প্রসঙ্গ : ঈদে মিলাদুন্নবী উদ্যাপন উপলক্ষে জুলুছ বা মিছিল বের করা

পোষ্টটি অন্যকে পড়ার সুযোগ করে দিতে শেয়ার করুন প্লিজ।

মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল আলী কাদেরী

কামিল (হাদিস, ফিক্হ) বি.এ (অর্নাস)

নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ভূমিষ্ট হন-তখন এমন কতিপয় আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছিল-যা সচরাচর দেখা যায় না। প্রথম ঘটনাটি স্বয়ং বিবি আমেনা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন এভাবে- প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আগমন প্রাক্কালে আজিমুশ্শান আয়োজন ঃ
আমর বিন কুতাইবা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, যিনি ছিলেন একজন জ্ঞান সমুদ্র ব্যক্তিত্ব, ‘যখন হযরত আমিনা রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা এর খেদ্মতে হুজুরের বেলাদত শরীফের সময় নিকটবর্তী হল, তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে বললেনÑ তোমরা আকাশ সমূহের দরজা খুলে দাও জান্নাতের দরজা খুলে দাও। সেদিন সূর্য অনুপম সৌন্দর্যপূর্ণ নূর ধারণ করেছিল এবং আল্লাহ পৃথিবীর সকল মহিলাদের জন্য নির্ধারিত তাকদির করে দিলেন যে, হুজুরের বরকতে তারা পুত্র সন্তান জন্ম দিবে। সিরাতে হালবিয়া, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৮।
১. হযরত মা আমেনা রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা বলেন, “যখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম Ñএর প্রকাশ লাভ হয়, তৎক্ষনাত এমন নূর বের হয়Ñ যা দ্বারা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত দিগন্ত আলোকময় হয়ে যায়”। সিরাতে হালবিয়া, খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৯১।
২. আল বেদায়া ওয়ান নেহায়াতে উল্লেখ আছে- হযরত সাইয়্যেদা আমেনা রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েত অতীব গুরুত্বের সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, তখন আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্যাপন করতে পতাকা উড্ডয়ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, অতঃপর আল্লাহ তায়ালা আমার চোখের পর্দা তুলে দিলেন, ভূপৃষ্ঠের পূর্ব-পশ্চিমের সব কিছু আমার সম্মুখে এনে দেয়া হলো, ফলে আমি তা চর্ম চোখে দেখে নিলাম। আর আমি তিনটি পতাকা দেখলাম। একটি পতাকা পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে উড্ডীন করা হয়েছে, দ্বিতীয়টি পশ্চিম প্রান্তে এবং তৃতীয়টি কা’বা ঘরের ছাদে উড্ডীন করা হয়েছে। আল বেদায়া ওয়ান নেহায়া ৬/২৯৮; খাছায়েছে কুবরা ১/৮১; সিরাতে হালবিয়া পৃষ্ঠা ১০৯
০৩. মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পবিত্র শুভ জন্মলগ্নে বেহেশতি হুরগণ হযরত আছিয়া রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা এবং হযতর মরিয়ম আলাইহিস্ সালাম এর নেতৃত্বে তাঁকে অভিবাদন জ্ঞাপন করেছেন। হযরত আমিনা রাদ্বীয়াল্লাহু আনহা থেকে নিম্ন বর্ণিত হাদিসে আশ্চর্যান্বিত ঘটনা এভাবে বিবৃত হয়েছেÑ
‘তিনি বলেন, মহিলাদের ন্যায় আমার যখন প্রসব বেদনা শুরু হল, তখন আমি একটি বিকট আওয়াজ শুনলাম। যদ্দরুণ আমার মধ্যে ভীতি সঞ্চারিত হল। অতঃপর আমি দেখলাম যে, একটি ধুসর বর্ণের পাখির পালক আমার হৃদয় ছুঁয়ে দিল, ফলে আমার সব রকম ভয়-ভীতি ও ব্যথা বিদূরিত হতে লাগল। অতঃপর আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ হতেই হঠাৎ দেখলাম যে, আমার সামনে সাদা পানীয় (শরবত) পেশ করা হল এবং বৃত্ত আমাকে পরিবেষ্টন করল। আমি দেখলাম, এমন কতগুলো সুন্দরী রমনীদেরকে, যাদের গঠন প্রকৃতি লম্বায় খর্জ্জুর বৃক্ষ ও আবদে মানাফের কন্যাদের মত মনে হচ্ছিল। তারা আমাকে তাদের অঙ্গনে নিয়ে গেল। তখন আমি সেই ভেবে হয়রান হয়ে গেলাম যে, এঁরা কোথা থেকে এলো এবং তাঁরা এই বেলাদতের সংবাদটি কি করে অবগত হলো! তখন তাঁরাই বলল, আমি ফেরআউনের বিবি আছিয়া এবং আমি ইমরান তনয়া মরিয়ম আর আমাদের সাথে এরা হল জান্নাতের হুর (সুবহানাল্লাহ্)।’. মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া ১/১২৪; যূরক্বানী আলাল মাওয়াহিব ১/২০৯, সিরাতে হালাবিয়া ১ম খন্ড- ৬৭ পৃষ্ঠা, নুজহাতুল মাজালিস ২য় খন্ড- ৮৩ পৃষ্ঠা, নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯৪ পৃষ্ঠা, সালতানাতে মোস্তফা ৩৬ পৃষ্ঠা আরবী ইবারতসহ রয়েছে ২২নং সিরিয়ালে)।
