”
— মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৫
দলিল-৮
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম) বর্ণনা করেন যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে (প্রতিরাতে) নিজে নিজে২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায আদায় করতেনএবং এরপর ৩ রাকআত বেতরের নামাযও পড়তেন।
— ‘সুনান আল-বায়হাকী, হাদীস নং ১২১০২
দলিল ৯
হযরত ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বর্ণনা করেন যে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে২০ রাকআত (তারাবীহ) নামায আদায় করতেনএবং এরপর ৩ রাকাত বেতরের নামাযও আদায় করতেন।
— ’মোসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৭৬৯২
দলিল ১০
হযরত আয়েশা (আলাইহিস সালাম) থেকে বর্ণিত, বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই রাতে ২০ রাকআত নামায মানুষের সাথে আদায় করেন; কিন্তু তিনি তৃতীয় রাতে আর বের হননি। তিনি বলেন, আমি আশংকা করি যে এটি তোমাদের (সাহাবা-এ-কেরামের) প্রতি আবার বাধ্যতামূলক না হয়ে যায়।
— ইবনে ইবনেহাজর আসকালানী (রহ:) কৃত ‘আল-তালখীস আল-হাবীর’, ২য় খণ্ড, হাদীস নং ৫৪০
বি:দ্র: ইমাম ইবনেহাজর আসকালানী (রহ:) এই হাদীস উদ্ধৃত করারপরে বলেন,
সকল মোহাদ্দেসীন (হাদীসের বিশারদ) হযরত আয়েশা (আলাইহিস সালাম) হতে এই বর্ণনার নির্ভরযোগ্যতার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেন, তবে রাকআতের সংখ্যার ক্ষেত্রে নয়।
দলিল ১১
আল-হারিস (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বর্ণনা করেন যে তিনি রমযান মাসে২০ রাকআত তারাবীহ নামায আদায় করতেন, আর ৩ রাকআতবেতরের নামাযেও ইমামতি করতেন এবং রুকূরআগে কুনুত পড়তেন।
— মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৭
দলিল ১২
হযরত আবূ আল-বখতারী (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) থেকে বর্ণিত যে তিনি রমযান মাসেজামাআতে ‘৫ তারভিয়াত’ (অর্থাৎ, ২০ রাকআত তারাবীহ) নামাযের এবং ৩ রাকাত বেতরের নামাযের ইমামতি করতেন।
— মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬৮
বি:দ্র: তারাবীহ নামাযে প্রতি ৪ রাকআতে এক ‘তারভিহ’ (বিশ্রামের সময়)। পাঁচ’তারভিহাত’ হলো ৫*৪=২০ রাকআত।
দলিল ১৩
হযরত আতা’ ইবনেরুবাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বলেন: আমি সব সময়-ই মানুষদেরকে ২৩ রাকআত (তারাবীহ) পড়তে দেখেছি, যা’তে অন্তর্ভুক্ত ছিল বেতরের নামায।
— মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৭০
দলিল ১৪
হযরত শায়তার ইবনে শাকীহতে প্রমাণিত যে তিনি রমযান মাসে২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের জামাআতে এবং বেতরের নামাযেও ইমামতি করতেন।
— মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, ৫ম খণ্ড, ২২২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৬২
দলিল ১৫
হযরত সাঈদ বিন উবাইদবর্ণনা করেন যে হযরত আলী বিন রাবিয়াহ (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) তাঁদেরকে ৫ তারভিহাত (২০ রাকআত তারাবীহ) নামাযে এবং ৩ রাকআত বেতরের নামাযেও ইমামতি করতেন।
— মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বাহ, ৫ম খণ্ড, ২২৪ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৭৭২
দলিল ১৬
ইবনে কুদামাহ (রহ:) ২০ রাকআত তারাবীহ নামাযের পক্ষে যে ‘এজমা’ হয়েছে, সে সম্পর্কে প্রমাণ পেশ করতে গিয়ে লিখেন:
আবূ আবদিল্লাহ (ইমাম আহমদহাম্বল)-এর দৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠিত দলিল হলো ২০ রাকআত (তারাবীহ); এ ব্যাপারে একই মত পোষণ করেন সর্ব-হযরত সুফিয়ান সাওরী (রহ:), ইমাম আবূ হানিফা (রহ:) ও ইমাম শাফেঈ (রহ:)। ইমাম মালেক(রহ:)-এর মতে এটি ৩৬ রাকআত। তিনি মদীনাবাসীর রীতি অনুসরণ করেন। কেননা, সালেহ বলেন তিনিসেখানকার মানুষকে দেখেছিলেন ৪১ রাকআত কেয়ামুল্ লাইল (তারাবীহ) পালনকরতে, যার মধ্যেঅন্তর্ভুক্ত ছিল ৫ রাকআত বেতরের নামায। কিন্তু আমাদের প্রামাণ্য দলিল হচ্ছে খলীফাহযরত উমর ফারূক(রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) মানুষদেরকে