খাছায়েছে কোব্রা খন্ড ২য়, পৃ-২২৮, ও তারিখুল খামীছ পৃ-৩৩২ গ্রন্থে যথাক্রমে আল্লামা জালালুদ্দীন সূয়ুতি ( রাহমাতুল্লাহি আলাই) এবং Í আল্লামা আবুবকর দিয়ার বিকরী (রাহমাতুল্লাহি আলাই) বিবি আমেনা (রাঃ)-এর একটি বর্ণনা এভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন ঃ বিবি (আমেনা রাদিয়াল্লাহ তায়ালা আনহা) বলেন- যখন আমার প্রিয় পুত্র ভূমিষ্ট হলেন, তখন আমি দেখতে পেলাম- তিনি সিজদায় পড়ে আছেন। তারপর মাথা উর্দ্ধগামী করে শাহাদাৎ অঙ্গুলী দ্বারা ইশারা করে বিশুদ্ধ আরবী ভাষায় পাঠ করেছেন “আশহাদু আললা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্নি রাসুলুল্লাহ” (যিকর জামীল-১২ পৃষ্ঠা, মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড ২১ পৃষ্ঠা সূত্রে)। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:-
أنا دعوة أبي إبراهيم وبشرى أخي عيسى ورأت أمي حين حملت بي أنه خرج منها نور أضاء لها قصور الشام-
“অর্থাৎ- আমি আমার পিতা ইবরাহীমের দোয়া, আমার ভাই ঈসার প্রদত্ত সুসংবাদ, আমি আমার মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় তার পেট থেকে একটি নূর বের হয় যার তাজাল্লীতে সিরিয়ার রাজপ্রাসাদ দেখতে পান। (সীরাতে ইবনে হিশাম-১/৩০২)
অন্য বর্ণনায় এসেছে: ثم اِنَّ أُمِّي رَأَتْ فِي الْمَنَامِ أَنَّ الَّذِي فِي بَطْنِهَا نُورঅর্থ:- “এরপর আমার মা ঘুমের ঘোরে দেখলেন তার পেটে যিনি আছেন তিনি নূর”। (মাওয়াহেবুল লাদুন্যিয়াহ-১/৭৪, মুসনাদে আহমদ-৪/১২৭, আল মুসতাদরাক লিল হাকেম-২/৪৫৩, ইবনু হিব্বান-৪/৬৪) প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নূরে মুজাস্সাম হওয়ার কারণে শয়তান তাঁকে কুমন্ত্রণা দেয়ার ক্ষমতা রাখেনা। উপরোক্ত বর্ণনায় কয়েকটি বিষয় প্রমানিত হলো ঃ
(১) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র বেলাদত উপলক্ষে বেহেস্ত ও আকাশ হতে পবিত্র নারী ও হুর ফিরিস্তাগন জুলুছ করে বিবি আমেনার (রাঃ) কুটিরে আগমন করেছিলেন এবং নবীজীর সম্মানার্থে দন্ডায়মান হয়ে কিয়াম করেছিলেন। আর ফিরিস্তাদের হয়ে এবং জুলুছ ছিল আকাশ ছোঁয়া জুলুছ। তাই আমারাও নবীজীর সম্মানে কিয়াম করি ও জুলুছ করি।
(২) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নূরের আলোতে বিবি আমেনা (রাঃ) পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত অবলোকন করেছিলেন। যাদের অন্তরে নবীজীর নূর বিদ্যমান, সেসব অলীগণেরও দিব্যদৃষ্টি খুলে যায়। তাঁরা লাওহে মাহফুযও দেখতে পান (মসনবী শরীফ ১২০ পৃষ্ঠা)।
(৩) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্ম উপলক্ষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থান আলো ও পতাকা দ্বারা সজ্জিত করা উত্তম। ইহা আল্লাহ ও ফিরিস্তাদের সুন্নাত। (আল হাভীলিল ফতোয়া ২য় খন্ড ৩৮০ পৃষ্ঠা)
(৪) কোরআন নাযিলের ৪০ বৎসর পূর্বেই নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ দুটি আদর্শ- ‘কালেমা ও নামায’ বাস্তবায়ন করেছিলেন। মূলতঃ থিউরিটিক্যাল কোরআন নাযিলের পূর্বেই প্র্যাকটিক্যাল কোরআন (নবী) নাযিল করেছিলেন। কোরআন হলো হাদিয়া- আর নবী হলেন সেই হাদিয়ার মালিক। হাদিয়া ও তার মালিকের মধ্যে যে সম্পর্ক-তা সর্বজন বিদিত।
(৫) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে জুলুছ এবং শুকরিয়ার আনন্দ মিছিল বের করা ফিরিস্তাদেরই অনুকরণ (আনওয়ারে আফতাবে সাদাকাত ১২ পৃষ্ঠা)। মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া ১ম খন্ড ২৭ পৃষ্ঠা গ্রন্থের বর্ণনায় আকাশ হতে জমীন পর্যন্ত ফেরেস্তাদের জুলুছ বা মিছিল পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
আল্লাহ পাক বলেন- قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (৫৮
“তোমরা আল্লাহর ফযল ও রহমত স্বরূপ নবীকে পেয়ে আনন্দ-উল্লাস করো”। (সূরা ইউনুছ ৫৮ আয়াতের তাফসীর দেখুন- রুহুল মাআনীতে)।
জালালুদ্দীন সুয়ুতি তাঁর আল হাভী লিল ফাতাওয়া ১ম খন্ড ১৯৬ পৃষ্ঠা গ্রন্থে ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে সব রকমের আনন্দ-উল্লাসকে বৈধ বলে উল্লেখ করেছেন।

মদিনা শরীফে সাহাবায়ে কেরামদের আনন্দ মিছিল ঃ
মুসলিম শরীফের ২য় খন্ডের ৪১৯নং পৃষ্ঠাবাবু ফি হাদিসীল হিজরা’ অধ্যায়ে হযরত বারা ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের মাধ্যমে জানা যায়, রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন মক্কা মুকাররামা থেকে হিজরত করে মদীনা মুনাওয়ারায় আগমন করেন ঐ সময় মদীনার মুসলমানগন কেউ কেউ বাড়ি- ঘরের ছাদের ওপর উঠে আবার কেউ কেউ রাস্তায় মিছিল করে ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহুআলাহহি ওয়াসাল্লাম) শ্লোগানর মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। হাদীস শরীফের ইবারতটি নিন্মরূপ- “ফাসাইয়াদার রিজালা ওয়ান নিসায়া পাওকাল বুইউতি ওয়াতাপাররাকাল গিলমানা ওয়াল খাদমী ফিতত্ তারকী ইউনাদুনা ইয়া মুহাম্মদু ইয়া রাসুল্লাল্লাহ্ িইয়া মুহাম্মদু ইয়া রাসুল্লাল্লাহি”।
অর্থাৎ- রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ১২ই রবিউল আউয়াল যে দিন মদীনা মুনাওয়ারায় তাশরীফ আনেন, তখন মদীনা শরীফের অসংখ্য নারী-পুরুষ ঘরের ছাদের ওপর আরোহন করেন এবং ছোট ছেলে মেয়েরা মদীনার অলি গলিতে (দলবদ্ধ মিছিল সহকারে) ইয়া মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শ্লোগান দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন।
যেমনটি বর্তমানে জশ্নে জুলূসে হয়। কেউ কেউ বাড়ীর ছাদে উঠে মিছিল দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন। আবার অনেকে রাস্তায় রাস্তায় মিছিলে শরীক হয়ে “ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)” শ্লোগান দিয়ে ও নাতে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পড়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। আরেকটি হাদীস শরীফের মাধ্যমে জানা যায়, হযরত আনাছ (রাঃ) হতে বণিৃত রাসূলে করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হিরতের প্রাক্কালে মসজিদে কুবা থেকে (শুক্রবার দিন ১২ই রবিউল আউয়াল, ২৪শে সেপ্টেম্বর ৬২২ খৃষ্টাব্দে) মদীনা শরীফে পৌছেন। তখন মদীনার প্রত্যেক মুসলমানের আশা ছিল যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যেন তাদের মেহমান হন। তারা এগিয়ে যখন উষ্ট্রীর নিশানা ধরিতে চান, তখন হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, উষ্ট্রিকে ছেড়ে দাও। এ উষ্ট্রী আল্লাহ র নির্দেশিত। এটা যেখানে বসবে সে স্থানে আমার অবস্থান। সে সময় বনি নজ্জার গোত্রের ছোট ছোট মেয়েগন খুবই আনন্দের সহিত মধুর স্বরে গান করছিলেন ও হাত দ্বারা দফ দফ বাজাইতে বাজাইতে এ শের বা কবিতা পাঠ করতে করতে ঘর থেকে বাহিরে আসছিলেন।
عن أنس بن مالك: – أن النبي صلى الله عليه و سلم مر ببعض المدينة . فإذا هو بجوار يضربن بدفهن ويتغنين ويقلن نحن جوار من بني النجار * يا حبذا محمد من جار
“নাহ্নু জাওয়ারী মিন্ বানীননাজ্জার ইয়া হাব্বাজা মুহাম্মদ মিন্জার”
অর্থাৎ- “আমরা নজ্জার বংশীয় ভদ্র মেয়ে এবং হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কতই না ভাল প্রতিবেশী”। ইবনে মাজাহ শরীফ- ১৩৭ পৃষ্ঠা।