সমবেত করে হযরত ইবনে কা’ব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর ইমামতিতে ২০ রাকআত তারাবীহ’র নামাযজামাআতে আদায় করিয়েছেন। হযরত হাসসান (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যে খলীফাহযরত উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) এভাবে২০ রাত হযরতউবাই ইবনে কা’ব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর ইমামতিতে মানুষদেরকে জামাঅাতে নামায আদায় করিয়েছিলেন; আর তিনি (হযরতকা’ব) রমযানের নিসফে (ওই সময়) শেষ দশ দিন তারাবীহ নিজের ঘরে পড়তেন। এই বর্ণনা ইমাম আবূ দাউদ(রহ:) ও হযরত সাইব ইবনে এয়াযীদ (রা:)-এর প্রদত্ত। ইমামমালেক (রহ:) এয়াযীদ ইবনে রুমান থেকেএও বর্ণনা করেছেন যে, খলীফা হযরতউমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর শাসনামলে মানুষেরা ২৩ রাকআত তারাবীহ আদায়করতেন, যার মধ্যেঅন্তর্ভুক্ত ছিল ৩ রাকআত বিতর।
ইবনে কুদামাহ আরও লিখেন:
হযরত আলী (কাররামাল্লাহু ওয়াযহু) হতে এও বর্ণিত হয়েছে যে তিনি জনৈকব্যক্তিকে ২০ রাকআততারাবীহ’র জামাআতে ইমামতি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অতএব, ২০ রাকআত তারাবীহ’র ব্যাপারে এজমা’ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। অধিকন্তু, সালেহ যে মদীনাবাসীদেরকে ৪১ রাকআত নামায পড়তেদেখেছিলেন, সে সম্পর্কে বলবো, সালেহ দুর্বল এবং আমরা জানিনা ৪১ রাকআতের এই বর্ণনা কে দিয়েছিলেন। হতে পারেযে সালেহ কিছুমানুষকে ৪১ রাকআতপড়তে দেখেছিলেন, কিন্তু এটি তো হুজ্জাত (প্রামাণ্য দলিল) হতে পারে না। আমরাযদি ধরেও নেই যে মদীনাবাসী ৪১ রাকআত তারাবীহ (বেতরের ৫ রাকআত-সহ) পড়তেন, তবুও হযরতউমর (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু)-এর নির্দেশ, যা তাঁর সময়কার সকল সাহাবা-এ-কেরাম(রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুমগন) অনুসরণ করেছিলেন, তা-ই অধিকতর অনুসরণযোগ্য। কয়েকজন উলামা বলেনযে মদীনাবাসী মুসলমানগণ ৩৬ রাকআত তারাবীহ পড়তেন যাতে মক্কাবাসী মুসলমানদের সাথেতা মিলে যায়; কেননা, মক্কাবাসীরা প্রতি রাকআত পড়ার পর তাওয়াফ করতেন এবং এভাবে তাঁরা ৭ বার তাওয়াফ করতেন। মদীনাবাসী মুসলমানগণ ওই সময়ের মধ্যে (অর্থাৎ, একেক তওয়াফে) ৪ রাকআত আদায় করে নিতেন (নওয়াফিল)। কিন্তু আমরা যেহেতু জানি যে সাহাবা-এ-কেরাম (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম) ২০ রাকআত তারাবীহ পড়েছেন, সেহেতু আমাদের তা-ই মান্য করা আবশ্যক।
— ইবনে কুদামাহ প্রণীত আল-মুগনী, ২য় খণ্ড, ৬০৪ পৃষ্ঠা
দলিল ১৭
আল-গুনিয়াতুত্ তালেবীন গ্রন্থে লেখা আছে:
আল-গুনিয়াতুত্ তালেবীন, ২য় খণ্ড, ২৫ পৃষ্ঠা
দলিল ১৮
ইমাম বোখারী (রহ:) তাঁর‘আল-কুনা’ পুস্তকে রওয়ায়াত করেন:
হযরত আবূ আল-খুসাইব (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু) বর্ণনা করেন যে হযরত সুওয়াইদ বিন গাফালাহ (রা:) সব সময়-ই রমযানমাসে আমাদেরকে নিয়ে জামাআতে ২০ রাকআততারাবীহ নামাযে ইমামতি করতেন।
— আল-কুনা, ২য় খণ্ড, হাদীসনং ২৩৪
দলিল ১৯
ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনিবলেনঃ- হযরত উমর(রাঃ) এর যুগেসাহাবারা বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন ।
— মুয়াত্তা মালেক খঃ ১পৃঃ ১১৫
এতএব উপরের এতসব দলিলাজিল্লাহ দ্বারা প্রমানিত হলো যে তারাবির নামাজ ২০ রাকাত ই পড়াসবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামত তাই এখন যদি কেউ ৮ রাকাতপড়ে তাহলে আল্লাহু রাব্বুল আলামিন ই ভালো জানেন তার ফায়ছালা তিনি কিভাবে করবেন। নিশ্চই যারাসাহাবা (রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহুম) গনের বিপক্ষে নিজেরমনগড়া মতামত রাসুলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পছন্দ করবেন না আর যা তিনিঅপছন্দ করবেন তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ও অপছন্দ করেন।
আশাকরি আপনাদরে সবার সামনেদিবা লোকের মত পরিষ্কার হয়ে গেলোতারাবী নামায ৮ রাকাত না ২০ রাকাত-আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক-আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