পূর্ব যুগের জুলুছ
ইবনে দিহহইয়া সম্পর্কে খাল্লেকান লিখেন, প্রাচীনকালে ১০৯৫-১১২১ খৃষ্টাব্দে মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপলক্ষে ধর্মীয় জুলুছ বের করা হতো। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এতে অংশ নিতেন। উযির আফযলের যুগে এ আনন্দ মিছিল বের করা হতো। এ সময় রাজপথসমূহ লোকে লোকারণ্য হয়ে যেতো। পরবর্তীতে এ উৎসবের প্রসার ঘটে আফ্রিকার অন্যান্য শহরে, ইউরোপের স্পেনে এবং ভারতবর্ষে। (মাকরিজী, ইবনে খাল্লেকান আদ্দুরারুল মুনাজ্জাম ১৩৬ পৃষ্ঠা, মাওদুরাবী ফিমাওলিদিন নাবী ২৮ পৃষ্ঠা)।সুতরাং যারা জশনে জুলুছকে নূতন প্রথা, শিরিক ও বিদআত বলে- তারা অতীত ইতিহাস সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ এবং ইসলামী জ্ঞানের ক্ষেত্রে মূর্খ। নবীবিদ্বেষ তাদেরকে অন্ধ করে রেখেছে। (বিস্তারিত ইতিহাস জানার জন্যে দৈনিক জনকষ্ঠ ৩০শে আগস্ট’৯৬ মিলাদের ইতিকথা পড়–ন)। জশনে জুলুছ বের করা কোরআনী আয়াত দ্বারাই প্রমাণিত

মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল আলী কাদেরী

কামিল (হাদিস, ফিক্হ) বি.এ (অর্নাস)

সহ -সুপার, কাদেরিয়া তৈয়্যেবিয়া কামিল মাদরাসা (মহিলা শাখা)

মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে আপনার মূল্যবান মতামত জানান প্লিজ!

Leave a Comment